বালোদ (ছত্তীশগড়), 21 এপ্রিল: ছত্তীশগড়ের বালোদ থানা এলাকার কারকাভাত গ্রামে মাটি খুড়ে উদ্ধার ব্যক্তির দেহাংশ ৷ 20 বছর আগে ছাবেশ্বর গোয়েল নামে ওই ব্যক্তিকে খুন করে ওই জমিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল ৷ 2021 সালে দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্তে অভিযুক্ত তিকাম কোলিয়ারা দু'দশক আগে হওয়া সেই অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷ অভিযুক্ত তিকাম কোলিয়ারা এবং মৃত ছাবেশ্বর গোয়েলের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ মাটি খুড়ে উদ্ধার হওয়া হাড় এবং জামাকাপড়ের অংশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷
পুলিশের অনুমান, 2003 সালে তিকাম কোলিয়ারা তাঁর বন্ধু ছাবেশ্বর গোয়েলকে খুন করেছিলেন ৷ 2021 সালে এই মামলার তদন্তে পুলিশের কাছে তিকাম তাঁর অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন ৷ জানান, তিনি এবং ছাবেশ্বর গোয়েল ভালো বন্ধু ছিলেন ৷ কিন্তু, তিকাম জানতে পারেন ছাবেশ্বর তাঁর প্রেমিকাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করে ৷ সেই কথা শোনার পর, এক রাতে তিকাম ছাবেশ্বরকে ডেকে পাঠান এবং তাঁর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন ৷ ফলে তাঁর মৃত্যু হয় ৷
পুলিশকে তিকাম আরও জানান, ঘটনার দিন রাতে তিনি ছাবেশ্বরের দেহ একটি জমির মাটি খুড়ে পুঁতে দেন ৷ ওই ঘটনার সময় তাঁদের বয়স 18 বছর ছিল ৷ ছাবেশ্বরের নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ কিন্তু সেই সময় তদন্ত খুব বেশি দূর গড়াতে পারেনি। 2021 সালে একটি ফের সেই মামলাটি নতুন করে শুরু হলে পুলিশের সামনে তিকাম কোলিয়ারা নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন ৷ কিন্তু, দেহ কোথায় লোপাট করেছিলেন, তা পুলিশকে জানাননি তিকাম ৷ সেই সময় তিকামকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে আদালতে প্রমাণ করেন তাঁর আইনজীবী । মামলাটি বন্ধ করে দিতে হয় ৷
কিন্তু, ছাবেশ্বর গোয়েলের বাবা ফের মামলাটি চালু করার আবেদন করেন ৷ একাধিক জায়গায় সুপারিশ করে মামলাটি পুনরায় শুরু করেন ৷ 2023 সালে ফের মামলাটির তদন্ত শুরু হয় ৷ এবার তদন্ত নেমে তিকামকে জিজ্ঞাসাবাদে ছাবেশ্বরের দেহ কোথায় লুকানো রয়েছে তা পুলিশ জানতে পারে ৷ সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে একটি নদী বাঁধের পাশে মাটি খুড়ে মানুষের শরীরের হাড় এবং ছিঁড়ে যাওয়া জামাকাপড়ের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: পুলিশের গাড়িচালকের মৃতদেহ উদ্ধার, প্রাথমিক অনুমান খুন
এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, 20 এপ্রিল উদ্ধার হওয়া দেহাংশ এবং অন্যান্য প্রমাণ ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তে পরীক্ষা করে দেখা হবে সেগুলি মানুষের শরীরের হাড় কিনা ৷ প্রমাণিত হলে আইনি প্রক্রিয়া মেনে হাড়গুলির ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হবে ৷ এই মুহূর্তে তিকামের বয়ান অনুযায়ী পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।