মুম্বই, 12 মে: ভারত বায়োটেকের সহকারী কোম্পানি বায়োভেট প্রাইভেট লিমিটেডকে কোভ্যাক্সিন তৈরি করার অনুমতি দিল বম্বে হাইকোর্ট ৷ সম্পূর্ণ তৈরি ও অবিলম্বে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত পুনের 12 হেক্টর জমির উপর টিকা প্রস্তুতকারক প্ল্যান্টকে এই কাজে ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
পুনের মঞ্জুরি খুর্দ গ্রামের টিকা প্রস্তুতকারক শাখা ব্যবহারে যাতে মহারাষ্ট্র সরকার তাদের অনুমতি দেয় সেই আর্জি জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল কর্নাটকের বায়োভেট প্রাইভেট লিমিটেড ৷ তারই শুনানিতে তাদের পুনেতে পড়ে থাকা প্ল্যান্টটিতে টিকা প্রস্তুতের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি কেকে টেটেড ও এনআর বোরকরের ডিভিশন বেঞ্চ ৷
1973 সালে পা ও মুখের অসুখের টিকা তৈরি করতে ব্যবহারের জন্য ওই জমি ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছিল মার্ক অ্যান্ড কোম্পানির অনুসারী মালটিন্যাশনাল কোম্পানি ইন্টারভেট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড ৷ তারাই ওই জমি ব্যবহার করত ৷ তবে ওই জমি ও টিকা প্রস্তুতকারক ইউনিট বায়োভেটকে দিয়ে দিতে সম্মতি জানিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইন্ডারভেট ৷
এরপর ওই জমি ব্যবহারের আর্জি জানিয়ে বায়োভেট যখন সরকারের অনুমতি চায়, তখন পুনের উপ মুখ্য বনপাল জানান, ওই জমি সংরক্ষিত অরণ্যের মধ্যে পড়ছে ৷ আর 1973 সালে ওই জমি ব্যবহারের যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তও ভুল ছিল ৷ এরপরই হাইকোর্টে আবেদন জানায় বায়োভেট ৷ তারা ফুট মাউথ রোগের টিকার পাশাপাশি কোভ্যাক্সিন টিকাও তৈরি করার জন্য ওই প্ল্যান্ট ও জমি ব্যবহারের অনুমতি চায় ৷ সেই আবেদন মেনে নিয়ে ওই প্ল্যান্ট ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট ৷
আরও পড়ুন: উদ্বেগ বাড়িয়ে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল 20 হাজার
বায়োভেটের আইনজীবী আরডি সোনি সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, জমি হস্তান্তরে বিলম্ব হওয়ায় ওই প্ল্যান্ট নিষ্ক্রিয় রূপে পড়ে রয়েছে ৷ এই জমির জন্য কোম্পানি কোনও ইক্যুইটি দাবি করবে না বলেও দাবি করেন তিনি ৷ জানান, তারা কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতের ইউনিট তৈরি করার অনুমতি পেয়েছেন ৷ অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, কোভ্যাক্সিন-সহ জীবনদায়ী টিকা ব্যবহার করতে চাইলে মহারাষ্ট্র সরকারের কোনও আপত্তি নেই ৷ তবে ভবিষ্যতে ওই জমির মালিকানা দাবি করতে পারবে না ওই কোম্পানি ৷ দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে হাইকোর্ট বলে, বর্তমান কোভিড সংকটকালে টিকা তৈরির জন্য শান্তিপূর্ণভাবে বায়োভেটকে ওই জমি ও প্ল্যান্ট ব্যবহারের অধিকার দিতে হবে ৷