শ্রীনগর, 1 জানুয়ারি: 'ইয়ে হাসি বাদিয়া.. ইয়ে খুলা আসমা...' রোজা সিনেমার এই গান ভূস্বর্গের অপরূপ সৌন্দর্যকে যেন অন্যরকমভাবে ব্যাখ্যা করে ৷ গগনচুম্বী বরফে ঢাকা পর্বতের সৌন্দর্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় যখন চারিদিকে হেসে ওঠে নানা রংয়ের টিউলিপ ফুল ৷ একদিকে ডাল লেক অন্যদিকে জাবারওয়ান পাহাড় ৷ তার মাঝে ইন্দিরা গান্ধি মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেনে আসন্ন মরশুমে রঙিন ফুলের প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ এশিয়ার সবচেয়ে বড় বাগানে পাঁচটি নতুন প্রজাতি-সহ 17 লক্ষ টিউলিপ পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রস্তুত।
গার্ডেনের ইন-চার্জ জাভেদ মাসুদ জানিয়েছেন, গতবারের তুলনায় এবারের টিউলিপ ফুলের প্রজাতির সংখ্যা বেড়েছে ৷ গতবার ছিল 68 রকমের ফুল ৷ এবার তা বেড়ে হয়েছে 73 রকমের ৷ নেদারল্যান্ডস থেকে এই ফুলের চারা দেরিতে আনা হলেও সঠিক সময়ে তা ফোটার জন্য তৈরি ৷ তিনি বলেন, "এই বছর নেদারল্যান্ডস থেকে ফুলের চারা আসতে দেরি হয়েছে ৷" তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন দেরি হলেও সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত হওয়া টিউলিপ গার্ডেনে 17 লক্ষ টিউলিপের সমারোহে মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সাক্ষী থাকবেন পর্যটকরা ৷
জাভেদ আরও জানিয়েছেন, গার্ডেন পরিচর্যার ক্ষেত্রে 100 জন কর্মীর অনবরত পরিশ্রম টিউলিপ গার্ডেনের সৌন্দর্য বছরের পর বছর ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে ৷ 2007 সালে তৈরি হয়েছিল এই গার্ডেন ৷ কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটন শিল্পে আকর্ষণ বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ৷ 30 হেক্টর জমির উপর তৈরি হওয়া এই টিউলিপ গার্ডেন কাশ্মীর পর্যটনের অন্যতম অঙ্গ ৷ তিনি বলেন, "জম্মু-কাশ্মীরে টিউলিপ গার্ডেন পর্যটন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করে ৷ প্রতিবছর এই গার্ডেন দেখতে ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ পর্যটক ৷ আগামিদিনে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশা করা যায় ৷" নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা কাশ্মীর উপত্যকার টিউলিপ বাগিচা প্রতিবছর পর্যটকদের আকৃষ্ট করে ৷ নানা রংয়ের বাহারি সমাহারে টিউলিপ ফুলগুলি প্রকৃতির অপরূপ রূপকে সাজিয়ে তোলে সকলের জন্য ৷
আরও পড়ুন:
1. 51 ভঙ্গিমায় সূর্য প্রণাম চার হাজার নাগরিকের, গিনেস ওয়ার্ল্ডস রের্কডসে নাম তুলল গুজরাত
2. 5 বছর বয়সি, 51 ইঞ্চি লম্বা রামলালার মূর্তি বসছে অযোধ্যার মন্দিরে, বড় ঘোষণা ট্রাস্টের
3. সৈকতে জগন্নাথ দেব, দেশবাসীকে বর্ষবরণের শুভেচ্ছা বালুশিল্পীর