ETV Bharat / bharat

BJP Slams Karnataka CM Siddaramaiah: কংগ্রেসের হাইকমান্ডের হাতের পুতুল সিদ্দারামাইয়া, কটাক্ষ বিজেপির - মল্লিকার্জুন খাড়গে

শনিবার বেঙ্গালুরুর কান্তিভারা স্টেডিয়ামে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া ৷ তার পরই তাঁকে হাইকমান্ডের হাতের পুতুল বলে কটাক্ষ করলেন ওই রাজ্যে বিজেপির সভাপতি নলীন কুমার কাটিল ৷

BJP Slams Karnataka CM Siddaramaiah
BJP Slams Karnataka CM Siddaramaiah
author img

By

Published : May 20, 2023, 4:23 PM IST

বেঙ্গালুরু, 20 মে: শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির আক্রমণের মুখে পড়তে হল কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে ৷ বিজেপির দাবি, সিদ্দারামাইয়াকে প্রথম দিন থেকেই কংগ্রেসের হাইকমান্ডের হাতের পুতুল করে রেখে দেওয়া হল ৷

এই নিয়ে শনিবার একটি টুইট করেন কর্ণাটকে বিজেপির সভাপতি নলীন কুমার কাটিল ৷ সেখানেই তিনি এই দাবি করেছেন ৷ নিজের দাবির স্বপক্ষে কাটিলের তরফে একটি চিঠির ছবি পোস্ট করা হয়েছে ৷ যে চিঠিটি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল লিখেছেন সিদ্দারামাইয়াকে ৷ ওই চিঠিতে বেণুগোপাল একটি তালিকা দিয়েছেন ৷ জানিয়েছেন, ওই তালিকায় আটজন বিধায়কের নাম সিদ্দারামাইয়া সরকারের মন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ৷

ওই চিঠিতে বেণুগোপাল আরও লিখেছেন, ‘‘যথাযথ আইনের বিধান অনুসারে এই সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে ৷’’ আর এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছেন বিজেপির সভপতি নলীন কুমার কাটিল ৷ তা নিয়েই কটাক্ষ করেছেন কর্ণাটকের সদ্য শপথ নেওয়া মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে ৷

টুইটারে কর্ণাটকে বিজেপির সভাপতি নলীন কুমার কাটিল লিখেছেন, "এই চিঠিটি প্রমাণ করে যে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারে কে মন্ত্রী হবেন, তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা সিদ্দারামাইয়ার নেই । সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে বিশ্বাসী সিদ্দারামাইয়া প্রথম দিন থেকেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের হাতের পুতুল এবং রাবার স্ট্যাম্পের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠেছেন ।"

সিদ্দারামাইয়া এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হলেন ৷ এর আগে 2013 থেকে 2018 সাল পর্যন্ত কর্ণাটকে কংগ্রেসের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি ৷ ওই বছর ভোটে হেরে তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্ব যায় ৷ জেডিএস-কে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস সরকার গড়লেও মুখ্যমন্ত্রী হন কুমারস্বামী ৷ ফলে মন্ত্রিসভায় ছিলেন না সিদ্দারামাইয়া ৷ কিন্তু এবার কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ায় তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জল্পনা জোরালো হয় ৷

কিন্তু তাঁকে কড়া টক্কর দিচ্ছিলেন কর্ণাটকে কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার ৷ তিনিও মুখ্যমন্ত্রিত্বের অন্যতম দাবিদার ছিলেন ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিদ্দারামাইয়ার উপরই ভরসা রাখে কংগ্রেস ৷ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় ৷ ডেপুটি করা হয় শিবকুমারকে ৷ তার পর নয়াদিল্লিতেই মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে বৈঠক করেন সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার ৷ সেখানেই প্রাথমিক মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত হয় বলে খবর ৷ সেই কারণেই বেণুগোপাল ওই চিঠি সিদ্দারামাইয়াকে লেখেন বলে জানা গিয়েছে ৷ যা এখন বিজেপির কাছে রাজনৈতিক আক্রমণের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷

আরও পড়ুন: ঘৃণাকে হারিয়ে ভালোবাসা জেতায় কর্ণাটকে পাঁচ প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে কংগ্রেস, আশ্বাস রাহুলের

বেঙ্গালুরু, 20 মে: শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির আক্রমণের মুখে পড়তে হল কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে ৷ বিজেপির দাবি, সিদ্দারামাইয়াকে প্রথম দিন থেকেই কংগ্রেসের হাইকমান্ডের হাতের পুতুল করে রেখে দেওয়া হল ৷

এই নিয়ে শনিবার একটি টুইট করেন কর্ণাটকে বিজেপির সভাপতি নলীন কুমার কাটিল ৷ সেখানেই তিনি এই দাবি করেছেন ৷ নিজের দাবির স্বপক্ষে কাটিলের তরফে একটি চিঠির ছবি পোস্ট করা হয়েছে ৷ যে চিঠিটি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল লিখেছেন সিদ্দারামাইয়াকে ৷ ওই চিঠিতে বেণুগোপাল একটি তালিকা দিয়েছেন ৷ জানিয়েছেন, ওই তালিকায় আটজন বিধায়কের নাম সিদ্দারামাইয়া সরকারের মন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ৷

ওই চিঠিতে বেণুগোপাল আরও লিখেছেন, ‘‘যথাযথ আইনের বিধান অনুসারে এই সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে ৷’’ আর এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছেন বিজেপির সভপতি নলীন কুমার কাটিল ৷ তা নিয়েই কটাক্ষ করেছেন কর্ণাটকের সদ্য শপথ নেওয়া মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে ৷

টুইটারে কর্ণাটকে বিজেপির সভাপতি নলীন কুমার কাটিল লিখেছেন, "এই চিঠিটি প্রমাণ করে যে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারে কে মন্ত্রী হবেন, তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা সিদ্দারামাইয়ার নেই । সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে বিশ্বাসী সিদ্দারামাইয়া প্রথম দিন থেকেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের হাতের পুতুল এবং রাবার স্ট্যাম্পের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠেছেন ।"

সিদ্দারামাইয়া এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হলেন ৷ এর আগে 2013 থেকে 2018 সাল পর্যন্ত কর্ণাটকে কংগ্রেসের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি ৷ ওই বছর ভোটে হেরে তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্ব যায় ৷ জেডিএস-কে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস সরকার গড়লেও মুখ্যমন্ত্রী হন কুমারস্বামী ৷ ফলে মন্ত্রিসভায় ছিলেন না সিদ্দারামাইয়া ৷ কিন্তু এবার কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ায় তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জল্পনা জোরালো হয় ৷

কিন্তু তাঁকে কড়া টক্কর দিচ্ছিলেন কর্ণাটকে কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার ৷ তিনিও মুখ্যমন্ত্রিত্বের অন্যতম দাবিদার ছিলেন ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিদ্দারামাইয়ার উপরই ভরসা রাখে কংগ্রেস ৷ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় ৷ ডেপুটি করা হয় শিবকুমারকে ৷ তার পর নয়াদিল্লিতেই মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে বৈঠক করেন সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার ৷ সেখানেই প্রাথমিক মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত হয় বলে খবর ৷ সেই কারণেই বেণুগোপাল ওই চিঠি সিদ্দারামাইয়াকে লেখেন বলে জানা গিয়েছে ৷ যা এখন বিজেপির কাছে রাজনৈতিক আক্রমণের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷

আরও পড়ুন: ঘৃণাকে হারিয়ে ভালোবাসা জেতায় কর্ণাটকে পাঁচ প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে কংগ্রেস, আশ্বাস রাহুলের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.