মহারাজগঞ্জ (উত্তরপ্রদেশ), 18 সেপ্টেম্বর: একটি দলিত মেয়েকে ধর্ষণের পাশাপাশি তার বাবাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের প্রাক্তন ইনচার্জ রাহি মাসুম রাজা ৷ শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করে মহারাজগঞ্জ পুলিশ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায় ৷ শনিবার অভিযুক্তকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় ৷ দায়িত্বে অবহেলার জন্য 19 জন পুলিশের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ-সহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে ৷ এক পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে ৷
28 অগস্ট সন্ত কবির নগর জেলার এক তরুণী কোতোয়ালি থানায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে তাঁর ছোট বোনকে ধর্ষণ ও তাঁর বাবাকে খুনের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ গত 5 সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত প্রাক্তন বিজেপি নেতা রাহি মাসুম রাজার ছেলে সানাউল্লাহ খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ৷ গত 6 বছর ধরে ওই তরুণী ও তাঁর পরিবার অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বাড়িতেই ভাড়া থাকেন ৷
পুলিশ সুপারের নির্দেশে কোতোয়ালি পুলিশের চারটি দল ও জেলার সোয়াট ও সগ দল বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের জন্য যায় ৷ 16 সেপ্টেম্বর সোনাউলি কোতোয়ালি এলাকার হরদিদালি গ্রাম থেকে অভিযুক্ত রাজা রাহিকে গ্রেফতার করে ৷ কড়া নিরাপত্তায় তাঁকে আদালতে তোলা হয় ৷ এরপর তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় আদালত ৷ এমনটাই জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ কুমার সিং ৷
তদন্তে জানা গিয়েছে, বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি রাজাকে বাঁচাতে নির্যাতিতার সঙ্গে 9 লক্ষ টাকার চুক্তি করেছিলেন এক পুলিশকর্মী ৷ সূত্রের দাবি, ধৃত বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে পরিচিত কোতোয়ালি থানার পুলিশ কনস্টেবল আবিদ আলি একটি আর্থিক লেনদেন করেছিল রাজাকে বাঁচাতে ৷ বিষয়টি জানার পরই তাদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয় ৷ অভিযুক্ত কনস্টেবল আবিদ আলিও প্রাক্তন বিজেপি নেতার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ৷ অভিযোগ, নির্যাতিতাকে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে তার বক্তব্য পরিবর্তন করতে বাধ্য করতেন আবিদ ৷