নয়াদিল্লি, 10 অগস্ট: দিল্লি সার্ভিসেস বিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে অমান্য করার অভিযোগ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তুলেছিল বিরোধীরা ৷ অন্য একটি বিল ঘিরেও সেই অভিযোগ উঠল ৷ এবার সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের বিল আনার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ৷ সেই বিল আজ বৃহস্পতিবারই রাজ্য়সভায় পেশ করা হবে বলে খবর ৷
কী থাকছে ওই বিলে: যে বিল আজ রাজ্যসভায় পেশ হতে চলেছে, সেই বিল অনুযায়ী, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ ও মেয়াদ নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি কমিটি হবে ৷ তিন সদস্যের কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন চেয়ারপার্সন হিসেবে ৷ অন্য দুই সদস্যদের মধ্যে একজন বিরোধী দলনেতা ৷ আর তৃতীয়জন মন্ত্রিসভার এক সদস্য ৷ তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবেন ৷
সুপ্রিম কোর্টের রায় কী ছিল: চলতি বছরের মার্চে সুপ্রিম কোর্ট দেশের নির্বাচন কমিশনের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ একটি রায় দেয় ৷ সেই রায়ে এই নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি তৈরি করতে বলা হয় ৷ সেই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ও ভারতের প্রধান বিচারপতি থাকবেন ৷ সিবিআই ডিরেক্টর নিয়োগের পদ্ধতির মতোই এই ক্ষেত্রে নিয়োগের কথা বলা হয় ৷ পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে রায় দেয় যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ৷
সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করার অভিযোগ: সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে তিন সদস্যের কমিটির সুপারিশ মেনে রাষ্ট্রপতিই দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন ৷ এই ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বিলে কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে না ৷ কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কমিটিতে দেশের প্রধান বিচারপতিকে রাখতে বলেছিল ৷ কিন্তু সেই জায়গায় একজন মন্ত্রীকে রাখতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার ৷ প্রস্তাবিত বিলে তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ আর এখানেই উঠেছে সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করার অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন: ময়দানে মোদি! প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণের অপেক্ষায় শাসক-বিরোধী
সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব: ক্যাবিনেট নেতৃত্বে একটি সার্চ কমিটি তৈরি করা হবে ৷ সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পদমর্যাদার আরও দুই সদস্য এই কমিটিতে থাকবে ৷ নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে রয়েছে, এমন দু’জনকেই কমিটিতে নেওয়া হবে ৷ তাঁরা পাঁচজনের একটি প্যানেল প্রস্তুত করবে । সেই প্যানেল থেকে তিন সদস্যের কমিটি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বেছে নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।
এছাড়া এই বিলে আরও স্পষ্ট করা হয়েছে যে বিরোধী দলনেতা হিসেবে কেউ না থাকলে লোকসভায় বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতাকেই বিরোধী দলনেতা হিসেবে গণ্য করা হবে ৷