সমস্তিপুর, 30 জুন: ঋণের জালে জর্জড়িত হয়ে প্রাণ দেওয়ার খবর মাঝেমধ্যেই শোনা যায় ৷ বিহারের এক মহিলা দেনার দায়ে রক্ত দিতে উদ্যত হলেন ৷ না, রক্তদান নয় ৷ রক্ত বিক্রি করে ঋণের কিস্তি মেটাতে চেয়েছিলেন তিনি ৷ তাঁর এই প্রস্তাব শুনে অবাক হয়ে যান হাসপাতালের কর্মীরা ৷
রক্ত বিক্রির সিদ্ধান্ত: বিহারের ওয়ারিশনগরের বাসিন্দা গুলনাজ দেবী ৷ চাষবাসের খরচের জন্য তিনি 35,000 টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ৷ সেই ঋণের একটি কিস্তি শোধ করার জন্য তাঁর 11,000 টাকার প্রয়োজন ছিল ৷ সেই টাকা জোগাড় করতে সব রকম চেষ্টা চালিয়েছিলেন ওই মহিলা ৷ কিন্তু অন্য কোনও ভাবে টাকা জোগাড় করতে না পেরে, বাধ্য হয়ে নিজের রক্ত বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ৷ যেই ভাবা সেই কাজ ৷ তিনি তাঁর স্বামী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সোজা চলে যান সদর হাসপাতালে ৷
গুলনাজ দেবী বলেন, "আমি কৃষি সরঞ্জাম কেনার জন্য একটি গ্রুপ লোন নিয়েছিলাম । কিন্তু, আমি কৃষিতে যথেষ্ট লাভ করতে পারিনি । আমাকে আজ 11,000 টাকার কিস্তি দিতে হবে । আমাকে এর জন্য টাকার ব্যবস্থা করতে হবে ।" তাই স্বামী কমলেশ রাম ও দুই সন্তানকে নিয়ে সদর হাসপাতালে যান তিনি । তাঁর রক্ত বিক্রি করার প্রস্তাবে অবাক হয়ে যান হাসপাতালের কর্মীরা ৷
আরও পড়ুন: শরীরে এসব পরিবর্তন কিডনিতে পাথরের লক্ষণ হতে পারে, সময়মতো সাবধান হোন
প্রশাসনে আলোড়ন: এই ঘটনা প্রশাসনিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করে ৷ কারণ এই ঘটনা এমন একটা সময়ে সামনে এসেছে, যখন সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রকল্প চালু করেছে । ওয়ারিশনগর ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন যে, ওই মহিলা যদি তাঁর কাছে আবেদন করেন, তবে সবদিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
তাঁর কথায়, "যদি পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়, তবে আমরা এই বিষয়ে খোঁজখবর নেব এবং তাঁদের সাহায্য করার চেষ্টা করা যেতে পারে । আমরা ঘটনাটি নোট করেছি এবং এই বিষয়ে ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে ৷"
গুলনাজ দেবী এবং তাঁর স্বামী এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে কোনও আবেদন জানাননি বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক ৷