পটনা, 18 এপ্রিল: বালি মাফিয়াদের দাপটে ত্রস্ত বিহারের রাজধানী পটনা । পুলিশের তোয়াক্কা না করে দিনের আলোয় খনি বিভাগের মহিলা পরিদর্শককে টেনে হিঁচড়ে মারধর করল মাফিয়ারা ৷ সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ৷ খনির কর্মকর্তারা পুলিশের সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছিলেন । রাস্তার ধারে ট্রাক থামিয়ে তল্লাশি চলছিল । সেই সময়ই স্থানীয় বালি মাফিয়ারা দল বেঁধে খনি দফতরের দলের উপর পাথর ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় ।
যে পুলিশের উপর ভরসা করে খনির আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছিলেন, বালি মাফিয়ার হামলায় ভয়ে কাঁপছিলেন সেই উর্দিধারীরাও ৷ তাঁদের অনেককে পালাতেও দেখা গিয়েছে ৷ ভিডিয়োতে দেখা যায়, বালি মাফিয়ারা জনগণকে উসকে দিচ্ছেন এবং খনি বিভাগের কর্মকর্তাদের লাঠি-পাথর দিয়ে মারধর করছেন ।
এ দিকে, এ সবের মধ্যে আটকা পড়ে যান এক মহিলা খনি পরিদর্শক ৷ সাদা শার্ট পরা একজন কর্মী তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন । কিন্তু তাঁর উপরও ক্রমাগত পাথর-লাঠি দিয়ে হামলা চালানো হয় । মারধর করা হয় মহিলা অফিসারকেও ৷ অন্যদিকে দ্বিতীয় ভিডিয়োতে পুলিশকে দৌড়ে পালাতেও দেখা গিয়েছে ।
পটনা পশ্চিমের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বলেছেন, "জেলা খনি বিভাগ এবং স্থানীয় পুলিশ বালি ওভারলোডিংয়ের বিষয়ে বিহতা থানা এলাকার পারেভ বালু ঘাটে অভিযান চালাচ্ছিল । অসামাজিক কিছু লোক ও ট্রাক চালকরা সরকারি কাজে বাধা দেয় । জনতা জড়ো হয়ে জেলা খনি দফতরের কর্মকর্তা ও মহিলা পরিদর্শকের উপর হামলা চালায় । এতে দুই নারী পরিদর্শক ও একজন জেলা খনি কর্মকর্তা আহত হয়েছেন ।"
পটনা সংলগ্ন বিহতা থানা এলাকার পারেভ বালু ঘাটে বালি ওভারলোডিংয়ে অভিযান চালাতে গিয়ে বালি মাফিয়া এবং ট্রাক চালকদের হাতে আক্রান্ত হয় জেলা খনি বিভাগ ৷ এই হামলায় জেলা খনি কর্মকর্তা কুমার গৌরব, মহিলা খনি পরিদর্শক অমিয় ও ফারহিন এবং আরও অনেক খনি বিভাগের কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ।
দেখা গিয়েছে যে, মহিলা অফিসারকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে খনি মাফিয়ারা । আশপাশের মানুষ দর্শক হয়ে দেখছেন । ভিডিয়োতে দেখা যায়, চালকরা বালি বোঝাই ট্রাক নিয়ে পালাতে শুরু করেন । পুলিশকর্মীরাও পালিয়ে যান ৷ এই ঘটনার পর পটনা সিটির পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার এবং দানাপুরের পুলিশ সুপার অভিমান বিহতা থানায় পৌঁছে পরিস্থিতির খোঁজ নেন । এই ঘটনায় 44 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন: হামলার আশঙ্কা, আতিক-আশরফ খুনে 3 আততায়ীকে সরানো হল নৈনি জেল থেকে