বগহা (বিহার), 8 অক্টোবর : ফের হামলা চালাল বিহারের সেই মানুষখেকো বাঘ (Man Eater Tiger) ৷ শনিবার সকালে বাঘের হানায় দু’জনের মৃত্যু হল ৷ এই নিয়ে গত দু’মাসে মোট ন’জন মারা গেলেন বাঘের হানায় ৷ গতকাল, শুক্রবার ওই বাঘ ধরতে শুট অ্যাট সাইট (দেখলেই গুলি করা)-এর নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ তার পরও ওই বাঘের হদিশ পাননি বনকর্মীরা ৷ তবে বনকর্মীদের নজর এড়িয়ে লোকালয়ে বাঘটি কিন্তু হানা চালিয়ে যাচ্ছে ৷
বন বিভাগ (Forest Department) সূত্রে খবর, শনিবার সকালে বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার বালুয়া গ্রামে হানা দেয় ওই মানুষখেকো বাঘ ৷ বাঘের হানায় একজন মহিলা ও তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে (Tiger Killed Mother and Son) ৷ বগহা শহরের গোবোর্ধন থানা এলাকার ওই গ্রামে সকাল সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ৷ তার পর থেকেই ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ৷
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় হরহিয়া সারে এলাকার সঞ্জয় মাহাতো নামে বছর 35 এর এক ব্যক্তি তুলে যায় ওই বাঘ ৷ তার আগে বুধবার মধ্যরাতে সিংহি গ্রামে 12 বছরের বালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বাঘটি ৷ শুক্রবার বাঘের হানার কোনও খবর পাওয়া না গেলেও শনিবার আবার দু’জনের মৃত্যু হল ৷ ফলে এই নিয়ে বন দফতরের উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি হল ৷
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় বাল্মিকী টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট (Valmiki Tiger Reserve Forest) রয়েছে ৷ প্রাথমিক অনুমান, বাঘটি সেখান থেকেই বেরিয়ে এসেছে ৷ গত দু’মাসে পর পর হামলা করার জেরে বাঘ ধরতে তৎপর হয়ে উঠেছিল বন দফতর ৷ বিভিন্ন দল তৈরি করে বাঘের সন্ধানও শুরু হয়েছিল ৷
কিন্তু বুধবার ও বৃহস্পতিবারের ঘটনার বাঘটিকে দেখলেই গুলি করার নির্দেশ দেন বিহারের মুখ্য বনপাল পিকে গুপ্তা ৷ জঙ্গলে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে ৷ বাল্মিকী টাইগার রিজার্ভের জোন ওয়ানের ডিএফও প্রদ্যুম্ন গৌরব জানিয়েছেন, বাঘ তো কোনও সাধারণ অপরাধী নয়, যে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে ধরে ফেলা যাবে ৷ পায়ের ছাপ দেখে জঙ্গলে সন্ধান চালাতে হবে ৷
কিন্তু পর পর মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তো বাড়ছেই ৷ তার সঙ্গে ক্ষোভও বাড়ছে ৷ শনিবার আরও দু’জনের মৃত্যুর পর বন দফতরের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে ৷ ফলে দ্রুত বাঘটিকে ধরা না গেলে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাবে বলে মনে করছেন বনাধিকারিকদের একাংশ ৷
আরও পড়ুন : ফাঁদ পেতেও লাভ হয়নি, 2 দিনে 2 জনকে শিকার বানাল নরখাদক বাঘ