ETV Bharat / bharat

বাবাকে নিয়ে সাইকেলে 1200 কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া বিহারের জ্যোতি পিতৃহারা - lockdown in delhi

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল বিহারের বাসিন্দা জ্যোতি কুমারীর বাবা মোহন পাসওয়ানের ৷ গত বছর মার্চ মাসে এই জ্যোতিই তার অসুস্থ বাবাকে নিয়ে সাইকেলে 1200 কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছিল ৷ সাইকেলেই গুরুগ্রাম থেকে ফিরেছিল বিহারের দ্বারভাঙায় ৷

Bihar girl Jyoti Kumari lost her father after one year she cycling 1,200 Km
সাইকেলে 1200 কিলোমিটার উজিয়ে নজর কাড়ার এক বছর পর বাবাকে হারাল বিহারের জ্যোতি
author img

By

Published : Jun 1, 2021, 4:05 PM IST

নয়াদিল্লি, 1 জুন : শেষ রক্ষা আর হল না ৷ বাবাকে বাঁচাতে সাইকেলে 1200 কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছিল বিহারের কিশোরী ৷ সেবার বাবাকে মৃত্য়ুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারলেও, সেই ঘটনার প্রায় এক বছর পর পিতৃহীন হতে হল জ্যোতি কুমারীকে ৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল তার বাবার ৷

গত বছর মার্চ মাসের ঘটনা ৷ করোনার দাপটে রাশ টানতে দেশজুড়ে সার্বিক লকডাউন ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সেই সময় গুরুগ্রামে থাকতেন আদতে বিহারের বাসিন্দা মোহন পাসওয়ান ৷ পেশায় ই-রিকশার চালক মোহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ৷ চিকিৎসক তাঁকে বাড়িতেই বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন ৷ অনটনের সংসারে যা অভিশাপের থেকে কম কিছু নয় ৷ এরই মধ্যে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে কোভিড ভাইরাস ৷ সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে শুরু হয় লকডাউন ৷

এদিকে, অসুস্থ বাবাকে দেখতে তার আগেই গুরুগ্রামে পৌঁছে গিয়েছিল 15 বছরের জ্যোতি ৷ সে বুঝতে পারে বাবাকে সুস্থ করতে হলে বাড়ি ফেরাটা জরুরি ৷ কিন্তু লকডাউনে গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ ৷ পকেটের এমন জোরও নেই যে বাড়তি কড়ি গুণে কোনও ব্যবস্থা করা যাবে ৷ এই অবস্থায় সাহসী সিদ্ধান্ত নেয় বছর পনেরোর কিশোরী ৷ অসুস্থ বাবাকে পিছনে বসিয়ে সাইকেলেই গুরুগ্রাম থেকে বিহারের দ্বারভাঙা ফেরে সে ৷ অক্লান্ত পরিশ্রমে পেরিয়ে যায় 1200 কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ ! তার এই হার না মানা মনোভাব নজর কাড়ে গোটা দেশের ৷ সকলেই জ্যোতির সাহস আর প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানান ৷ লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশার প্রতিমূর্তি হয়ে ওঠে বিহারের এক অখ্যাত নাবালিকা ৷

আরও পড়ুন : সাইকেলে 1200 কিলোমিটার পথ পাড়ি, জ্যোতি কুমারীকে ট্রায়ালের জন্য ডাকল CFI

এই ঘটনার পর জ্যোতিকে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল্য পুরস্কার দেওয়া হয় ৷ তাকে বিনামূল্যে টিউশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন Super 30-খ্যাত আনন্দ কুমার ৷ বিহারের লোক জনশক্তি পার্টি এবং উত্তরপ্রদেশের সমাজাবাদী পার্টির তরফেও জ্যোতির পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ৷ মেয়ের এই কৃতিত্বে সেদিন গর্বে বুক ভরে উঠেছিল হতদরিদ্র মোহনের ৷ তাঁর আশা ছিল, জ্যোতি বড় হলে হয়তো সংসারে অনটন ঘুচবে ৷ বাবার সেই স্বপ্ন জ্যোতি হয়তো পূরণও করবে একদিন ৷ কিন্তু সেদিন তার সাফল্যে শরিক হওয়ার জন্য বাবাকে আর পাশে পাবে না সে ৷

নয়াদিল্লি, 1 জুন : শেষ রক্ষা আর হল না ৷ বাবাকে বাঁচাতে সাইকেলে 1200 কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছিল বিহারের কিশোরী ৷ সেবার বাবাকে মৃত্য়ুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারলেও, সেই ঘটনার প্রায় এক বছর পর পিতৃহীন হতে হল জ্যোতি কুমারীকে ৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল তার বাবার ৷

গত বছর মার্চ মাসের ঘটনা ৷ করোনার দাপটে রাশ টানতে দেশজুড়ে সার্বিক লকডাউন ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সেই সময় গুরুগ্রামে থাকতেন আদতে বিহারের বাসিন্দা মোহন পাসওয়ান ৷ পেশায় ই-রিকশার চালক মোহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ৷ চিকিৎসক তাঁকে বাড়িতেই বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন ৷ অনটনের সংসারে যা অভিশাপের থেকে কম কিছু নয় ৷ এরই মধ্যে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে কোভিড ভাইরাস ৷ সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে শুরু হয় লকডাউন ৷

এদিকে, অসুস্থ বাবাকে দেখতে তার আগেই গুরুগ্রামে পৌঁছে গিয়েছিল 15 বছরের জ্যোতি ৷ সে বুঝতে পারে বাবাকে সুস্থ করতে হলে বাড়ি ফেরাটা জরুরি ৷ কিন্তু লকডাউনে গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ ৷ পকেটের এমন জোরও নেই যে বাড়তি কড়ি গুণে কোনও ব্যবস্থা করা যাবে ৷ এই অবস্থায় সাহসী সিদ্ধান্ত নেয় বছর পনেরোর কিশোরী ৷ অসুস্থ বাবাকে পিছনে বসিয়ে সাইকেলেই গুরুগ্রাম থেকে বিহারের দ্বারভাঙা ফেরে সে ৷ অক্লান্ত পরিশ্রমে পেরিয়ে যায় 1200 কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ ! তার এই হার না মানা মনোভাব নজর কাড়ে গোটা দেশের ৷ সকলেই জ্যোতির সাহস আর প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানান ৷ লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশার প্রতিমূর্তি হয়ে ওঠে বিহারের এক অখ্যাত নাবালিকা ৷

আরও পড়ুন : সাইকেলে 1200 কিলোমিটার পথ পাড়ি, জ্যোতি কুমারীকে ট্রায়ালের জন্য ডাকল CFI

এই ঘটনার পর জ্যোতিকে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল্য পুরস্কার দেওয়া হয় ৷ তাকে বিনামূল্যে টিউশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন Super 30-খ্যাত আনন্দ কুমার ৷ বিহারের লোক জনশক্তি পার্টি এবং উত্তরপ্রদেশের সমাজাবাদী পার্টির তরফেও জ্যোতির পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ৷ মেয়ের এই কৃতিত্বে সেদিন গর্বে বুক ভরে উঠেছিল হতদরিদ্র মোহনের ৷ তাঁর আশা ছিল, জ্যোতি বড় হলে হয়তো সংসারে অনটন ঘুচবে ৷ বাবার সেই স্বপ্ন জ্যোতি হয়তো পূরণও করবে একদিন ৷ কিন্তু সেদিন তার সাফল্যে শরিক হওয়ার জন্য বাবাকে আর পাশে পাবে না সে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.