বেঙ্গালুরু, 29 জুলাই : আস্থাভোটে জয় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার । JD(S)-কংগ্রেস জোট সরকারের পতনের পরই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি । আর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হলেন ইয়েদুরাপ্পা । আস্থাভোটে প্রমাণ করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা । এদিকে আজকের আস্থাভোটের পর কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কে আর রমেশ ।
গতকালই ইয়েদুরাপ্পা বলেছিলেন, "সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের বিষয়ে আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত ।" এই আত্মবিশ্বাসের পিছনে অবশ্য ছিল স্পিকার আর রমেশ কুমারের বিদ্রোহী বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের সিদ্ধান্ত । গতকাল কংগ্রেসের 11 ও JD(S)-এর 3 বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করেন স্পিকার আর রমেশ কুমার । এর জেরে আজকের আস্থাভোটের আগে স্বস্তি পায় BJP । সদস্যপদ খারিজ হওয়ায় কর্নাটক বিধানসভার ম্যাজিক ফিগার কমে দাঁড়ায় 105-এ । যা BJP-র কাছে ছিল ।
এর আগে চলতি মাসেই ঘোড়া কেনাবেচা-দুর্নীতি-অসহযোগিতা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন জোট সরকারের 15 জন বিধায়ক । পরে সেই দলে যোগ দেন আরও দুই নির্দল বিধায়ক । কর্নাটক ছেড়ে মুম্বইতে এসে থাকতে শুরু করেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা । এর পরেই শুরু হয় আস্থাভোট নিয়ে জল্পনা । বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত । অবশেষে 23 জুলাই আস্থা ভোটে পরাজিত হয় কুমারস্বামীর জোট সরকার । ম্যাজিক ফিগার 105 হলেও জোট সরকারের দখলে আসে মাত্র 99টি ভোট ।
সেই আস্থাভোটের 6 দিন পরে আজ ফের আস্থাভোট হয় কর্নাটকে । 14 মাসের মধ্যে এটি ছিল সেই রাজ্যে তৃতীয় আস্থাভোট । এর আগে আস্থা হারিয়ে গত বছরই ইস্তফা দিয়েছিলেন ইয়েদুরাপ্পা ৷ সেই সময় দলীয় নেতৃত্বের প্রতি তাঁর বার্তা ছিল, "ভরসা রাখুন, এই পরাজয়ের শোধ তুলব 2019-এ । এ বার নতুন করে সুযোগ তাঁর সামনে ৷"
গত বছর কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন হয় ৷ 224 আসনের মধ্যে দুটি আসনে ভোট স্থগিত ছিল ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ম্যাজিক ফিগার 112 টপকাতে পারেনি গেরুয়া শিবির ৷ তাদের ছিল 104টি আসন ৷ 78টি আসন ছিল কংগ্রেসের দখলে ৷ জনতা দল (সেকুলার) জিতেছিল 37টি আসনে ৷ একটি আসন পেয়েছিল মায়াবতীর BSP ৷ দুটি আসনে জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থী ৷ এদের মধ্যে একজন পরে BJP-কে সমর্থন করেন ৷