চাকুলিয়া, 17 জুন : স্ত্রী-কে অপহরণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল স্বামীকে । উক্ত অপরাধে জামিন পাওয়ার আগে তিন মাস জেলেও ছিলেন স্বামী । কিন্তু যে স্ত্রী-কে অপহরণ ও খুনের অভিযোগে স্বামী জেল খাটলেন, প্রায় 2 বছর বাদে তিনি ফিরে আসেন । ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার চাকুলিয়া থানার অন্তর্গত মুরাঠাকরায় ।
2017 সালের জুলাই মাসে মৌসুমি দাস স্বামী বিশ্বজিৎ দাসের বাড়ি ছেড়ে চলে যান । পালানোর সময় একটি চিঠি লিখে যান তিনি । তাতে লেখা ছিল তাঁর স্বামী তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন । এই ঘটনার 19 দিন পর মৌসুমির মা সীমা দাস থানায় অভিযোগ করেন বিশ্বজিৎ মৌসুমিকে খুন করে । সীমা দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্বজিৎকে গ্রেপ্তার করা হয় । জামিনে ছাড়া পাওয়ার আগে তিন মাস জেল খাটেন তিনি ।
নিখোঁজ হওয়ার 1 বছর 10 মাস বাদে 14 জুন মৌসুমি তাঁর মায়ের কাছে ফিরে আসেন । 15 জুন চাকুলিয়া থানার OC ত্রিভূবন রাম বলেন,"মৌসুমির মা সীমা দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন মাস জেল খাটেন বিশ্বজিৎবাবু । আমরা মৌসুমির মা-র বয়ান রেকর্ড করতে পারিনি । আমরা আবার সোমবার চেষ্টা করব । সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব । মৌসুমি দাস ও সীমা দাসকে জেরা করা হয় । যদিও জেরায় মৌসুমি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি । আমরা বিশ্বজিৎবাবুকেও ডেকেছি । তবে তিনি জানিয়েছেন এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করার আগে তিনি ভেবে দেখবেন । কারণ তাঁর স্ত্রী নিজেই পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং প্রায় দু'বছর কোনও অজানা জায়গায় থেকেছেন । "
অন্যদিকে মৌসুমি পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে একটি বাড়িতে আয়ার কাজ করতেন ।