ETV Bharat / bharat

অবতরণের জন্য সুরক্ষিত নয় কোঝিকোড় টেবিলটপ রানওয়ে, 9 বছর আগেই ছিল সতর্কবার্তা - Plane accident in Kerala

অবতরণের সময় বিমানটির চাকা পিছলে যায় । ফলে চালক বিমানটিকে আর থামাতে পারেনি । রানওয়ে পেরিয়ে সেটি পাশের খাদে পড়ে যায় । যার জেরেই দু’টুকরো হয়ে যায় IX- 1344 বিমানটি ।

Kozhikode's Tabletop Runway
টেবিলটপ রানওয়ে
author img

By

Published : Aug 8, 2020, 12:13 PM IST

কোঝিকোড়, 8 অগাস্ট : গতরাতে কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পিছলে যায় দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান IX- 1344 । দু’টুকরো হয়ে যায় বিমানটি । দুর্ঘটনায় দুই বিমান চালকসহ 18 জনের মৃত্যু হয়েছে ।

কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল ?

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে গতকাল থেকে বার বার উঠে আসছে কোঝিকোড়ের টেবিলটপ বিমানবন্দরের কথা । যা যে কোনও বড়, এয়ারবাস বা বোয়িং বিমানের অবতরণের জন্য ঝুঁকির ।

কী এই টেবিলটপ বিমানবন্দর ?

যখন কোনও বিমানবন্দর কোনও মালভূমি বা পাহাড়ের উপর তৈরি করা হয় তখন তাকে টেবিলটপ বিমানবন্দর বলা হয় । সেক্ষেত্রে রানওয়েও উঁচুতে হয় এবং তার চারিদিকে থাকে খাদ । এমন জায়গায় রানওয়ে হওয়ায় দৈর্ঘ্যও অন্যান্য বিমানবন্দরের থেকে কম হয় । একটু এদিক ওদিক হলেই খাদে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে । তাই এই ধরনের রানওয়েতে বিমান অবতরণ করানো সবসময়ই বিমানচালকদের কাছে চ্যালেঞ্জের ।

দুর্ঘটনার পর অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনেরাল জানান, অবতরণের সময় বিমানটির চাকা পিছলে যায় । ফলে, চালক বিমানটিকে আর থামাতে পারেননি । রানওয়ে পেরিয়ে সেটি পাশের খাদে পড়ে যায় । যার জেরেই দু’টুকরো হয়ে যায় বিমানটি । কেবিনের দিকের অংশে আগুন লেগে দুই চালকেরই মৃত্যু হয় ।

জানা গেছে, এই টেবিলটপ রানওয়ের জন্য বহু বিমান সংস্থা আন্তর্জাতিক বোয়িং বা এয়ারবাস বিমান ওঠানামা বন্ধ করেছিল এই কোঝিকোড়ে । এর আগেও বহুবার রানওয়ের দৈর্ঘ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।

বিমান সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন মোহন রঙ্গনাথন এবিষয়ে জানিয়েছেন, তিনি ন’বছর আগে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন । যাতে তিনি বলেছিলেন, এই বিমানবন্দর অবতরণের জন্য সুরক্ষিত নয় । তাঁর কথায়, কেরালার চারটি বিমানবন্দরের মধ্যে কোঝিকোড়ের রানওয়ে সবচেয়ে ছোটো ।

ক্যাপ্টেন রঙ্গনাথন আরও বলেন, "কোঝিকোড় বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে অনেকটা ঢাল । ন’বছর আগেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সেটা জানানো হয়েছিল । কিন্তু তারপরও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি । ফলে, এভাবেই চলছে বিমান ওঠানামা । ফলে, এখানে দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে সেটা খুন । রানওয়ের দু’দিকেই প্রায় 200 ফুট গভীর খাদ রয়েছে । এই খাদ খুবই খাঁড়া । অর্থাৎ একটু এদিক ওদিক হলেই বড় দুর্ঘটনা হতে পারে । তাও অন্ধের মতো এখানে বিমান পরিষেবা চলছে ।"

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে রানওয়ে ছোটো হওয়ার বিষয়টি সামনে এলেও তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের কথায়, কোঝিকোড় বিমানবন্দর যথেষ্ট বড় । তিনি বলেন, "এর রানওয়ে অনেকটাই বড় । রানওয়ের পাশে খাদ থাকার মানে এই নয় এটা ছোটো বিমানবন্দর । আন্তর্জাতিক বিমান এখানে ওঠানামা করে । খারাপ আবহাওয়া, বৃষ্টি ও এলোপাথাড়ি হাওয়ার জন্যই এই দুর্ঘটনা ।"

কোঝিকোড়, 8 অগাস্ট : গতরাতে কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পিছলে যায় দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান IX- 1344 । দু’টুকরো হয়ে যায় বিমানটি । দুর্ঘটনায় দুই বিমান চালকসহ 18 জনের মৃত্যু হয়েছে ।

কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল ?

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে গতকাল থেকে বার বার উঠে আসছে কোঝিকোড়ের টেবিলটপ বিমানবন্দরের কথা । যা যে কোনও বড়, এয়ারবাস বা বোয়িং বিমানের অবতরণের জন্য ঝুঁকির ।

কী এই টেবিলটপ বিমানবন্দর ?

যখন কোনও বিমানবন্দর কোনও মালভূমি বা পাহাড়ের উপর তৈরি করা হয় তখন তাকে টেবিলটপ বিমানবন্দর বলা হয় । সেক্ষেত্রে রানওয়েও উঁচুতে হয় এবং তার চারিদিকে থাকে খাদ । এমন জায়গায় রানওয়ে হওয়ায় দৈর্ঘ্যও অন্যান্য বিমানবন্দরের থেকে কম হয় । একটু এদিক ওদিক হলেই খাদে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে । তাই এই ধরনের রানওয়েতে বিমান অবতরণ করানো সবসময়ই বিমানচালকদের কাছে চ্যালেঞ্জের ।

দুর্ঘটনার পর অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনেরাল জানান, অবতরণের সময় বিমানটির চাকা পিছলে যায় । ফলে, চালক বিমানটিকে আর থামাতে পারেননি । রানওয়ে পেরিয়ে সেটি পাশের খাদে পড়ে যায় । যার জেরেই দু’টুকরো হয়ে যায় বিমানটি । কেবিনের দিকের অংশে আগুন লেগে দুই চালকেরই মৃত্যু হয় ।

জানা গেছে, এই টেবিলটপ রানওয়ের জন্য বহু বিমান সংস্থা আন্তর্জাতিক বোয়িং বা এয়ারবাস বিমান ওঠানামা বন্ধ করেছিল এই কোঝিকোড়ে । এর আগেও বহুবার রানওয়ের দৈর্ঘ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।

বিমান সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন মোহন রঙ্গনাথন এবিষয়ে জানিয়েছেন, তিনি ন’বছর আগে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন । যাতে তিনি বলেছিলেন, এই বিমানবন্দর অবতরণের জন্য সুরক্ষিত নয় । তাঁর কথায়, কেরালার চারটি বিমানবন্দরের মধ্যে কোঝিকোড়ের রানওয়ে সবচেয়ে ছোটো ।

ক্যাপ্টেন রঙ্গনাথন আরও বলেন, "কোঝিকোড় বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে অনেকটা ঢাল । ন’বছর আগেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সেটা জানানো হয়েছিল । কিন্তু তারপরও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি । ফলে, এভাবেই চলছে বিমান ওঠানামা । ফলে, এখানে দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে সেটা খুন । রানওয়ের দু’দিকেই প্রায় 200 ফুট গভীর খাদ রয়েছে । এই খাদ খুবই খাঁড়া । অর্থাৎ একটু এদিক ওদিক হলেই বড় দুর্ঘটনা হতে পারে । তাও অন্ধের মতো এখানে বিমান পরিষেবা চলছে ।"

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে রানওয়ে ছোটো হওয়ার বিষয়টি সামনে এলেও তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের কথায়, কোঝিকোড় বিমানবন্দর যথেষ্ট বড় । তিনি বলেন, "এর রানওয়ে অনেকটাই বড় । রানওয়ের পাশে খাদ থাকার মানে এই নয় এটা ছোটো বিমানবন্দর । আন্তর্জাতিক বিমান এখানে ওঠানামা করে । খারাপ আবহাওয়া, বৃষ্টি ও এলোপাথাড়ি হাওয়ার জন্যই এই দুর্ঘটনা ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.