দিল্লি, 3 জুলাই : যক্ষ্মার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধকে বিশেষ গুরুত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার । ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR), FIND এবং মোলবায়ো ডায়াগনস্টিক্স যৌথভাবে তিনটি র্যাপিড মলিকিউলার ট্রুন্যাট পরীক্ষা তৈরি করেছে । সেই ট্রুন্যাট পরীক্ষাকে স্বীকৃতি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ।এই পরীক্ষার দ্বারা প্রাথামিকভাবে যক্ষ্মা নির্ণয় করা যাবে । ফুসফুসের যক্ষ্মার উপসর্গ যে শিশু এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে রয়েছে, তাঁদের শরীরে রিফ্যামপিসিন রেজ়িসট্যান্সের শণাক্তকরণ করা হবে ।
ICMR -র তরফে জানানো হয়েছে, এই তিনটি পরীক্ষাই পোর্টবেল ব্যাটারি চালিত ট্রুন্যাট ডিভাইসে করা হবে । এবং এক ঘণ্টারও কম সময়ে ফলাফল পাওয়া যাবে । ট্রুন্যাট MTB এবং ট্রুন্যাট MTB প্লাস মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম যক্ষ্মা ব্যাকটেরিয়াকে শনাক্ত করবে । ট্রুন্যাট MTB-RIF Dx শণাক্ত করবে রিফ্যামপিসিন রেজ়িসট্যান্স বা প্রতিরোধ ।
গ্লোবাল হেলথ কেয়ার সেক্টরে বিভিন্ন কাজ করেছে মোলবায়ো ডায়াগনস্টিক্স এবং ফাউন্ডেশন ফর ইনোভেটিভ নিউ ডায়াগনস্টিক্স (FIND) । ICMR-র স্বীকৃতির পর, ভারতীয় ন্যাশনাল TB এলিমিনেশন প্রোগ্রামে (NTEP) ট্রুন্যাট পরীক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।
ICMR-র ডিরেক্টর জেনেরাল জানিয়েছেন, "ICMR এবং স্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগ (HDR)-র জন্য এটি গর্বের বিষয় । যক্ষ্মা এবং MDR/XDR- যক্ষ্মার নির্ণয়ের জন্য উন্নতমানের প্রযুক্তিতে পৌঁছানো একটি দীর্ঘ সফর । ভারতের NTEP-এ ইতিমধ্যেই ট্রুন্যাটকে গ্রহণ করা হয়েছে । "
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যক্ষ্মামুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত । অন্তত 2025-এর মধ্যে যক্ষ্মামুক্ত দেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে । এই প্রস্তুতি দেশের স্বাস্থ্য খাতে আরও একটি বড় সাফল্য । এই পদক্ষেপ ভারতের চিকিৎসক এবং গবেষকদের যক্ষ্মা মুক্ত ভারত গড়ার জন্য উৎসাহিত করবে ।
সম্প্রতি 2020-এর ভারতের যক্ষ্মা রিপোর্ট প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন । এবং নিশ্চিত করেন, 2025-এর আগেই ভারত যক্ষ্মার মোকাবিলায় জয়ী হবে । 2017 সালে কেন্দ্র একটি ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান তৈরি করে । এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য, 2025-এর মধ্যে দেশে যক্ষ্মা নির্মূল করা ।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, 2019 সালে ভারতে 24.04 লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন । যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে 79,144জনের ।