ETV Bharat / bharat

'স্বদেশি'র জন্য অ্যাকশন প্ল্যান কই? - দেশের অভ্যন্তরীণ খরচ বছরে প্রায় 42 লাখ কোটি টাকা

দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়াতে একটা দীর্ঘমেয়াদি নীতি প্রণয়ন করা হয়, তাহলে বিদেশের ওপর নির্ভরতা কমার পাশাপাশি দেশীয় শিল্পেরও বিপুল বৃদ্ধি হবে । কেন্দ্রের উচিত, যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রকে উৎসাহিত করা, তাদের উৎপাদনের পরবর্তী স্তরের সঙ্গে যুক্ত করা ৷

Where is the action plan for Swadeshi?
Where is the action plan for Swadeshi?
author img

By

Published : Dec 30, 2020, 12:40 PM IST

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সোনালি স্বপ্ন হল, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে এমন এক স্বনির্ভর ভারত তৈরি করা, যা উৎপাদন ক্ষেত্রে সুপার পাওয়ার হিসেবে উঠে আসবে । সর্বশেষ 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে তিনি আত্মনির্ভরতার স্লোগানও দিয়েছেন এই মর্মে । নতুন বছরে শুধুমাত্র ভারতে তৈরি পণ্য কেনার সংকল্প নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । পাশাপাশি তিনি ভারতের শিল্পমহল এবং উৎপাদকদের পরামর্শ দেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলতে । উৎপাদন ক্ষেত্র এবং জাতীয় অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন ঘটাতে সরকার প্রথম যে পদক্ষেপ নিতে পারে, সেটা হল ক্ষুদ্রশিল্পকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া ।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে টেলিভিশন ও দামি আসবাব, যা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় পড়ে না, তার আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ চাপানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় । স্বদেশিকে উৎসাহিত করার প্রয়াস হিসেবে কেন্দ্রীয় পুলিশ কল্যাণ ভাণ্ডারের স্টোরগুলি থেকে 1000-এরও বেশি ধরণের বিদেশি পণ্য সরিয়ে নেওয়া হয় । গত সাত মাস ধরেই এটা কার্যকর রয়েছে । কেন্দ্র দেশজুড়ে একটি নির্দিষ্ট নীতি চালু করতে চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে । অতীতের হিসেব বলছে, দেশের অভ্যন্তরীণ খরচ বছরে প্রায় 42 লাখ কোটি টাকা । যদিও বৃদ্ধির হার কোরোনা পরিস্থিতির জেরে একটু সঙ্কুচিত হয়েছে, তা সত্ত্বেও ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট, শিল্প একাই 2025 সালের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে 1.5 লাখ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে ।

আরও পড়ুন :সোনায় চমক এনেছে কোরোনা, কীভাবে করবেন বিনিয়োগ ?

দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রের বাণিজ্য দপ্তরের মতে, দেশের 12 লাখ কোটি টাকা বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে সেই ভারসাম্যহীনতার কারণে, যখন 2019 সালে আমদানির পরিমাণ রপ্তানিকে ছাপিয়ে গিয়েছিল । যদি দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়াতে একটা দীর্ঘমেয়াদি নীতি প্রণয়ন করা হয়, তাহলে বিদেশের ওপর নির্ভরতা কমার পাশাপাশি দেশীয় শিল্পেরও বিপুল বৃদ্ধি হবে । কেন্দ্রের উচিত, যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রকে উৎসাহিত করা, তাদের উৎপাদনের পরবর্তী স্তরের সঙ্গে যুক্ত করা, এবং পাশাপাশি তাদের সাহায্য করতে বর্তমান যে ব্যবস্থা রয়েছে, তাকে শক্তিশালী করা । দেশের স্বাভাবিক শক্তির উৎস হল তরুণ প্রজন্ম । চিন ও জাপানের তুলনায় ভারতীয়দের গড় বয়স অনেক কম । গড় ভারতীয়ের বয়স 28 বছর । পরিসংখ্যান বলছে, যে দেশের জনসংখ্যার 64 শতাংশ সেই বয়সের মধ্যে পড়েন, যাঁরা কাজ করতে সক্ষম । যে ব্যবস্থা শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা বাড়ায়, তা মুছে ফেলা উচিত । এই মুহূর্তে প্রয়োজন দক্ষ শ্রমিকদের সংখ্যাবৃদ্ধি । ভারতীয় পণ্যের চাহিদা বাড়বে, যখন উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশে শিল্পের দুরবস্থা ঘুচবে ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সোনালি স্বপ্ন হল, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে এমন এক স্বনির্ভর ভারত তৈরি করা, যা উৎপাদন ক্ষেত্রে সুপার পাওয়ার হিসেবে উঠে আসবে । সর্বশেষ 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে তিনি আত্মনির্ভরতার স্লোগানও দিয়েছেন এই মর্মে । নতুন বছরে শুধুমাত্র ভারতে তৈরি পণ্য কেনার সংকল্প নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । পাশাপাশি তিনি ভারতের শিল্পমহল এবং উৎপাদকদের পরামর্শ দেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলতে । উৎপাদন ক্ষেত্র এবং জাতীয় অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন ঘটাতে সরকার প্রথম যে পদক্ষেপ নিতে পারে, সেটা হল ক্ষুদ্রশিল্পকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া ।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে টেলিভিশন ও দামি আসবাব, যা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় পড়ে না, তার আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ চাপানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় । স্বদেশিকে উৎসাহিত করার প্রয়াস হিসেবে কেন্দ্রীয় পুলিশ কল্যাণ ভাণ্ডারের স্টোরগুলি থেকে 1000-এরও বেশি ধরণের বিদেশি পণ্য সরিয়ে নেওয়া হয় । গত সাত মাস ধরেই এটা কার্যকর রয়েছে । কেন্দ্র দেশজুড়ে একটি নির্দিষ্ট নীতি চালু করতে চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে । অতীতের হিসেব বলছে, দেশের অভ্যন্তরীণ খরচ বছরে প্রায় 42 লাখ কোটি টাকা । যদিও বৃদ্ধির হার কোরোনা পরিস্থিতির জেরে একটু সঙ্কুচিত হয়েছে, তা সত্ত্বেও ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট, শিল্প একাই 2025 সালের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে 1.5 লাখ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে ।

আরও পড়ুন :সোনায় চমক এনেছে কোরোনা, কীভাবে করবেন বিনিয়োগ ?

দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রের বাণিজ্য দপ্তরের মতে, দেশের 12 লাখ কোটি টাকা বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে সেই ভারসাম্যহীনতার কারণে, যখন 2019 সালে আমদানির পরিমাণ রপ্তানিকে ছাপিয়ে গিয়েছিল । যদি দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়াতে একটা দীর্ঘমেয়াদি নীতি প্রণয়ন করা হয়, তাহলে বিদেশের ওপর নির্ভরতা কমার পাশাপাশি দেশীয় শিল্পেরও বিপুল বৃদ্ধি হবে । কেন্দ্রের উচিত, যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রকে উৎসাহিত করা, তাদের উৎপাদনের পরবর্তী স্তরের সঙ্গে যুক্ত করা, এবং পাশাপাশি তাদের সাহায্য করতে বর্তমান যে ব্যবস্থা রয়েছে, তাকে শক্তিশালী করা । দেশের স্বাভাবিক শক্তির উৎস হল তরুণ প্রজন্ম । চিন ও জাপানের তুলনায় ভারতীয়দের গড় বয়স অনেক কম । গড় ভারতীয়ের বয়স 28 বছর । পরিসংখ্যান বলছে, যে দেশের জনসংখ্যার 64 শতাংশ সেই বয়সের মধ্যে পড়েন, যাঁরা কাজ করতে সক্ষম । যে ব্যবস্থা শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা বাড়ায়, তা মুছে ফেলা উচিত । এই মুহূর্তে প্রয়োজন দক্ষ শ্রমিকদের সংখ্যাবৃদ্ধি । ভারতীয় পণ্যের চাহিদা বাড়বে, যখন উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশে শিল্পের দুরবস্থা ঘুচবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.