দিল্লি, 12 এপ্রিল : কলকাতা বিমানবন্দরে শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের হেনস্থার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। ওই আধিকারিকরা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর ব্যাগ পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। সেসময় তাঁদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
16 মার্চ ঘটনাটি ঘটে। অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলা ব্যাঙ্কক থেকে ফিরছিলেন। তাঁর কাছে বেশ কয়েকটি ব্যাগ ছিল। ওই ব্যাগ পরীক্ষা করানোর জন্য তাঁকে দাঁড় করানো হয়। যা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। খবর যায় এয়ারপোর্ট থানাতেও। অভিযোগ দায়ের হয় শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। এদিকে, শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরাও অভিযোগ করেন, তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে। এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় শুল্ক দপ্তর।
আজ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ বলে, "ঘটনাটি খুবই উদ্বেগজনক। কেউ আমাদের চিন্তাভাবনাকে অন্যদিকে নিয়ে গেছে।" সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে, "এটা উদ্বেগজনক বিষয়। কার দাবি সত্যি সেটাই আমরা জানি না। পশ্চিমবঙ্গে কী হচ্ছে সেটাই জানতে চাই।"
এদিকে, আজ রাজ্যের কাউন্সেল অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেন, পিটিশনের উপর আদালতের কোনও নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। যদিও শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, এই বিষয়টিকে তারা মান্যতা দিচ্ছে না।
এর আগে, 29 মার্চ এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, 16 মার্চ কলকাতা বিমানবন্দরে এক সাংসদের স্ত্রীর ব্যাগ পরীক্ষা করতে চাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। সলিসিটর জেনেরাল তুষার মেহতা বলেন, "নারুলা ও মেনাকা গম্ভীর নামে দু'জনকে আটকানোর পর বিশাল পুলিশ বাহিনী কলকাতা বিমানবন্দরে যায়। ওই দু'জনেরই থাইল্যান্ডের পাসপোর্ট রয়েছে। ব্যাগ পরীক্ষার জন্যই তাঁদের আটকানো হয়েছিল।"
এদিকে, বিভিন্ন মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে যায় রুজিরা ব্যাগে সোনা নিয়ে আসছিলেন। যদিও পরে সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "2 গ্রাম সোনা পেলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।" ঘটনায় রাজনৈতিক-যোগের ইঙ্গিতও দেন তিনি।