ETV Bharat / bharat

'জল' বিশ্বের জন্য লুকিয়ে থাকা একটি বিপদ

গত একশতে জল পানের পরিমাণ ছয়গুণ বেড়েছে। অন্যদিকে জনসংখ্যাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরার মতে সমস্যার শিকার হচ্ছে বিশ্ব। ফলে জলের চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে।

water crisis
জল সংকট
author img

By

Published : Aug 12, 2020, 8:37 AM IST

মারাত্মক বিপর্যয় হবে, যদি না আমরা এখনই জেগে উঠি!

প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবেশগত পরিবর্তন হওয়ার ফলে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে ৷ বিশ্বের জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় 780 কোটি । এর মধ্যে 220 কোটি মানুষের কাছে সুরক্ষিত পানীয় জল নেই । 420 কোটি মানুষের কাছে উপযুক্ত নিকাশির সুবিধাও নেই ৷ ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলের একটি প্রতিবেদন (2020) অনুযায়ী, পরিবেশে যে বদল ঘটছে তাতে গুণমান সম্পন্ন জল পাওয়ার ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হবে ৷ ওই প্রতিবেদনে এটাও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে বিশ্বের দেশগুলি যদি এখনই জেগে না ওঠে এবং UNO-র দেখানো পথে এগিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন না করে, তাহলে 2030 সালের মধ্যে জলকে সুরক্ষিত করা এবং নিকাশির পরিস্থিতি ভালো করার লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে না ৷

প্রতিটি দেশের জন্যই সমস্যা !

গত একশো বছরে জল পানের পরিমাণ ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ একদিকে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ অন্যদিকে জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য সুপার সাইক্লোন, বন্যা, খরার মতো সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং যার ফলে বিশ্বের দেশগুলি সমস্যার মুখে পড়েছে ৷ এর ফলে জলের উপর লক্ষ্যণীয় ভাবে চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ আসলে এই সময়ে অনেক দেশই জল সংকটের সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছে ৷ ওয়ার্ল্ড রিসোর্স কাউন্সিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী (2019), যে সমস্ত দেশ জল সংকটে ভুগছে, তার মধ্যে কাতারের অবস্থান একেবারে প্রথমে রয়েছে ৷ আর ভারতের অবস্থান 13 নম্বর স্থানে ৷ বিশেষজ্ঞরা এটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে জলের ঘাটতির পরিমাণে হয়তো হেরফের হতে পারে ৷ কিন্তু ভবিষ্যতে সারা বিশ্বের সমস্ত দেশকেই জলের অভাবে ভুগতে হবে ৷ ফলে জলের অভাব সারা বিশ্বের সমস্ত দেশের সাধারণ একটি অ্যাজেন্ডা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ মোট যে পরিমাণ জলের প্রয়োজন হয়, তার মধ্যে কৃষিক্ষেত্রেই দরকার পড়ে 69 শতাংশ ৷ শিল্পক্ষেত্র, জ্বালানি সংক্রান্ত সামগ্রী, মৎস্যক্ষেত্রগুলি জলের অভাবে খারাপ প্রভাব ফেলে ৷ কৃষি উন্নয়ন, UNO-র আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল তাদের একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে ৷ আর সারা বিশ্বকে একসঙ্গে এখন সঠিক লক্ষ্য স্থির করে কাজ করতে হবে ৷

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ এর ফলে জলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়েছে এবং জলের গুণগত মান আরও খারাপ হয়ে গেছে ৷ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হওয়া জলাশয় এবং হ্রদ নিজে থেকেই জল পরিষ্কার করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে ৷ খরা এবং দুর্ভিক্ষের সময় দূষণ হয় এমন পদার্থ বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে জল দূষিত হয়ে যায় ৷ এই ধরনের খারাপ প্রভাবের জন্য খাদ্যশস্য উৎপাদন কমে যায় ৷ জলবায়ু, শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, রোগ এবং অর্থনৈতিক সংকটের জন্য মানুষ এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় চলে যান ৷ পরিস্থিতি এমন খারাপ জায়গায় চলে গিয়েছে যে মানুষ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না ৷ শুধু তাই নয়, বন ও জলাভূমি বিলুপ্ত হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ৷

বৃষ্টিপাতে যে মারাত্মক তারতম্য তৈরি হয়েছে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে, তাতে বিভিন্ন ধরনের অনির্দিষ্টতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে ৷ ক্রান্তীয় অঞ্চলে জলের পরিমাণ কমতে দেখা যাচ্ছে ৷ ভারতও এই অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে ৷ পৃথিবীর মানচিত্র থেকে কিছু অঞ্চল অদৃশ্য হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে । জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তুষার নির্ভর নদীগুলির উপর পড়বে । সারা বিশ্বের দেশগুলির কৌশলগত পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে দুইটি কৌশলকে অবলম্বন করে ৷ এরই অংশ হিসেবে তাদের জলবায়ুর সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে বৈজ্ঞানিকভাবে অনুমান করার জন্য সক্ষম হতে হবে ৷ এর ফলে সম্ভাব্য জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে প্রযুক্তিগত ভাবে এবং বৈজ্ঞানিক অনুমান করা সম্ভব হবে । এর ফলে আমরা এই পরিবর্তনের তীব্রতা আগে থেকেই অনুমান করতে পারব ৷ আর প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে । একমাত্র সুরাহা তখনই মিলতে পারে, যখন কার্বন ডাই অক্সাইড এবং গ্রিন হাউস গ্যাস কমাতে পদক্ষেপ করা হবে ৷ এটি বড় ভৌগোলিক অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্কিত । এর মধ্যে জলের সম্পদের ব্যবহার, সেগুলির পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা, নর্দমা তৈরির ব্যবস্থাপনা করার কাজ ইত্যাদি থাকবে । এর কারণ হল গ্রিন হাউস গ্যাস 3 থেকে 7 শতাংশ নর্দমা থেকে উৎপন্ন হয় ৷

পরিবেশের জন্য চিকিৎসা

নর্দমার জল থেকে যে মিথেন গ্যাস নির্গত হয়, তা খুবই শক্তিশালী গ্রিন হাউস গ্যাস ৷ সারা বিশ্বে এটা হিসেব করে দেখা গিয়েছে যে নদর্মা থেকে যে পরিমাণ জল বের হয়ে পরিবেশের সঙ্গে মিশে যায়, তার 80 থেকে 90 শতাংশ কোনও রকম শোধন হয় না ৷ জ়র্ডন, মেক্সিকো, পেরু, থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলিতে জৈব উপাদানের মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে মিথেন গ্যাস বের করে নেওয়া হয় এবং প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করা হয় ৷ এর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং গ্রিন হাউস গ্যাস কয়েক হাজার টন কমে যায় ৷ একইভাবে, রক্ষণশীল কৃষি পদ্ধতি এবং জলাভূমি সুরক্ষা অনুসরণ করে, পরিবেশের আর্দ্রতা সংরক্ষণ করা যেতে পারে । দূষিত জলকে আংশিক ভাবে পুনর্ব্যবহার এবং ঠিক করার মাধ্যমে জলের মধ্যে থাকা বর্জ্য পদার্থ মারাত্মকভাবে কমে যায় । জলের উৎস এবং নিকাশি পরিষেবার মান ঠিক রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে হবে সরকারকে ৷

মারাত্মক বিপর্যয় হবে, যদি না আমরা এখনই জেগে উঠি!

প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবেশগত পরিবর্তন হওয়ার ফলে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে ৷ বিশ্বের জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় 780 কোটি । এর মধ্যে 220 কোটি মানুষের কাছে সুরক্ষিত পানীয় জল নেই । 420 কোটি মানুষের কাছে উপযুক্ত নিকাশির সুবিধাও নেই ৷ ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলের একটি প্রতিবেদন (2020) অনুযায়ী, পরিবেশে যে বদল ঘটছে তাতে গুণমান সম্পন্ন জল পাওয়ার ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হবে ৷ ওই প্রতিবেদনে এটাও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে বিশ্বের দেশগুলি যদি এখনই জেগে না ওঠে এবং UNO-র দেখানো পথে এগিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন না করে, তাহলে 2030 সালের মধ্যে জলকে সুরক্ষিত করা এবং নিকাশির পরিস্থিতি ভালো করার লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে না ৷

প্রতিটি দেশের জন্যই সমস্যা !

গত একশো বছরে জল পানের পরিমাণ ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ একদিকে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ অন্যদিকে জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য সুপার সাইক্লোন, বন্যা, খরার মতো সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং যার ফলে বিশ্বের দেশগুলি সমস্যার মুখে পড়েছে ৷ এর ফলে জলের উপর লক্ষ্যণীয় ভাবে চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ আসলে এই সময়ে অনেক দেশই জল সংকটের সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছে ৷ ওয়ার্ল্ড রিসোর্স কাউন্সিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী (2019), যে সমস্ত দেশ জল সংকটে ভুগছে, তার মধ্যে কাতারের অবস্থান একেবারে প্রথমে রয়েছে ৷ আর ভারতের অবস্থান 13 নম্বর স্থানে ৷ বিশেষজ্ঞরা এটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে জলের ঘাটতির পরিমাণে হয়তো হেরফের হতে পারে ৷ কিন্তু ভবিষ্যতে সারা বিশ্বের সমস্ত দেশকেই জলের অভাবে ভুগতে হবে ৷ ফলে জলের অভাব সারা বিশ্বের সমস্ত দেশের সাধারণ একটি অ্যাজেন্ডা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ মোট যে পরিমাণ জলের প্রয়োজন হয়, তার মধ্যে কৃষিক্ষেত্রেই দরকার পড়ে 69 শতাংশ ৷ শিল্পক্ষেত্র, জ্বালানি সংক্রান্ত সামগ্রী, মৎস্যক্ষেত্রগুলি জলের অভাবে খারাপ প্রভাব ফেলে ৷ কৃষি উন্নয়ন, UNO-র আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল তাদের একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে ৷ আর সারা বিশ্বকে একসঙ্গে এখন সঠিক লক্ষ্য স্থির করে কাজ করতে হবে ৷

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ এর ফলে জলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়েছে এবং জলের গুণগত মান আরও খারাপ হয়ে গেছে ৷ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হওয়া জলাশয় এবং হ্রদ নিজে থেকেই জল পরিষ্কার করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে ৷ খরা এবং দুর্ভিক্ষের সময় দূষণ হয় এমন পদার্থ বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে জল দূষিত হয়ে যায় ৷ এই ধরনের খারাপ প্রভাবের জন্য খাদ্যশস্য উৎপাদন কমে যায় ৷ জলবায়ু, শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, রোগ এবং অর্থনৈতিক সংকটের জন্য মানুষ এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় চলে যান ৷ পরিস্থিতি এমন খারাপ জায়গায় চলে গিয়েছে যে মানুষ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না ৷ শুধু তাই নয়, বন ও জলাভূমি বিলুপ্ত হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ৷

বৃষ্টিপাতে যে মারাত্মক তারতম্য তৈরি হয়েছে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে, তাতে বিভিন্ন ধরনের অনির্দিষ্টতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে ৷ ক্রান্তীয় অঞ্চলে জলের পরিমাণ কমতে দেখা যাচ্ছে ৷ ভারতও এই অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে ৷ পৃথিবীর মানচিত্র থেকে কিছু অঞ্চল অদৃশ্য হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে । জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তুষার নির্ভর নদীগুলির উপর পড়বে । সারা বিশ্বের দেশগুলির কৌশলগত পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে দুইটি কৌশলকে অবলম্বন করে ৷ এরই অংশ হিসেবে তাদের জলবায়ুর সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে বৈজ্ঞানিকভাবে অনুমান করার জন্য সক্ষম হতে হবে ৷ এর ফলে সম্ভাব্য জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে প্রযুক্তিগত ভাবে এবং বৈজ্ঞানিক অনুমান করা সম্ভব হবে । এর ফলে আমরা এই পরিবর্তনের তীব্রতা আগে থেকেই অনুমান করতে পারব ৷ আর প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে । একমাত্র সুরাহা তখনই মিলতে পারে, যখন কার্বন ডাই অক্সাইড এবং গ্রিন হাউস গ্যাস কমাতে পদক্ষেপ করা হবে ৷ এটি বড় ভৌগোলিক অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্কিত । এর মধ্যে জলের সম্পদের ব্যবহার, সেগুলির পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা, নর্দমা তৈরির ব্যবস্থাপনা করার কাজ ইত্যাদি থাকবে । এর কারণ হল গ্রিন হাউস গ্যাস 3 থেকে 7 শতাংশ নর্দমা থেকে উৎপন্ন হয় ৷

পরিবেশের জন্য চিকিৎসা

নর্দমার জল থেকে যে মিথেন গ্যাস নির্গত হয়, তা খুবই শক্তিশালী গ্রিন হাউস গ্যাস ৷ সারা বিশ্বে এটা হিসেব করে দেখা গিয়েছে যে নদর্মা থেকে যে পরিমাণ জল বের হয়ে পরিবেশের সঙ্গে মিশে যায়, তার 80 থেকে 90 শতাংশ কোনও রকম শোধন হয় না ৷ জ়র্ডন, মেক্সিকো, পেরু, থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলিতে জৈব উপাদানের মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে মিথেন গ্যাস বের করে নেওয়া হয় এবং প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করা হয় ৷ এর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং গ্রিন হাউস গ্যাস কয়েক হাজার টন কমে যায় ৷ একইভাবে, রক্ষণশীল কৃষি পদ্ধতি এবং জলাভূমি সুরক্ষা অনুসরণ করে, পরিবেশের আর্দ্রতা সংরক্ষণ করা যেতে পারে । দূষিত জলকে আংশিক ভাবে পুনর্ব্যবহার এবং ঠিক করার মাধ্যমে জলের মধ্যে থাকা বর্জ্য পদার্থ মারাত্মকভাবে কমে যায় । জলের উৎস এবং নিকাশি পরিষেবার মান ঠিক রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে হবে সরকারকে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.