জয়পুর, 14 জুলাই : নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য গতকাল বিধায়কদলের একটি বৈঠক ডাকে রাজস্থান কংগ্রেস ৷ নামে বিধায়কদলের বৈঠক হলেও আদতে তা ছিল গেহলট অনুগামীদের বৈঠক ৷ নিজের শক্তি পরীক্ষা করার জন্য এই বৈঠকের আহ্বান করেছিলেন অশোক গেহলট ৷ বৈঠক শেষে দাবি করা হয়, বিধায়করা একজোট রয়েছেন ৷ 107 জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে সরকারের প্রতি ৷ কিন্তু এর ঘণ্টাখানেক পরই পাইলট অনুগামীদের একটি ভিডিয়ো সামনে আসে ৷
সেই ভিডিয়োতে প্রায় জনা পনেরো বিধায়ককে দেখা যায় ৷ এরা সকলেই পাইলট ঘনিষ্ঠ ৷ যদিও সচিন পাইলটকে দেখা যায়নি সেখানে ৷ হরিয়ানার মানেসরের একটি হোটেলে ওই ভিডিয়োটি বানানো হয়েছে৷ তবে, পাইলট শিবিরের এই ভিডিয়ো রাজস্থান কংগ্রেসের অন্দরের দ্বন্দ্বকে আরও একবার প্রকট করল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের । তাঁদের মতে, গেহলট সংখ্যা গরিষ্ঠতার যে দাবি করেছেন, তাকে চ্যালেঞ্জ করতেই এই ভিডিয়ো জেনেবুঝেই সামনে এনেছেন পাইলটপন্থীরা । প্রসঙ্গত, আজ দুপুরে কংগ্রেস বিধায়কদলের বৈঠক চলাকালীনও সচিন পাইলট দাবি করেছিলেন, "অশোক গেহলটের দাবি সম্পূর্ণ ভুল । আমার পাশে 25 জন বিধায়ক বসে রয়েছেন । আমরা কেউই কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে যোগ দিতে জয়পুর যাইনি ।"
-
Haryana: Rajasthan Congress MLAs Inder Raj Gurjar, PR Meena, GR Khatana, and Harish Meena among others, at a hotel in Manesar. (Video released from Sachin Pilot's office of MLAs supporting him) pic.twitter.com/IHToT5tkiR
— ANI (@ANI) July 13, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Haryana: Rajasthan Congress MLAs Inder Raj Gurjar, PR Meena, GR Khatana, and Harish Meena among others, at a hotel in Manesar. (Video released from Sachin Pilot's office of MLAs supporting him) pic.twitter.com/IHToT5tkiR
— ANI (@ANI) July 13, 2020Haryana: Rajasthan Congress MLAs Inder Raj Gurjar, PR Meena, GR Khatana, and Harish Meena among others, at a hotel in Manesar. (Video released from Sachin Pilot's office of MLAs supporting him) pic.twitter.com/IHToT5tkiR
— ANI (@ANI) July 13, 2020
অশোক গেহলট শিবির মুখে সংখ্যা গরিষ্ঠতার দাবি করলেও বিধায়কদের একজোট রাখতে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে । এরই মধ্যে গেহলটের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে এক আঞ্চলিক দল । তাদের দুই বিধায়ক নাকি ইতিমধ্যেই কংগ্রেসর উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন ৷
আবার আস্থাভোট হলে ভারতীয় ট্রাইবাল দলের সমর্থন নাও পেতে পারেন গেহলট । কারণ, ট্রাইবাল দলের প্রধান মহেশ ভাই বাসব দলীয় বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন, বিধানসভায় আস্থা ভোট হলে কোনও পক্ষ না নেওয়ার জন্য ৷ আস্থা ভোট এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ দলের দুই বিধায়ক জানিয়েছেন, "আমরা এখন সরকারের সঙ্গেই রয়েছি ৷ কিন্তু, দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷" সম্প্রতি যে রাজ্যসভা নির্বাচন হল, তাতে ভারতীয় ট্রাইবাল দলের দুই বিধায়কই কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ৷ এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মহেশ ভাই বাসব কোনদিকে ঝুঁকবেন, সেই দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল ৷
দেখে শুনে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, 30 জন কংগ্রেস ও কয়েকজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন সঙ্গে থাকার যে দাবি সচিন করে আসছেন তা যদি সত্যি হয়, তাহলে তাঁকে গেহলেটের সরকার ভেঙে দিতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না । প্রসঙ্গত, রাজস্থানে 200টি আসনের মধ্যে 107টি কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৷ পাশাপাশি 12 জন নির্দল প্রার্থীরও সমর্থন রয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে প্রায় 30 জন বিধায়কের সমর্থন তাঁর সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি করছেন সচিন পাইলট ।
সোনিয়া গান্ধি বা রাহুল গান্ধির মধ্যস্থতায় গেহলট ও পাইলটের দূরত্ব কমবে বলে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন ৷ কিন্তু সেই সম্ভাবনাতেও গতকাল কার্যত জল ঢেলে দেন পাইলট ৷ সাফ জানিয়ে দেন, রাহুল গান্ধির সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই দেখা করবেন না ৷ তাহলে কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পথ ধরেই নিজের অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে BJP-তে যোগ দেবেন সচিন পাইলট ? সেই প্রশ্নটাই ঘোরাফেরা করছে রাজস্থানের রাজনীতিতে ।