ETV Bharat / bharat

70 বছরের মধ্যে এমন অভূতপূর্ব আর্থিক সংকট দেখেনি দেশ : নীতি আয়োগ কর্তা - NITI Aayog

পরিসংখ্যানের নিরিখেই কুমারের বিশ্লেষণ, অটোমোবাইল সেক্টর ধুঁকছে । বহু কর্মী ছাঁটাই করে বা ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে অধিকাংশ সংস্থা । উৎপাদন ক্ষেত্রে ভাটা । নতুন কোনও শিল্প বা বিনিয়োগের রাস্তা তৈরি করা যাচ্ছে না । আদপে তার চেয়েও বেশি সংকট ফাইনান্সিয়াল সেক্টরে অর্থাৎ আর্থিক শিল্পক্ষেত্রে ।

ছবি
author img

By

Published : Aug 23, 2019, 2:20 PM IST

দিল্লি, 12 অগাস্ট : দেশের অর্থনীতিকে দিশা দেখানোর কথা বলেছিলেন ৷ ফেরি করেছিলেন কর্মসংস্থানের স্বপ্ন ৷ কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সেই আর্থিক সমৃদ্ধির ফানুস কোথায় যেন চুপসে যাওয়ার আশঙ্কা তীব্র হল ৷ অন্তত, তেমনই অশনি সঙ্কেত শোনালেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার । আর্থিক ক্ষেত্রে গত 70 বছরে এমন সঙ্কটজনক পরিস্থিতি আসেনি— বলেও কটাক্ষ তাঁর । কেবল মাত্র কটাক্ষ করেই থেমে থাকেননি রাজীব কুমার ৷ তাঁর আশঙ্কা, এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে না পারলে অচিরেই ভেঙে পড়বে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ৷

নরেন্দ্র মোদির অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল, দ্বিতীয় UPA জমানায় মন্দাক্রান্ত অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন ঘটাবেন তাঁরা । বাস্তব পরিস্থিতি কী? গত ডিসেম্বরে নীতি আয়োগ রীতিমতো অভূতপূর্ব ভাবেই, CSO-র ‘সংশোধিত তথ্য’ প্রকাশ করে । দেখা যায়, এর আগে GDP বৃদ্ধির যে হার পাওয়া গেছিল, সংশোধিত হিসাবে আয় বৃদ্ধির হার তার চেয়ে বেশি— 7.3 শতাংশ । ভোট আরও কাছে এল, 31 জানুয়ারি CSO নতুন সংশোধিত হিসাব প্রকাশ করল । দেখা গেল, GDP বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে 7.7 শতাংশ! অথচ বিশ্বব্যাঙ্কের ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট ইন্ডিকেটরস-এর সাম্প্রতিকতম সংস্করণ অনুসারে, গত 15 বছরের মধ্যে মাত্র পাঁচটি বছরে ভারতের GDP বৃদ্ধির হার 7 শতাংশ ছাড়িয়েছে । এবং, সাম্প্রতিক অতীতে তিন বার ভারতের GDP বৃদ্ধির হার 7 শতাংশের নীচে নেমেছে— 2008-09 সালের বিশ্ব আর্থিক সঙ্কটের পরে, দ্বিতীয় UPA জমানার শেষ তিন বছরে (তথাকথিত নীতিপঙ্গুতার পর্বে) এবং নরেন্দ্র মোদির নোট বাতিলের পরের বছরে ।

শুধু আর্থিক ক্ষেত্রেই নয় ৷ হিসাব বলছে সমস্যা বেড়েছে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও ৷ অধিকাংশ মানুষের জীবনে মূল সমস্যা হল জীবিকার সংস্থান । মোদির প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি ক্ষমতা পেলে দশ বছরে পঁচিশ কোটি চাকরি হবে । মানে, বছরে গড়ে আড়াই কোটি । গৃহস্থালির সমীক্ষার ভিত্তিতে CMIE 2016 সাল থেকে কর্মসংস্থানের যে হিসাব কষছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, 2017 সালে দেশে মোট কর্মীর সংখ্যা ছিল 40 কোটি 67 লাখ । 2018 সালে সেটা কমে দাঁড়ায় 40 কোটি 62 লাখ, 2019-এর ফেব্রুয়ারিতে তা 40 কোটিতে ঠেকেছে । 2017 সালে নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে 18 লাখ, কিন্তু এটা সেই বছরের নতুন কর্মপ্রার্থীর সংখ্যার 12 শতাংশ, আর মোদি বছরে যে আড়াই কোটি নতুন কাজ দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তার 7 শতাংশ!

এই পরিসংখ্যানের নিরিখেই কুমারের বিশ্লেষণ, অটোমোবাইল সেক্টর ধুঁকছে । বহু কর্মী ছাঁটাই করে বা ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে অধিকাংশ সংস্থা । উৎপাদন ক্ষেত্রে ভাটা । নতুন কোনও শিল্প বা বিনিয়োগের রাস্তা তৈরি করা যাচ্ছে না । আদপে তার চেয়েও বেশি সংকট ফাইনান্সিয়াল সেক্টরে অর্থাৎ আর্থিক শিল্পক্ষেত্রে ।

কিন্তু, কেন এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল? রাজীব কুমারের মতে, "গত চার বছরে পরিস্থিতি পালটেছে পুরোপুরি । নোট বাতিল, GST এবং দেউলিয়া বিধি পরিবর্তন । তার আগে পর্যন্ত 10, 20, 30, 35 শতাংশ নগদ বাজারে লেনদেন চলত । কিন্তু এখন সেই পরিমাণ অনকেটাই কমে গেছে ।" এখন বেশিরভাগটাই ডিজিটাল মাধ্যম ৷ বাজারে নগদ মূলধনী লেনদেন ও বিনিয়োগের অবস্থা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "এই পরিস্থিতি শুধু সরকার ও বেসরকারি ক্ষেত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় । মূলধন ধীরে ধীরে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে । সেটা থামানো দরকার ।" রাজীব কুমার সরকারকে সাবধান সূত্র বাতলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে ৷ বলেছেন, "এমন কোনও পদক্ষেপ করতে হবে যা চিরাচরিত বা প্রথাগত নয় । আমি মনে করি, বেসরকারি ক্ষেত্রের আস্থা ফেরাতে সরকারের পক্ষে যতটা করা সম্ভব, তার পুরোটাই করতে হবে ।"

দিল্লি, 12 অগাস্ট : দেশের অর্থনীতিকে দিশা দেখানোর কথা বলেছিলেন ৷ ফেরি করেছিলেন কর্মসংস্থানের স্বপ্ন ৷ কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সেই আর্থিক সমৃদ্ধির ফানুস কোথায় যেন চুপসে যাওয়ার আশঙ্কা তীব্র হল ৷ অন্তত, তেমনই অশনি সঙ্কেত শোনালেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার । আর্থিক ক্ষেত্রে গত 70 বছরে এমন সঙ্কটজনক পরিস্থিতি আসেনি— বলেও কটাক্ষ তাঁর । কেবল মাত্র কটাক্ষ করেই থেমে থাকেননি রাজীব কুমার ৷ তাঁর আশঙ্কা, এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে না পারলে অচিরেই ভেঙে পড়বে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ৷

নরেন্দ্র মোদির অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল, দ্বিতীয় UPA জমানায় মন্দাক্রান্ত অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন ঘটাবেন তাঁরা । বাস্তব পরিস্থিতি কী? গত ডিসেম্বরে নীতি আয়োগ রীতিমতো অভূতপূর্ব ভাবেই, CSO-র ‘সংশোধিত তথ্য’ প্রকাশ করে । দেখা যায়, এর আগে GDP বৃদ্ধির যে হার পাওয়া গেছিল, সংশোধিত হিসাবে আয় বৃদ্ধির হার তার চেয়ে বেশি— 7.3 শতাংশ । ভোট আরও কাছে এল, 31 জানুয়ারি CSO নতুন সংশোধিত হিসাব প্রকাশ করল । দেখা গেল, GDP বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে 7.7 শতাংশ! অথচ বিশ্বব্যাঙ্কের ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট ইন্ডিকেটরস-এর সাম্প্রতিকতম সংস্করণ অনুসারে, গত 15 বছরের মধ্যে মাত্র পাঁচটি বছরে ভারতের GDP বৃদ্ধির হার 7 শতাংশ ছাড়িয়েছে । এবং, সাম্প্রতিক অতীতে তিন বার ভারতের GDP বৃদ্ধির হার 7 শতাংশের নীচে নেমেছে— 2008-09 সালের বিশ্ব আর্থিক সঙ্কটের পরে, দ্বিতীয় UPA জমানার শেষ তিন বছরে (তথাকথিত নীতিপঙ্গুতার পর্বে) এবং নরেন্দ্র মোদির নোট বাতিলের পরের বছরে ।

শুধু আর্থিক ক্ষেত্রেই নয় ৷ হিসাব বলছে সমস্যা বেড়েছে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও ৷ অধিকাংশ মানুষের জীবনে মূল সমস্যা হল জীবিকার সংস্থান । মোদির প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি ক্ষমতা পেলে দশ বছরে পঁচিশ কোটি চাকরি হবে । মানে, বছরে গড়ে আড়াই কোটি । গৃহস্থালির সমীক্ষার ভিত্তিতে CMIE 2016 সাল থেকে কর্মসংস্থানের যে হিসাব কষছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, 2017 সালে দেশে মোট কর্মীর সংখ্যা ছিল 40 কোটি 67 লাখ । 2018 সালে সেটা কমে দাঁড়ায় 40 কোটি 62 লাখ, 2019-এর ফেব্রুয়ারিতে তা 40 কোটিতে ঠেকেছে । 2017 সালে নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে 18 লাখ, কিন্তু এটা সেই বছরের নতুন কর্মপ্রার্থীর সংখ্যার 12 শতাংশ, আর মোদি বছরে যে আড়াই কোটি নতুন কাজ দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তার 7 শতাংশ!

এই পরিসংখ্যানের নিরিখেই কুমারের বিশ্লেষণ, অটোমোবাইল সেক্টর ধুঁকছে । বহু কর্মী ছাঁটাই করে বা ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে অধিকাংশ সংস্থা । উৎপাদন ক্ষেত্রে ভাটা । নতুন কোনও শিল্প বা বিনিয়োগের রাস্তা তৈরি করা যাচ্ছে না । আদপে তার চেয়েও বেশি সংকট ফাইনান্সিয়াল সেক্টরে অর্থাৎ আর্থিক শিল্পক্ষেত্রে ।

কিন্তু, কেন এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল? রাজীব কুমারের মতে, "গত চার বছরে পরিস্থিতি পালটেছে পুরোপুরি । নোট বাতিল, GST এবং দেউলিয়া বিধি পরিবর্তন । তার আগে পর্যন্ত 10, 20, 30, 35 শতাংশ নগদ বাজারে লেনদেন চলত । কিন্তু এখন সেই পরিমাণ অনকেটাই কমে গেছে ।" এখন বেশিরভাগটাই ডিজিটাল মাধ্যম ৷ বাজারে নগদ মূলধনী লেনদেন ও বিনিয়োগের অবস্থা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "এই পরিস্থিতি শুধু সরকার ও বেসরকারি ক্ষেত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় । মূলধন ধীরে ধীরে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে । সেটা থামানো দরকার ।" রাজীব কুমার সরকারকে সাবধান সূত্র বাতলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে ৷ বলেছেন, "এমন কোনও পদক্ষেপ করতে হবে যা চিরাচরিত বা প্রথাগত নয় । আমি মনে করি, বেসরকারি ক্ষেত্রের আস্থা ফেরাতে সরকারের পক্ষে যতটা করা সম্ভব, তার পুরোটাই করতে হবে ।"

Kawardha (Chhattisgarh), Aug 23 (ANI): Health Department officials set up health camp for Baiga tribals living on mountains situated in jungle of Chhattisgarh's Kawardha district. 33 patients have been treated at the camp till now. While speaking to ANI, Collector of Kawardha District, Awanish Kumar Sharan said, "Village is based in such a terrain that villagers have no access to health services, so health camp was set up there by officials of Health Department to lend medical aid to villagers. We'll try to construct roads for the villagers."
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.