এভারেস্টের চূড়াতেও রয়েছে ডাকঘর ? কে চিঠি পাঠান সেখান থেকে ? ইন্টারনেট, মোবাইলের এই সময়ে চিঠি পাঠানোর কথাই বা কতজন ভাবেন ! কিন্তু এখনও অনেকেই বিশ্বের এই ডাকব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল । এখনও সচল অনেক ডাকঘর । শুধু তাই নয়, বিশ্বের এমন এমন স্থানে ডাকঘর রয়েছে, যার কথা ভাবতেই পারবেন না আপনি । ইতিমধ্যেই এভারেস্টের ডাকঘরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আপনাকে একটু আভাস দিয়েছি, তার মানে বুঝতেই পারছেন আরও কত অদ্ভুত ডাকঘর রয়েছে এই বিশ্বে !
প্রথমেই বলি ভাসমান ডাকঘরের কথা । কোথায় সেই ডাকঘর ? এদেশেই । কাশ্মীরের ডাল লেকে রয়েছে ভাসমান ডাকঘর । শিকারা বা ভাসমান বাজারের কোনও আকর্ষণীয় অংশ এটি নয় । 2011 সালে প্রতিষ্ঠা হয় । পিন কোড - 190001 । শুধুমাত্র চিঠির আদান প্রদান হয়, তা না । ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও সচল এই ডাকঘরে ।
প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের মধ্যেও রয়েছে ডাকঘর ? জানেন ? পর্যটকদেরও এই ডাকঘরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় । আপনি চিঠিও পোস্ট করতে পারবেন । আপনি ভাগ্যবান হলে বিশেষ পোস্ট স্ট্যাম্প পাবেন । লেখা থাকবে, আইফেল টাওয়ার থেকে আপনি এই চিঠি পাঠাচ্ছেন । কিন্তু এই বিষয়ের কোনও নিশ্চয়তা নেই ।
এভারেস্টের বেস ক্যাম্পেও রয়েছে একটি ডাকঘর । যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ডাকঘর । 2008 সালে স্থাপিত হয়েছে টিনের ছাওনি দেওয়া ডাকঘরটি । পর্যটকরা এখানে বিশ্রাম নেন । চিঠি আদান-প্রদানের সামান্য কাজ এখান থেকেও হয় ।
অস্ট্রেলিয়ার ভানুয়াতুয়ে সমুদ্রের নিচে রয়েছে একটি ডাকঘর । ঠিক ডাকঘর না, ডাকবাক্স ! সমতল থেকে 9 ফুট গভীরে রয়েছে ডাকঘরটি । পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ।
কখনও যদি এই পৃথিবীতে একা মনে হয় । আপনি চিঠি পাঠাতে পারেন । রয়েছে ডাকবাক্স এবং ডাকঘরও । আন্টার্কটিকায় । এই ডাকঘর থেকে চিঠি পোস্ট করলে, এক সপ্তাহ থেকে এক বছর পর্যন্ত সময়ে পৌঁছাতে পারে গন্তব্যে । এমনকী আন্টার্টিকায় প্রথম ডাকঘর তৈরি করেছিল ভারতই । 1990 সালে তা বন্ধ হয়ে যায় ।
সত্যিই এই বিশ্বে কত বিস্ময়কর জিনিস থাকতে পারে, তাই না ! এই প্রজন্ম যখন ডাকঘর, ডাকব্যবস্থাকে প্রায় ভুলতে বসেছে । সেই একইসময়ে ভিন্টেজ ডাকঘরগুলিকে আগলে রেখেছে পৃথিবী । আনন্দ সংবাদ থেকে মন খারাপ, সবই আসে সেই নীলচে রঙের খামে । কখনও সুদূর আন্টার্কটিকা থেকে চিঠি আসে । কখনও বা পাহাড়ের চূড়া থেকে মেঘ পিওনের ব্যাগে আসে মন খারাপের দিস্তা । কারণ, "মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা..."