দিল্লি, 1 ফেব্রুয়ারি : লেহ-তে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্য়ালয় তৈরি থেকে স্নাতক এবং ডিপ্লোমাধারীদের শিক্ষানবীশ হিসাবে কাজে যোগদান- কেন্দ্রীয় বাজেটে ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতা বাড়ানোর উপর জোর দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷ এবছর তৃতীয়বারের জন্য বাজেট পেশ করলেন তিনি ৷ উল্লেখ্য, গতবছরই জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার ৷ তার বাস্তবায়নে অর্থমন্ত্রী কী কী পদক্ষেপ করেন, তা নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ ছিল শিক্ষামহলের ৷ দেশজুড়ে শিক্ষা পরিকাঠামোর ডিজিটালাইজেশন-সহ সামগ্রিক বরাদ্দ বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করছিলেন বিশেষজ্ঞরা৷ তারই প্রেক্ষিতে এবারের বাজেটে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷
ভারত বহু ভাষার দেশ৷ তাই সরকারি বিভিন্ন তথ্য শুধুমাত্র হিন্দি বা ইংরেজিতে প্রকাশ করা হলে তাতে সমস্য়ায় পড়েন বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়ারা৷ এই সমস্য়া মেটাতে জাতীয় ভাষা অনুবাদ কর্মসূচির দাওয়াই দিয়েছেন নির্মলা৷ এবার থেকে ইন্টারনেটে শিক্ষানীতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ভাষাতেই পাওয়া যাবে৷ জাতীয় শিক্ষানীতি 2020-এর সঙ্গেই এই প্রকল্প রূপায়ন করা হবে৷
গবেষণার কাজে গতি আনার জন্য আগামী পাঁচ বছরে 50 হাজার কোটি টাকা পাবে ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ)৷ নতুন আবিষ্কার, গবেষণা এবং উন্নয়ন এবারের বাজেটের ছ’টি প্রধান স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম৷
নির্মাণ কর্মীরা ছাড়াও যাঁরা স্বাধীনভাবে এবং ডিজিটাল প্ল্য়াটফর্মে বিভিন্ন কাজ করেন, তাঁদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে একটি পোর্টাল তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে৷
এদিনের বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা জানান, প্রাথমিকভাবে দেশের 15 হাজারেরও বেশি স্কুলকে জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়নের আওতায় আনা হবে৷ সেগুলিকেই এই প্রকল্পের মডেল হিসাবে তুলে ধরা হবে৷ যাতে অন্যান্য় স্কুলও তাদের অনুসরণ করতে পারে৷ তৈরি করা হবে 100টি নতুন সেনা স্কুলও৷ ভারতের প্রত্য়ন্ত এলাকাতেও উচ্চশিক্ষাকে সহজলভ্য করতে লেহ-তে গড়ে তোলা হবে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়৷
আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের মানোন্নয়নে ওই এলাকাগুলিতে তৈরি করা হবে 750টি একলব্য মডেল আবাসিক স্কুল৷ এরজন্য স্কুল পিছু বরাদ্দের পরিমাণ 20 কোটি থেকে বাড়িয়ে 38 কোটি টাকা করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: আয়করের ঊর্ধ্বসীমা অপরিবর্তিত, প্রবীণ পেনশনভোগীদের জন্য সুখবর
কলেজের পাঠ শেষ করেই পড়ুয়ারা যাতে চাকরিতে যোগ দিতে বা নিজের ব্য়বসা শুরু করতে পারেন, তারজন্য তাঁদের শিক্ষানবীশ হিসাবে কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছেন নির্মলা৷ স্নাতক ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমাধারীদের নির্দিষ্ট প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷