ETV Bharat / bharat

COVID-19 পরিস্থিতির মধ্যে ভারতে বৃদ্ধি পাচ্ছে বেকারত্ব

কোরোনার কারণে বিশ্বজুড়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জীবিকা । ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে কর্মী ছাঁটাই । শুধুমাত্র অংসগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরাই নন, IIT থেকে সদ্য উত্তীর্ণরাও ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টের মাধ্যমে চাকরি পেতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ৷

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 13, 2020, 12:06 PM IST

কোরোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জীবন ও জীবিকা ৷ কর্মসংস্থানের সুযোগ নজিরবিহীন হারে কমতে শুরু করেছে ৷ শুধুমাত্র অংসগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরাই নন, IIT থেকে সদ্য উত্তীর্ণরাও ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টের মাধ্যমে চাকরি পেতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ৷ আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন (ILO) সম্প্রতি জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে 125 কোটি মানুষ জীবিকা হারানোর সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৷ এই সংগঠনের তরফে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, ভারতে অংসগঠিত ক্ষেত্রের প্রায় 40 কোটি কর্মীকে দারিদ্রের সম্মুখীন হতে হবে ৷ ILO-র সঙ্গে সঙ্গে দ্য সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ইকোনমির (CMIE) রিপোর্ট অনুযায়ী মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে আগের তুলনায় তিনগুণ মানুষ কাজ হারিয়েছেন ৷ ছয় মাস আগে বিশ্বেজুড়ে মন্দা আরও সুস্পষ্ট হয়েছিল ৷ অর্থনৈতিক মন্দা ইতিমধ্যেই কৃষি, অটোমোবাইল, আবাসন, যোগাযোগ এবং আতিথেয়তা শিল্পকে অনেকটাই গ্রাস করেছে ৷ COVID-19 ছড়িয়ে পড়ার পর প্রধানমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন যে বিশ্বযুদ্ধের সময়ও এতগুলি দেশ সমস্যার মুখে পড়েনি, যতটা কোরোনা ভাইরাসের জেরে হয়েছে ৷ ভারতীয় সরকার কি এই সংকট থেকে মুক্তির কোনও উপায় খুঁজে বের করতে পেরেছে ?

সাধারণ মানুষের খরচের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অ্যামেরিকা এবং জার্মানি সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছিলেন অর্থনীতিবিদরা ৷ একইভাবে COVID-19 কে প্যানডেমিক হিসেবে WHO-এর ঘোষণার মাধ্যমে দূরদৃষ্টির পরিচয় পাওয়া গিয়েছে ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজের ধারা বজায় রাখতে বড় ধরনের আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছে ৷ অস্ট্রেলিয়া বেকারদের দেওয়া সুবিধা দ্বিগুণ করে দিয়েছে ৷ জার্মানি, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর এবং UAE তাদের ক্ষুদ্রশিল্পের পাশে দাঁড়িয়েছে ৷ বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, স্বাধীন ভারতে এটাই সবচেয়ে বড় সংকট, পদ্ধতিগত সমর্থন কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না ৷

কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (EPFO) তরফে সম্প্রতি বিভিন্ন সংস্থার মালিকদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যে তাঁরা যেন কর্মী ছাঁটাই না করে অথবা কর্মীদের বেতন যেন কমিয়ে না দেয় ৷ দ্য কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (CII) একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরিও করেছে ৷ CII-এর প্রস্তাব, যে সমস্ত সংস্থায় কর্মীর সংখ্যা 100-র নিচে তাদের PF-এর অংশ সরকারকে দিতে হবে ৷ কেন্দ্রের উচিত যে সমস্ত কর্মী ESI-এর অধীনে আসেন, তাঁদের বেতন দেওয়া এবং যে সমস্ত সংস্থা GST-তে নথিভুক্ত তাদের কর্মীদেরও বেতন দেওয়া উচিত ৷ অর্থনৈতিক সাহায্য এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিই হোক সরকারের প্রধান লক্ষ্য ৷ ছোটো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি (MSME) উৎপাদন শিল্পের 45 শতাংশ জুড়ে রয়েছে ৷ রপ্তানিতেও তাঁদের অংশীদারিত্ব 40 শতাংশ ৷ এরা সরকারের সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে ৷ MSME-র 70 শতাংশ মার্চ মাসে তাঁদের কর্মীদের বেতন দিতে পারেনি ৷ বেকারত্ব কমাতে সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা ছোটো সংস্থাগুলিকে দিতে হবে ৷

কোরোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জীবন ও জীবিকা ৷ কর্মসংস্থানের সুযোগ নজিরবিহীন হারে কমতে শুরু করেছে ৷ শুধুমাত্র অংসগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরাই নন, IIT থেকে সদ্য উত্তীর্ণরাও ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টের মাধ্যমে চাকরি পেতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ৷ আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন (ILO) সম্প্রতি জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে 125 কোটি মানুষ জীবিকা হারানোর সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৷ এই সংগঠনের তরফে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, ভারতে অংসগঠিত ক্ষেত্রের প্রায় 40 কোটি কর্মীকে দারিদ্রের সম্মুখীন হতে হবে ৷ ILO-র সঙ্গে সঙ্গে দ্য সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ইকোনমির (CMIE) রিপোর্ট অনুযায়ী মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে আগের তুলনায় তিনগুণ মানুষ কাজ হারিয়েছেন ৷ ছয় মাস আগে বিশ্বেজুড়ে মন্দা আরও সুস্পষ্ট হয়েছিল ৷ অর্থনৈতিক মন্দা ইতিমধ্যেই কৃষি, অটোমোবাইল, আবাসন, যোগাযোগ এবং আতিথেয়তা শিল্পকে অনেকটাই গ্রাস করেছে ৷ COVID-19 ছড়িয়ে পড়ার পর প্রধানমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন যে বিশ্বযুদ্ধের সময়ও এতগুলি দেশ সমস্যার মুখে পড়েনি, যতটা কোরোনা ভাইরাসের জেরে হয়েছে ৷ ভারতীয় সরকার কি এই সংকট থেকে মুক্তির কোনও উপায় খুঁজে বের করতে পেরেছে ?

সাধারণ মানুষের খরচের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অ্যামেরিকা এবং জার্মানি সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছিলেন অর্থনীতিবিদরা ৷ একইভাবে COVID-19 কে প্যানডেমিক হিসেবে WHO-এর ঘোষণার মাধ্যমে দূরদৃষ্টির পরিচয় পাওয়া গিয়েছে ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজের ধারা বজায় রাখতে বড় ধরনের আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছে ৷ অস্ট্রেলিয়া বেকারদের দেওয়া সুবিধা দ্বিগুণ করে দিয়েছে ৷ জার্মানি, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর এবং UAE তাদের ক্ষুদ্রশিল্পের পাশে দাঁড়িয়েছে ৷ বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, স্বাধীন ভারতে এটাই সবচেয়ে বড় সংকট, পদ্ধতিগত সমর্থন কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না ৷

কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (EPFO) তরফে সম্প্রতি বিভিন্ন সংস্থার মালিকদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যে তাঁরা যেন কর্মী ছাঁটাই না করে অথবা কর্মীদের বেতন যেন কমিয়ে না দেয় ৷ দ্য কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (CII) একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরিও করেছে ৷ CII-এর প্রস্তাব, যে সমস্ত সংস্থায় কর্মীর সংখ্যা 100-র নিচে তাদের PF-এর অংশ সরকারকে দিতে হবে ৷ কেন্দ্রের উচিত যে সমস্ত কর্মী ESI-এর অধীনে আসেন, তাঁদের বেতন দেওয়া এবং যে সমস্ত সংস্থা GST-তে নথিভুক্ত তাদের কর্মীদেরও বেতন দেওয়া উচিত ৷ অর্থনৈতিক সাহায্য এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিই হোক সরকারের প্রধান লক্ষ্য ৷ ছোটো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি (MSME) উৎপাদন শিল্পের 45 শতাংশ জুড়ে রয়েছে ৷ রপ্তানিতেও তাঁদের অংশীদারিত্ব 40 শতাংশ ৷ এরা সরকারের সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে ৷ MSME-র 70 শতাংশ মার্চ মাসে তাঁদের কর্মীদের বেতন দিতে পারেনি ৷ বেকারত্ব কমাতে সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা ছোটো সংস্থাগুলিকে দিতে হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.