দিল্লি, ১৫ ফেব্রুয়ারি : বিস্ফোরণে গতকাল কেঁপে উঠেছিল পুলওয়ামা। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল জওয়ানদের ভ্যান। চারিদিকে শুধু ধ্বংসের ছবি। হামলার পরই দায় স্বীকার করে জইশ-ই-মহম্মদ। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার উপমহাদেশে হামলা চালিয়েছে এই জঙ্গি সংগঠন।
জইশ-ই-মহম্মদ(JEM) সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য
ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স IC-৮১৪ বিমানটি হাইজ্যাকে মূল অভিযুক্ত মৌলানা মাসুদ আজ়হারকে ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মুক্তি দেয় ভারত। সেই মাসুদই ২০০০ সালে ৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে গড়ে তোলে জইশ-ই-মহম্মদ (JEM)।
২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হামলার পিছনে ছিল জইশ-ই-মহম্মদ
২০০১ সালের ২৫ অক্টোবর প্রিভেনশন অফ টেরোরিজ়ম অ্যাক্ট(POTA)-এ ভারত সরকার জইশ-ই-মহম্মদকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে।
২০০১ সালের ২৬ ডিসেম্বর, জইশ-ই-মহম্মদকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে অ্যামেরিকা।
লস্কর-ই-তইবার মতো জইস-ই-মহম্মদও তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানে। এই সংগঠন পরিচালিতও হয় পাকিস্তান থেকেই।
জইশ-ই-মহম্মদ গড়ে ওঠে মূলত তিন মৌলবাদী সংগঠন প্রধানের হাত ধরে। এরা হল মাজলিস-ই-তাওয়ান-ই-ইসলামি(MT)-র প্রধান মুফতি নিজ়ামুদ্দিন শামঝাই, দার-উল-ইফতা-ই-ওয়াল-ইরশাদ-র প্রধান মৌলানা মুফতি রশিদ আহমেদ ও শেখ-উল-হাদিথ-দার-উল-হাক্কানিয়ার প্রধান মৌলানা শেখ আলি।
জইশ-ই-মহম্মদ তৈরির আগে ১৯৯৪ সালে হারকাত-উল-আনসার(HuA) নামে একটি সংগঠনের জেনেরাল সেক্রেটারি ছিল মৌলানা মাসুদ আজহার। এবং এই সংগঠনই জম্মু-কাশ্মীরে হামলা চালায়।