সংবিধান ছেঁড়ার চেষ্টা, দুই সাংসদকে রাজ্যসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ চেয়ারম্যানের

বিলের বিরোধিতা করে সংবিধান ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা দুই সাংসদের ৷ রাজ্যসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু ৷

দিল্লি, 5 অগাস্ট : জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল পেশের পরেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা ৷ বিলের বিরোধিতা করার সময় সংবিধান ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন PDP -র দুই সাংসদ মির ফায়াজ় ও নাজ়ির আহমেদ লাওয়ে ৷ তখনই তাঁদের চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু রাজ্যসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন ৷

রাষ্ট্রপতির আদেশবলে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের 370 ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে রাজ্যসভায় জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ এরপর জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল পেশ করেন ৷

আজ রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা মুলতবি প্রস্তাব আনেন ৷ বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে গতকাল থেকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে ৷ রাজ্যজুড়ে 144 ধারা জারি করা হয়েছে এবং উপত্যকাজুড়ে চলছে কারফিউ ৷ এবিষয়ে সরকারের বিবৃতি দাবি করেন বিরোধীরা ৷

এরপর সংশোধনী বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করেন শাহ ৷ বিল পেশের পর বিরোধীরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখায় ৷ রাজ্যসভাজুড়ে শুরু হয় তুমুল হই-হট্টগোল ৷ এরই মাঝে জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ এতে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার কথা বলা হয় ৷

এই বিলের বিরোধীতা করে রাজ্যসভায় হইচই শুরু করেন PDP-র দুই সাংসদ মির ফায়াজ় ও নাজ়ির আহমেদ লাওয়ে ৷ সংবিধান ছেঁড়ার চেষ্টা করেন৷ বাধ্য হয়ে সভাকক্ষে মার্শাল ডাকেন বেঙ্কাইয়া নাইডু ৷ সূত্রের খবর, এই দুই রাজ্যসভার সাংসদের বহিষ্কার নিয়ে নাইডু পরে একটি বৈঠক ডেকেছেন ৷