ETV Bharat / bharat

2025-র মধ্যে ভারত থেকে নির্মূল হবে যক্ষ্মা: হর্ষ বর্ধন - Tuberculosis end by 2025

2025 সালের মধ্যে ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূলীকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন । দারিদ্র্য ও অপুষ্টিকেই যক্ষ্মা সংক্রমণের মূল কারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি ।

Aq
Aa
author img

By

Published : Sep 24, 2020, 4:49 PM IST

দিল্লি, 24 সেপ্টেম্বর : 2025 সালের মধ্যে ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূলীকরণকে অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । আর তার জন্য আগামী পাঁচ বছর টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ।

WHO-এর সদস্য, প্রধান, রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি ও অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলির উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় হর্ষ বর্ধন বলেন , "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে 2025 সালের মধ্যে ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূলীকরণের বিষয়টিকে অন্যতম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে । এর জন্য আগামী পাঁচ বছর উন্নয়ন মূলক কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ।"

মন্ত্রী বলেন, "প্রাচীন কাল থেকেই বহু মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে আসছেন । বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের এ এক বড় সমস্যা । গত কয়েক দশকে চিকিৎসার প্রভূত উন্নতি সত্ত্বেও পৃথিবীজুড়েই এটি সংক্রামক এক মারণ রোগ হিসেবে রয়ে গিয়েছে ।" যক্ষ্মা নির্মূলীকরণে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করে হর্ষ বর্ধন বলেন , "যক্ষ্মা নির্মূলীকরণে কয়েকটি সংস্থার সাহসী ও উদ্ভাবনীমূলক সহায়তায় ভারত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।" তাঁর কথায়, "ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে যক্ষ্মায় আক্রান্তের সংখ্যা । 2016 সালে নথিভুক্তহীন আক্রান্তের থেকে সংখ্যা ছিল এক মিলিয়ন । 2019-এ তা 0.5-এ মিলিয়ন নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে ভারত । এবিষয়ে প্রাইভেট সেক্টরগুলি অনেকটাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে । দেশের প্রতিটি জেলায় দ্রুত অনু নির্ণয়ের সংখ্যা বেড়েছে । আর তার জেরে 2019 সালে 66,000-এরও বেশি ড্রাগ রেজ়িস্টান্ট যক্ষ্মা রোগীকে শনাক্ত করা গিয়েছে ।"

যক্ষ্মা সংক্রমণের একটি প্রধান কারণ হিসেবে দারিদ্র্য ও অপুষ্টির কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী । বলেন, " ক্রমাগত এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। অপুষ্টি দূরীকরণে ডিরেক্ট বেনিফিসিয়াল ট্রান্সফারের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে । 2018 সাল পর্যন্ত এই প্রকল্পে 7.9 বিলয়ন টাকা ব্যয় করা হয়েছে । 3 মিলিয়নের বেশি মানুষ এর সুবিধা পেয়েছেন । কম খরচে উচ্চ মানের চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করাই আমাদের সরকারের প্রধান লক্ষ্য ।"

কোরোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়েরও প্রসঙ্গ তোলেন মন্ত্রী । বলেন, "এপ্রিলজুড়ে টানা লকডাউন জারি রেখে আমরা নজিরবিহীনভাবে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে পেরেছি । আর এই প্রচেষ্টা ক্রমাগত জারি রেখে মে মাসে 43% ও জুন মাসে আরও 25% আক্রান্তের সংখ্যা কমানো গিয়েছে । কোরোনা সংক্রমণ রোধের সঙ্গে সঙ্গে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যাও হ্রাস করতে রাজ্যগুলিকে ক্রমাগত পরামর্শ দিয়ে আসছে কেন্দ্র ।" মন্ত্রী বলেন, "আমরা কোরোনা ও যক্ষ্মা দুইয়ের উপর এক সঙ্গে নজর রাখছি । ইনফ্লুয়েঞ্জা , প্রবল শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাগুলির উপর নজর দেওয়া হচ্ছে ।"

দিল্লি, 24 সেপ্টেম্বর : 2025 সালের মধ্যে ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূলীকরণকে অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । আর তার জন্য আগামী পাঁচ বছর টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ।

WHO-এর সদস্য, প্রধান, রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি ও অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলির উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় হর্ষ বর্ধন বলেন , "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে 2025 সালের মধ্যে ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূলীকরণের বিষয়টিকে অন্যতম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে । এর জন্য আগামী পাঁচ বছর উন্নয়ন মূলক কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ।"

মন্ত্রী বলেন, "প্রাচীন কাল থেকেই বহু মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে আসছেন । বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের এ এক বড় সমস্যা । গত কয়েক দশকে চিকিৎসার প্রভূত উন্নতি সত্ত্বেও পৃথিবীজুড়েই এটি সংক্রামক এক মারণ রোগ হিসেবে রয়ে গিয়েছে ।" যক্ষ্মা নির্মূলীকরণে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করে হর্ষ বর্ধন বলেন , "যক্ষ্মা নির্মূলীকরণে কয়েকটি সংস্থার সাহসী ও উদ্ভাবনীমূলক সহায়তায় ভারত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।" তাঁর কথায়, "ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে যক্ষ্মায় আক্রান্তের সংখ্যা । 2016 সালে নথিভুক্তহীন আক্রান্তের থেকে সংখ্যা ছিল এক মিলিয়ন । 2019-এ তা 0.5-এ মিলিয়ন নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে ভারত । এবিষয়ে প্রাইভেট সেক্টরগুলি অনেকটাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে । দেশের প্রতিটি জেলায় দ্রুত অনু নির্ণয়ের সংখ্যা বেড়েছে । আর তার জেরে 2019 সালে 66,000-এরও বেশি ড্রাগ রেজ়িস্টান্ট যক্ষ্মা রোগীকে শনাক্ত করা গিয়েছে ।"

যক্ষ্মা সংক্রমণের একটি প্রধান কারণ হিসেবে দারিদ্র্য ও অপুষ্টির কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী । বলেন, " ক্রমাগত এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। অপুষ্টি দূরীকরণে ডিরেক্ট বেনিফিসিয়াল ট্রান্সফারের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে । 2018 সাল পর্যন্ত এই প্রকল্পে 7.9 বিলয়ন টাকা ব্যয় করা হয়েছে । 3 মিলিয়নের বেশি মানুষ এর সুবিধা পেয়েছেন । কম খরচে উচ্চ মানের চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করাই আমাদের সরকারের প্রধান লক্ষ্য ।"

কোরোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়েরও প্রসঙ্গ তোলেন মন্ত্রী । বলেন, "এপ্রিলজুড়ে টানা লকডাউন জারি রেখে আমরা নজিরবিহীনভাবে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে পেরেছি । আর এই প্রচেষ্টা ক্রমাগত জারি রেখে মে মাসে 43% ও জুন মাসে আরও 25% আক্রান্তের সংখ্যা কমানো গিয়েছে । কোরোনা সংক্রমণ রোধের সঙ্গে সঙ্গে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যাও হ্রাস করতে রাজ্যগুলিকে ক্রমাগত পরামর্শ দিয়ে আসছে কেন্দ্র ।" মন্ত্রী বলেন, "আমরা কোরোনা ও যক্ষ্মা দুইয়ের উপর এক সঙ্গে নজর রাখছি । ইনফ্লুয়েঞ্জা , প্রবল শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাগুলির উপর নজর দেওয়া হচ্ছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.