ETV Bharat / bharat

আধুনিক সমাজে শিক্ষার উন্নয়নে গান্ধির নীতি অন্তর্ভুক্ত করার সময় এসেছে - gandhi

গান্ধি অসহযোগ আন্দোলনের সময় ইংরেজদের চাকরি ও তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে বর্জন করতে বলেছিলেন । সেই সময় এই ব্যবস্থার বিকল্প হিসাবে ভারতীয়দের 'মৌলিক শিক্ষা'-কে রূপ দিতে তৎপর হন ।

আধুনিক সমাজে শিক্ষার উন্নয়নে গান্ধির নীতি অন্তর্ভুক্ত করার সময় এসেছে
author img

By

Published : Aug 31, 2019, 7:44 PM IST

সবার জন্য সমান অধিকার থাকবে এমন এক আদর্শ সমাজ স্থাপন করতে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি । শিক্ষা সংক্রান্ত গান্ধির চিন্তাধারা তাঁর নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ । গান্ধি অসহযোগ আন্দোলনের সময় ইংরেজদের চাকরি ও তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে বর্জন করতে বলেছিলেন । সেই সময় এই ব্যবস্থার বিকল্প হিসাবে ভারতীয়দের 'মৌলিক শিক্ষা'-কে রূপ দিতে তৎপর হন । সেই মতো গান্ধির নেতৃত্বে ও জাতীয় কংগ্রেসের অনুমোদনক্রমে কংগ্রেস শাসিত বিভিন্ন প্রাদেশিক শিক্ষা দপ্তর "নই তালিম" বা বুনিয়াদি শিক্ষাকে তাদের শিক্ষানীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিল ।

গান্ধি দীর্ঘসময় ধরে নানা পরীক্ষার পর তাঁর শিক্ষাচিন্তা ভারতবাসীর সামনে উপস্থিত করেছিলেন । গান্ধির এই "নই তালিম" নীতির মূলে ছিল হস্তশিল্প শিক্ষার মাধ্যমে ভারতীয়দের স্বনির্ভর করে তোলা । তবে স্বাধীনতার পর গান্ধির এই নয়া শিক্ষাপদ্ধতি ধীরে ধীরে ব্রাত্য হয় ।

ভারতের প্রয়োজন গান্ধি অনুধাবন করেছিলেন । নানা জাতি নানা ভাষা নানা ধর্ম নানা সংস্কৃতির মানুষকে ভারতে একত্রিত রাখতে হলে চাই জাতীয় সংহতির চেতনা, ধর্মনিরপেক্ষতার মানসিকতা, চাই অস্পৃশ্যতার বর্জন, চাই পরমত সহিষ্ণুতা, চাই অহিংসাকে জীবনে প্রয়োগ । গান্ধি তাই তাঁর শিক্ষানীতির কয়েকটি মূলসূত্র রচনা করেছিলেন : প্রীতি (সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব), মুক্তি, অভিব্যক্তি (নানা সৃজনশীল কর্মের মধ্য দিয়ে নিজেকে বিকশিত করা), অহিংসা, সত্যাগ্রহ (সত্যের প্রতি আগ্রহ, অসত্যের প্রতিরোধ), সাফাই (পরিবেশ চেতনা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা) ।

গান্ধি বলতেন, পাশ্চাত্যের শিল্প ও বাণিজ্য ভিত্তিক সমাজ হিংসার উৎস । তাঁর মত ছিল আধুনিক সভ্যতা যন্ত্র নির্ভর । এই সভ্যতা থেকে উঠে আসে সাম্রাজ্যবাদ ও যুদ্ধভিত্তিক অর্থনীতি । আধুনিক সমাজে যন্ত্রের ব্যবহার করে অর্থ ভোগ করবে শুধু মুষ্টিমেয় মানুষ । কিন্তু গোটা বিশ্বের শান্তি বা সুখ এইভাবে আসবে না । একটা শিল্পসমাজ কেবল পণ্য উৎপাদন বাড়িয়ে যাবে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনে । সেটাই বারবার অর্থনীতিতে ধস আনবে । পশ্চিমের সভ্যতার অন্ধ অনুকরণের বদলে গান্ধি তাই গ্রাম নির্ভর অর্থনীতি ও কর্মকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার কথা ভেবেছিলেন ।

একুশ শতকে গোটা বিশ্ব আর্থ-সামাজিক সংকটের মুখে । তাই ফের গান্ধির নয়া শিক্ষানীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে । পৃথিবীর বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে আলোচনা প্রয়োজন । আধুনিক শিক্ষাধারায় গান্ধির শিক্ষানীতি অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না? বর্তমানে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার ব্যর্থতা লক্ষ্য করে গান্ধির আদর্শে অনুপ্রাণিত কিছু শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী এখনকার পটভূমিতে বুনিয়াদি শিক্ষাকে প্রয়োগ করার কথা বলছেন । পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কী ভাবে জীবনমুখী এক সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা আশু প্রয়োজন ।

সবার জন্য সমান অধিকার থাকবে এমন এক আদর্শ সমাজ স্থাপন করতে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি । শিক্ষা সংক্রান্ত গান্ধির চিন্তাধারা তাঁর নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ । গান্ধি অসহযোগ আন্দোলনের সময় ইংরেজদের চাকরি ও তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে বর্জন করতে বলেছিলেন । সেই সময় এই ব্যবস্থার বিকল্প হিসাবে ভারতীয়দের 'মৌলিক শিক্ষা'-কে রূপ দিতে তৎপর হন । সেই মতো গান্ধির নেতৃত্বে ও জাতীয় কংগ্রেসের অনুমোদনক্রমে কংগ্রেস শাসিত বিভিন্ন প্রাদেশিক শিক্ষা দপ্তর "নই তালিম" বা বুনিয়াদি শিক্ষাকে তাদের শিক্ষানীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিল ।

গান্ধি দীর্ঘসময় ধরে নানা পরীক্ষার পর তাঁর শিক্ষাচিন্তা ভারতবাসীর সামনে উপস্থিত করেছিলেন । গান্ধির এই "নই তালিম" নীতির মূলে ছিল হস্তশিল্প শিক্ষার মাধ্যমে ভারতীয়দের স্বনির্ভর করে তোলা । তবে স্বাধীনতার পর গান্ধির এই নয়া শিক্ষাপদ্ধতি ধীরে ধীরে ব্রাত্য হয় ।

ভারতের প্রয়োজন গান্ধি অনুধাবন করেছিলেন । নানা জাতি নানা ভাষা নানা ধর্ম নানা সংস্কৃতির মানুষকে ভারতে একত্রিত রাখতে হলে চাই জাতীয় সংহতির চেতনা, ধর্মনিরপেক্ষতার মানসিকতা, চাই অস্পৃশ্যতার বর্জন, চাই পরমত সহিষ্ণুতা, চাই অহিংসাকে জীবনে প্রয়োগ । গান্ধি তাই তাঁর শিক্ষানীতির কয়েকটি মূলসূত্র রচনা করেছিলেন : প্রীতি (সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব), মুক্তি, অভিব্যক্তি (নানা সৃজনশীল কর্মের মধ্য দিয়ে নিজেকে বিকশিত করা), অহিংসা, সত্যাগ্রহ (সত্যের প্রতি আগ্রহ, অসত্যের প্রতিরোধ), সাফাই (পরিবেশ চেতনা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা) ।

গান্ধি বলতেন, পাশ্চাত্যের শিল্প ও বাণিজ্য ভিত্তিক সমাজ হিংসার উৎস । তাঁর মত ছিল আধুনিক সভ্যতা যন্ত্র নির্ভর । এই সভ্যতা থেকে উঠে আসে সাম্রাজ্যবাদ ও যুদ্ধভিত্তিক অর্থনীতি । আধুনিক সমাজে যন্ত্রের ব্যবহার করে অর্থ ভোগ করবে শুধু মুষ্টিমেয় মানুষ । কিন্তু গোটা বিশ্বের শান্তি বা সুখ এইভাবে আসবে না । একটা শিল্পসমাজ কেবল পণ্য উৎপাদন বাড়িয়ে যাবে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনে । সেটাই বারবার অর্থনীতিতে ধস আনবে । পশ্চিমের সভ্যতার অন্ধ অনুকরণের বদলে গান্ধি তাই গ্রাম নির্ভর অর্থনীতি ও কর্মকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার কথা ভেবেছিলেন ।

একুশ শতকে গোটা বিশ্ব আর্থ-সামাজিক সংকটের মুখে । তাই ফের গান্ধির নয়া শিক্ষানীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে । পৃথিবীর বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে আলোচনা প্রয়োজন । আধুনিক শিক্ষাধারায় গান্ধির শিক্ষানীতি অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না? বর্তমানে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার ব্যর্থতা লক্ষ্য করে গান্ধির আদর্শে অনুপ্রাণিত কিছু শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী এখনকার পটভূমিতে বুনিয়াদি শিক্ষাকে প্রয়োগ করার কথা বলছেন । পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কী ভাবে জীবনমুখী এক সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা আশু প্রয়োজন ।

New Delhi, Aug 31 (ANI): In a first, a doctor treated an 11-month-old girl's doll before treating her to make her comfortable. An 11-month-old girl Zikra suffering from a fracture was in severe pain and was refusing treatment so to make her comfortable, doctors and girl's mother came up with an idea to first treat baby girl's doll 'Pari', as child is very close to the doll, and then treat her. This unique treatment took place at Delhi's Lok Nayak Hospital. Dr Ajay Gupta, Professor of Orthopedic at Lok Nayak Hospital explained the whole incident. "An 11-month-old girl suffering from a fracture was refusing treatment so her mother gave us idea to pretend to treat her doll first, as child is very close to the doll. It worked well and patient felt comforted." Treating the doll worked surprisingly well and the patient felt comfortable. This one of a kind treatment is a perfect example of when doctors respect patient's emotion.

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.