দিল্লি, 21 সেপ্টেম্বর : 370 ধারা প্রত্যাহারের পর জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নজিরবিহীনভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে তথ্য তুলে ধরল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক । তুলে ধরা তথ্যে দেখানো হয় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ 426 থেকে নেমে এসেছে 206-এ ।
370 ধারা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন শিবসেনা সাংসদ অনিল দেশাই । তাঁর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, "2019 সালের 5 অগাস্টের পরে জম্মুতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, পাথর ছোড়ার মামলা, জওয়ানদের শহিদ হওয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে ।"
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, 5 অগাস্ট 2019 থেকে 31 অগাস্ট 2020-এর মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে ঘটা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সংখ্যা 206, পাথর ছোড়ার ঘটনা 310 । অপরদিকে 7 অগাস্ট 2018 থেকে 4 অগাস্ট 2019 সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সংখ্যা ছিল 443, পাথর ছোড়ার ঘটনা ছিল 703 ।
MHA -এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জম্মু কাশ্মীরে বিগত এক বছরে কমেছে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে শহিদ জওয়ানের সংখ্যাও । 393 দিনে এই সংখ্যা যথাক্রমে 54 থেকে 45 ও 489 থেকে 125-এ নেমে এসেছে ( 5 অগাস্ট 2019 থেকে 31 অগাস্ট 2020 ও 7 অগাস্ট 2018 থেকে 4 অগাস্ট 2019-এর হিসাব অনুযায়ী)
মানুষকে কি সরকার সন্ত্রাস বিরোধী কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখতে বাস্তবে সফল হয়েছে? প্রশ্ন তোলেন অনিল দেশাই । তাঁর এই প্রশ্নের উত্তরে কিষাণ রেড্ডি বলেন ,"সরকার সন্ত্রাস বিরোধী কার্যকলাপ রোধে জ়িরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে । এছাড়া দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দেওয়া, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, জঙ্গি কার্যকলাপ রোধে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার ।"
জঙ্গিদের সাহায্যকারীদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে । তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং বজায় রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী । 5 অগাস্ট 2019-এ সংবিধানের 370 ধারা ও 35 A প্রত্যাহার হয়। জম্মু ও কাশ্মীরকে দু'টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয় ।