সুরাত, 16 জুন : বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মাস্ক অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। তাই সুরাতের একটি কম্পানি আসন্ন বর্ষাকালের কথা মাথায় রেখে তৈরি করল ওয়াটারপ্রুফ মাস্ক। এই মাস্কে একদিকে যেমন ভাইরাস রোধ করা যাবে, অন্যদিকে বৃষ্টির সঙ্গে যে বিভিন্ন রোগ দেখা যায়, তাও রোধ করবে।
দেশের পাঁচটি সর্বাধিক কোরোনা আক্রান্ত রাজ্যের মধ্যে অন্যতম গুজরাত। এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ইতিমধ্যেই গুজরাতে পৌঁছেছে, যার ফলে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের মনে কোরোনার পাশাপাশি অন্যান্য জল বাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় দেখা যায়, মাস্ক ভিজে যাচ্ছে। এর ফলে সংক্রমণ রোধ করা তো দূরের কথা, উলটে অন্যান্য রোগেও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে ভেজা মাস্ক। এই পরিস্থিতিতে সুরাতের একটি সংস্থা এমন একটি মাছ বানিয়েছেন, যা কেবল জল নিরোধকই নয়, রক্ত, তেল বা অন্যান্য তরলের প্রবেশ নিরোধ করতে সক্ষম। এই মাস্কগুলি অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মাস্ক, যার বর্তমানে বাজারে বিপুল চাহিদা।
ওই সংস্থার প্রচারক ভিরাল ডালিয়া বলেন, " সাধারণ মানুষ বর্ষাকালে মাস্ক ব্যবহারে সমস্যার মুখে পড়ছিলেন কারণ তা অধিকাংশ সময়ই বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছিল। এই মাস্কটি বিশ্বের প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক, জল নিরোধক এবং স্বাস্থ্যকর মাস্ক। "
ত্রিস্তরীয় এই মাস্ক সম্পর্কে তিনি বলেন, " মাস্কের প্রথম স্তরটি জল থেকে সুরক্ষা দেয়, দ্বিতীয় স্তরটি স্পঞ্জ দিয়ে এবং তৃতীয় স্তরটি সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি, যা বাতাস চলাচলে সাহায্য করে। মাস্কের উপরিভাগটি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সক্ষম। এই মাস্কটিকে ধোয়াও সম্ভব, 30 থেকে 180 পর্যন্ত এই মাস্ক ব্যবহার করা সম্ভব। গুণমান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এই মাস্কের গুণমান পরীক্ষা করে তার ছাড়পত্র দিয়েছে। বর্তমানে 150 টাকায় এই মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে। "
মাস্কের ডিজ়াইনার ন্যান্সি বোধওয়ালা বলেন, বিশেষত বর্ষার মরশুমে ব্যবহারের জন্যই এই মাস্ক তৈরি করা হয়েছে এবং এই মাস্ক ব্যবহার করে সহজেই শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া সম্ভব।