ETV Bharat / bharat

পড়ুয়াদের বাণিজ্যিক দক্ষতা বিকাশে সহায়ক হতে পারে NEP

author img

By

Published : Sep 19, 2020, 9:13 PM IST

এতদিন পর্যন্ত, মাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তরে ছয়টি আবশ্যিক বিষয়ে পড়তে হত । এরপর উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তরে গিয়ে নিজের পছন্দের বিষয় বেছে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যেত । এই ব্যবস্থায় শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ক ক্ষেত্রের পড়ুয়াদেরই সুবিধা হত । এখানেই পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে নতুন শিক্ষানীতিতে । এখন থেকে ক্লাস নাইন থেকেই স্কুলগুলিকে কমার্স বিষয়ক পঠনপাঠন শুরু করতে হবে ।

NEP 2020
প্রতীকী ছবি

দিল্লি, 19 সেপ্টেম্বর : জাতীয় শিক্ষানীতি, 2020-র মাধ্যমে দেশের স্কুলশিক্ষায় বাণিজ্যবিভাগ সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । বিগত কয়েক দশকে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি হারে কর্মসংস্থান হয়েছে । অনলাইন ব্যবসা, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন অ্যাকাউন্টিং, ট্যাক্সেশন ও আর্থিক প্রযুক্তির কারণে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে । পড়ুয়ারা কমার্স বিষয়ক কোর্সগুলিতে ভরতি হচ্ছেন । বিগত পাঁচ বছরে স্নাতক স্তরে 40 থেকে 50 শতাংশ পড়ুয়া কমার্স নিয়ে পড়াশুনা করেছেন । শুধুমাত্র কমার্সের জন্য কলেজের সংখ্যাও বেড়েছে ।

ভারতে, বাণিজ্য বিভাগ সংক্রান্ত বিষয়ে পড়ার জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় । যাঁরা উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তরে CEC ও স্নাতক স্তরে B.Com নিয়ে পড়েছেন, তাঁদেরই বাণিজ্যবিভাগ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রয়েছে । এর অর্থ, পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষা শেষ না করা পর্যন্ত ঠিকভাবে চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন না ।

এতদিন পর্যন্ত, মাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তরে ছয়টি আবশ্যিক বিষয়ে পড়তে হত । এরপর উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তরে গিয়ে নিজের পছন্দের বিষয় বেছে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যেত । এই ব্যবস্থায় শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ক ক্ষেত্রের পড়ুয়াদেরই সুবিধা হত । এখানেই পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে নতুন শিক্ষানীতিতে । এখন থেকে ক্লাস নাইন থেকেই স্কুলগুলিকে কমার্স বিষয়ক পঠনপাঠন শুরু করতে হবে । বাণিজ্যিক বিষয়গুলিতে ন্যূনতম ধারণা থাকলে তবে তাঁরা বিবেচনা করে নিজের পছন্দের বিষয়ে স্নাতকস্তরে ভরতি হতে পারবে ।

মহাত্মা গান্ধি এমন এক শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলেছিলেন, যা পড়ুয়াদের সামগ্রিক বিকাশের সহায়ক হবে । যদি কমার্স স্কুলগুলিতে আগে থেকেই পড়ানো হয়, তবে পড়ুয়ারা এ-বিষয় সম্পর্কে আরও বিশদ ধারণা পাবেন । আমাদের দেশের এখন চাকরিপ্রার্থীর থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে, এমন লোক বেশি দরকার ।

বর্তমানে কমার্সের পড়ুয়ারা চাকরির সুযোগ বাকিদের থেকে অনেক বেশি । কমার্সের পড়ুয়ারা আজকের দিনে অনেক বেশি স্বনির্ভর । অডিটর, কনসালট্যান্ট, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, স্টক মার্কেট অ্যানালিস্ট বা মার্চেন্ট ব্যাঙ্কারের মতো ক্ষেত্রে চাকরি করতে পারেন কমার্সের পড়ুয়ারা । সুতরাং, এটা ভাবা ভুল যে শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়রিং ও মেডিকেল পড়ুয়াদেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি ।

পরিবর্তনটি কেবলমাত্র কমার্স বিষয়টির স্কুলে প্রবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত নয় । কথোপকথনের শৈলী এবং জীবন দক্ষতার শৈলী অবশ্যই পাঠ্যক্রমের একটি অংশে পরিণত হতে হবে । এইভাবে, শিক্ষার্থীরা নিয়োগের দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারে । এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পথপ্রদর্শন ।

দিল্লি, 19 সেপ্টেম্বর : জাতীয় শিক্ষানীতি, 2020-র মাধ্যমে দেশের স্কুলশিক্ষায় বাণিজ্যবিভাগ সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । বিগত কয়েক দশকে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি হারে কর্মসংস্থান হয়েছে । অনলাইন ব্যবসা, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন অ্যাকাউন্টিং, ট্যাক্সেশন ও আর্থিক প্রযুক্তির কারণে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে । পড়ুয়ারা কমার্স বিষয়ক কোর্সগুলিতে ভরতি হচ্ছেন । বিগত পাঁচ বছরে স্নাতক স্তরে 40 থেকে 50 শতাংশ পড়ুয়া কমার্স নিয়ে পড়াশুনা করেছেন । শুধুমাত্র কমার্সের জন্য কলেজের সংখ্যাও বেড়েছে ।

ভারতে, বাণিজ্য বিভাগ সংক্রান্ত বিষয়ে পড়ার জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় । যাঁরা উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তরে CEC ও স্নাতক স্তরে B.Com নিয়ে পড়েছেন, তাঁদেরই বাণিজ্যবিভাগ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রয়েছে । এর অর্থ, পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষা শেষ না করা পর্যন্ত ঠিকভাবে চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন না ।

এতদিন পর্যন্ত, মাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তরে ছয়টি আবশ্যিক বিষয়ে পড়তে হত । এরপর উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য স্তরে গিয়ে নিজের পছন্দের বিষয় বেছে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যেত । এই ব্যবস্থায় শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ক ক্ষেত্রের পড়ুয়াদেরই সুবিধা হত । এখানেই পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে নতুন শিক্ষানীতিতে । এখন থেকে ক্লাস নাইন থেকেই স্কুলগুলিকে কমার্স বিষয়ক পঠনপাঠন শুরু করতে হবে । বাণিজ্যিক বিষয়গুলিতে ন্যূনতম ধারণা থাকলে তবে তাঁরা বিবেচনা করে নিজের পছন্দের বিষয়ে স্নাতকস্তরে ভরতি হতে পারবে ।

মহাত্মা গান্ধি এমন এক শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলেছিলেন, যা পড়ুয়াদের সামগ্রিক বিকাশের সহায়ক হবে । যদি কমার্স স্কুলগুলিতে আগে থেকেই পড়ানো হয়, তবে পড়ুয়ারা এ-বিষয় সম্পর্কে আরও বিশদ ধারণা পাবেন । আমাদের দেশের এখন চাকরিপ্রার্থীর থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে, এমন লোক বেশি দরকার ।

বর্তমানে কমার্সের পড়ুয়ারা চাকরির সুযোগ বাকিদের থেকে অনেক বেশি । কমার্সের পড়ুয়ারা আজকের দিনে অনেক বেশি স্বনির্ভর । অডিটর, কনসালট্যান্ট, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, স্টক মার্কেট অ্যানালিস্ট বা মার্চেন্ট ব্যাঙ্কারের মতো ক্ষেত্রে চাকরি করতে পারেন কমার্সের পড়ুয়ারা । সুতরাং, এটা ভাবা ভুল যে শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়রিং ও মেডিকেল পড়ুয়াদেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি ।

পরিবর্তনটি কেবলমাত্র কমার্স বিষয়টির স্কুলে প্রবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত নয় । কথোপকথনের শৈলী এবং জীবন দক্ষতার শৈলী অবশ্যই পাঠ্যক্রমের একটি অংশে পরিণত হতে হবে । এইভাবে, শিক্ষার্থীরা নিয়োগের দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারে । এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পথপ্রদর্শন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.