ETV Bharat / bharat

অজিতের ভোল বদলে কালো ছায়া পাওয়ার পরিবারে

এক সময় যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই অজিত পাওয়ারকে সঙ্গে নিয়েই দ্বিতীয় বারের জন্য মসনদে বসলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিস ৷ তাও আবার নাটকীয় ভাবে ৷ এবার কি পাওয়ারের পরিবারেও ভাঙনের ইঙ্গিত ?

ছবি
author img

By

Published : Nov 23, 2019, 7:21 PM IST

মুম্বই, 23 নভেম্বর : মুহূর্তে বদলে যাওয়া হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস যেন বলে দিল অনেক কিছু ৷ সুপ্রিয়া সুলে লিখলেন, 'ভেঙে গেল দল এবং পরিবার' ৷

নাটকীয় ভাবে আজ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিস ৷ উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন NCP-র অজিত পাওয়ার ৷ আর এখানেই শুরু হয় নতুন জল্পনা-বিতর্কের ৷ এক দিন আগে পর্যন্ত যে অজিত পাওয়ার ছিলেন কংগ্রেস-শিবসেনা-NCP-র বৈঠকের অন্যতম চালিকা শক্তি, তিনিই বিরোধী পক্ষের সঙ্গে হাত মেলালেন ৷ অজিতের সিদ্ধান্তের ফলে স্বাভাবিক ভাবেই NCP প্রধান শরদ পাওয়ারের দিকে বিশ্বাসঘাতকতার আঙুল তুলতে শুরু করেছিল কংগ্রেস ৷ বিষয়টির মধ্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল শরদ পাওয়ারের অতীত কর্মকাণ্ড ৷ আগেও একাধিক বার কথা দিয়ে শেষ মুহূর্তে সরে এসেছিলেন তিনি ৷ স্বাভাবিক ভাবেই এ ক্ষেত্রেও সেই ঘটনা বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু, ঠিক তখনই টুইট করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন শরদ পাওয়ার ৷ জানিয়ে দেন, গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে হাত মেলানোর বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অজিতের ব্যক্তিগত ৷ দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই ৷ দলের কয়েকজন বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে দাবি করেন শরদ পাওয়ার ৷

কয়েক মুহূর্ত পরেই বড় ছোবলটা আসে শরদ পাওয়ারে মেয়ে সুপ্রিয়া সুলের মোবাইল থেকে ৷ হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে লেখেন, ভেঙে গেল পরিবার, দল ৷ বাবা-মেয়ের পর পর এমন বার্তা ছড়িয়ে পড়তেই স্পষ্ট হতে শুরু করে NCP-র অন্দরের ছবিটা ৷

সালটা 1999 ৷ কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন শরদ পাওয়ার ৷ সঙ্গে ছিলেন আরও দু'জন, পি এ সাংমা এবং তারিক আনওয়ার ৷ 20 মে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে নতুন দল গড়ে ফেলেন শরদ ৷ নাম দেওয়া হয় ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ৷ কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গেলেও নতুন দলের প্রতীকের মধ্য কোথায় যেন একটা পুরনো দলের ছোঁয়া থেকে যায় ৷ যদিও, রাজনীতির গতি প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফের কংগ্রেসে কাছে আসতে শুরু করেন শরদ পাওয়ার ৷ কিন্তু, BJP-সঙ্গে দূরত্বটা বজায় ছিল ৷

মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবিস ক্ষমতায় আসার পর BJP-NCP দূরত্ব আরও বাড়ে ৷ ফড়নবিস একটা সময় টুইট করে শরদ ও অজিত পাওয়ারদের নিয়মিত আক্রমণ করতেন ৷ অজিত পাওয়ার, শরদ পাওয়ারদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ফড়নবিস ৷ এমনকি, সে সময় তাঁর ঘোষণা ছিল কোনও মূল্যেই NCP-র সঙ্গে জোট করবেন না ৷

কিন্তু, পাঁচ বছর আগের ঘটনা আজ অতীত ৷ এক সময় যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই অজিত পাওয়ারকে সঙ্গে নিয়েই দ্বিতীয় বারের জন্য মসনদে বসলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিস ৷ তাও আবার নাটকীয় ভাবে ৷ ভোরের আলো ফোটার আগেই ৷ আর সেই ঘটনার পরই এবার পাওয়ারের পরিবারে ভাঙনের ইঙ্গিত ৷ ইঙ্গিত দলেও ৷

মুম্বই, 23 নভেম্বর : মুহূর্তে বদলে যাওয়া হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস যেন বলে দিল অনেক কিছু ৷ সুপ্রিয়া সুলে লিখলেন, 'ভেঙে গেল দল এবং পরিবার' ৷

নাটকীয় ভাবে আজ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিস ৷ উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন NCP-র অজিত পাওয়ার ৷ আর এখানেই শুরু হয় নতুন জল্পনা-বিতর্কের ৷ এক দিন আগে পর্যন্ত যে অজিত পাওয়ার ছিলেন কংগ্রেস-শিবসেনা-NCP-র বৈঠকের অন্যতম চালিকা শক্তি, তিনিই বিরোধী পক্ষের সঙ্গে হাত মেলালেন ৷ অজিতের সিদ্ধান্তের ফলে স্বাভাবিক ভাবেই NCP প্রধান শরদ পাওয়ারের দিকে বিশ্বাসঘাতকতার আঙুল তুলতে শুরু করেছিল কংগ্রেস ৷ বিষয়টির মধ্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল শরদ পাওয়ারের অতীত কর্মকাণ্ড ৷ আগেও একাধিক বার কথা দিয়ে শেষ মুহূর্তে সরে এসেছিলেন তিনি ৷ স্বাভাবিক ভাবেই এ ক্ষেত্রেও সেই ঘটনা বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু, ঠিক তখনই টুইট করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন শরদ পাওয়ার ৷ জানিয়ে দেন, গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে হাত মেলানোর বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অজিতের ব্যক্তিগত ৷ দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই ৷ দলের কয়েকজন বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে দাবি করেন শরদ পাওয়ার ৷

কয়েক মুহূর্ত পরেই বড় ছোবলটা আসে শরদ পাওয়ারে মেয়ে সুপ্রিয়া সুলের মোবাইল থেকে ৷ হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে লেখেন, ভেঙে গেল পরিবার, দল ৷ বাবা-মেয়ের পর পর এমন বার্তা ছড়িয়ে পড়তেই স্পষ্ট হতে শুরু করে NCP-র অন্দরের ছবিটা ৷

সালটা 1999 ৷ কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন শরদ পাওয়ার ৷ সঙ্গে ছিলেন আরও দু'জন, পি এ সাংমা এবং তারিক আনওয়ার ৷ 20 মে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে নতুন দল গড়ে ফেলেন শরদ ৷ নাম দেওয়া হয় ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ৷ কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গেলেও নতুন দলের প্রতীকের মধ্য কোথায় যেন একটা পুরনো দলের ছোঁয়া থেকে যায় ৷ যদিও, রাজনীতির গতি প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফের কংগ্রেসে কাছে আসতে শুরু করেন শরদ পাওয়ার ৷ কিন্তু, BJP-সঙ্গে দূরত্বটা বজায় ছিল ৷

মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবিস ক্ষমতায় আসার পর BJP-NCP দূরত্ব আরও বাড়ে ৷ ফড়নবিস একটা সময় টুইট করে শরদ ও অজিত পাওয়ারদের নিয়মিত আক্রমণ করতেন ৷ অজিত পাওয়ার, শরদ পাওয়ারদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ফড়নবিস ৷ এমনকি, সে সময় তাঁর ঘোষণা ছিল কোনও মূল্যেই NCP-র সঙ্গে জোট করবেন না ৷

কিন্তু, পাঁচ বছর আগের ঘটনা আজ অতীত ৷ এক সময় যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই অজিত পাওয়ারকে সঙ্গে নিয়েই দ্বিতীয় বারের জন্য মসনদে বসলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিস ৷ তাও আবার নাটকীয় ভাবে ৷ ভোরের আলো ফোটার আগেই ৷ আর সেই ঘটনার পরই এবার পাওয়ারের পরিবারে ভাঙনের ইঙ্গিত ৷ ইঙ্গিত দলেও ৷

Kalaburgai (Karnataka) [India], Nov 23(ANI): In a major boost to air connectivity, Karnataka Chief Minister B.S. Yediyurappa inaugurated the first-ever airport in Kalaburagi. Kalaburagi Airport is 13.8 km away from Kalaburagi City which will pave way for direct connectivity of North Karnataka with the state headquarters and other commercial centres. The airport is operational and a Star Air direct flight from Bengaluru landed at the aerodrome during the inauguration. AAI Chairman Arvind Singh, along with Secretary to Ministry of Civil Aviation Pradeep Singh Khorola were present during the inaugural ceremony.
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.