ইটানগর, ২০ ফেব্রুয়ারি : অরুণাচল প্রদেশে ধাক্কা BJP-র। টিকিট না পেয়ে দল ছাড়লেন একাধিক নেতা, মন্ত্রী। ১১ এপ্রিল এই রাজ্যে লোকসভা ও বিধানসভা দুই নির্বাচনই হবে। তার আগে ১৮ জনের দল ছেড়ে যাওয়া BJP-কে সমস্যায় ফেলেছে। ওই ১৮ জনের মধ্যে ২ জন মন্ত্রী, ৬ বিধায়ক রয়েছেন। সকলেই কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (NPP)-তে যোগ দিয়েছেন। NPP আবার BJP-র জোটসঙ্গী ছিল। কিন্তু, এবার তারা নির্বাচনে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, এক সপ্তাহের মধ্যে মোট ২৫ জন নেতা দলত্যাগ করেছেন।
অরুণাচল প্রদেশে দলত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুমার ওয়াই, পর্যটন মন্ত্রী জরকার গামলিন, BJP জেনেরাল সেক্রেটারি জারপুম গামবিন এবং ৬ বিধায়ক।
এবার উত্তর-পূর্বে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে BJP-র কাছে জয়ের রাস্তা ততটাও মসৃণ নয়। কারণ, একাধিক জোটসঙ্গী হাত ছেড়েছে। কয়েকদিন আগেই আলাদা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে NPP, সিকিমের SKM। এখন BJP-র সাথে জোট আছে মাত্র দুটি দলের। তাও, তারা নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে তা সময় বলবে।
এদিকে, দল ছাড়ার বিষয়ে কুমার বলেন, "পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে BJP কংগ্রেসকে আক্রমণ করে। কিন্তু, অরুণাচল প্রদেশের দিকে একবার দেখুন। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার তিনটে টিকিট পেয়েছে।" জরকার গামলিন বলেন, "দল আগে থেকেই জানিয়ে দেয়, আমাকে টিকিট দিচ্ছে না। তাই, আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য হই। কারণ, রাজনীতিতে দলের থেকেও বেশি গুরুত্ব পায় মানুষ। আমি সমর্থকদের সিদ্ধান্ত মেনে পদত্যাগ করেছি।" NPP নেতা থমাস সাংমা বলেন, "৬০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় ৩০-৪০টি আসনে প্রার্থী দেব আমরা। সেইসব আসনে জিতলে আমরাই সরকার গড়তে পারি।"
দল ছাড়ার হিড়িক নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা BJP নেতা কিরেন রিজিজু বলেন, "টিকিট দেওয়ার বিষয়টি ঠিক করে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। রাজ্য কমিটি একটা প্রস্তাব পাঠায়। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় কমিটিই। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে অনেক মন্ত্রীকে টিকিট দেওয়া হয়নি। তবে, এর জন্য দল ছাড়ার কোনও কারণ নেই।"