দিল্লি, 24 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের প্রতিবাদে তপ্ত দিল্লি । পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে । এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই দিল্লির মান্ডি হাউজ় এলাকায় জারি করা হল 144 ধারা । এলাকায় ইতিমধ্যেই নিয়োগ করা হয়েছে পুলিশ । অন্যদিকে দরিয়াগঞ্জে বিক্ষোভের ঘটনায় ধৃত 15 জনের জামিন খারিজ করল দিল্লির তিস হাজ়ারি আদালত । একইসঙ্গে তাদের দু'সপ্তাহের জন্য বিচারবিভাগীয় হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
দরিয়াগঞ্জের CAA বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল থেকে আটক করা হয়েছিল 40 জনকে । তাদের মুক্তির দাবিতে 20 ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাতে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সামনে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা । এই ঘটনায় প্রথমে 10 জনকে গ্রেপ্তার করা হয় । পরে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।
আজ দরিয়াগঞ্জের বিক্ষোভের ঘটনায় ধৃত 15 জনকে দিল্লির তিস হাজ়ারি আদালতে তোলা হয় । অভিযোগ গুরুতর এবং তদন্ত এখনও চলছে, সেকথা জানিয়ে ধৃতদের জামিন খারিজ করে দেন বিচারক কপিল কুমার । তিনি বলেন, "কোনও কারণই হিংসার সমর্থনযোগ্য নয় । এই ধরনের ঘটনা সমাজে উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি করে ।"
শুনানি চলাকালীন ডিফেন্স কাউন্সিল রেবেকা এম জন নিজের পক্ষ রেখে বলেন, ধৃতদের কীসের ভিত্তিতে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা এখনও পুলিশ বলতে পারেনি । তাঁর বক্তব্য শোনার পর পুলিশকে প্রশ্ন করেন বিচারক । ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার আগে পুলিশ CCTV ফুটেজ দেখেছেন কি না তা জানতে চান । বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, বিক্ষোভের সময় অভিযুক্তরা অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ছিল এবং বিক্ষোভকারীদের প্রথম সারিতে ছিল তারা ।