ETV Bharat / bharat

বিরোধীদের বাধার মধ্যেই RTI সংশোধনী বিল পাশ লোকসভায় - Bill

সোমবার লোকসভায় পাশ হয়ে গেল তথ্য জানার অধিকার আইন সংশোধনী বিল

সোমবার লোকসভায় পাশ হয়ে গেল তথ্য জানার অধিকার আইন সংশোধনী বিল
author img

By

Published : Jul 23, 2019, 9:41 AM IST

Updated : Jul 23, 2019, 2:12 PM IST

দিল্লি, 23 জুলাই : বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও সোমবার লোকসভায় পাশ হয়ে গেল তথ্য জানার অধিকার আইন সংশোধনী বিল । এই আইনে সংশোধনী এনে RTI-র ক্ষমতা লঘু করে দেওয়া হবে বলে অভিযোগ তুলে আপত্তি জানায় বিরোধীরা ।

বিলটিকে “RTI নির্মূল বিল” বলে মন্তব্য করেছে তারা । এই বিলটিকে নিয়ে আরও চিন্তাভাবনার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোরও দাবি তুলেছে বিরোধীবেঞ্চ । তবে রাজ্যসভায় বিলটি পাশে সরকার প্রয়োজনীয় সমর্থন পাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে । কারণ, সেখানে সরকার সংখ্যালঘু । প্রস্তাবিত সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রের তথ্য কমিশনারের বেতন ও মেয়াদ ।

তথ্যের অধিকার আইন বলছে, তথ্য কমিশনারদের কাজের মেয়াদ পাঁচ বছর ৷ বয়সের ঊর্ধ্বসীমা 65 । অর্থাৎ বয়স 65 না পেরোলে, অথবা পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ না হলে, তথ্য কমিশনারকে সরানো যাবে না । আইনে আরও বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের ক্ষেত্রে মুখ্য তথ্য কমিশনারের বেতন হবে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনারের সমান, অন্য তথ্য কমিশনারদের বেতন নির্বাচনী কমিশনারদের সমান । রাজ্য তথ্য কমিশনের ক্ষেত্রে মুখ্য কমিশনারের বেতন হবে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনারদের সমান । অন্য কমিশনারদের বেতন রাজ্যের মুখ্যসচিবের সমান । কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার যাতে অপছন্দের ব্যক্তিকে সরিয়ে দিতে বা বঞ্চিত করতে না পারে, যাতে কমিশনাররা নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন, তার জন্যই আইনে এই ব্যবস্থা ।

বিরোধীরা বলছে, কেন্দ্র এই রক্ষাকবচ উপড়ে ফেলতে চায় । কারণ নয়া সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, তথ্য কমিশনাররা ‘নিয়োগের দিন থেকে পাঁচ বছর পদে বহাল থাকবেন’— আইনের এ অংশটি বদলে করা হবে, ‘তত দিন থাকবেন যত দিন কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্ট করবে (ফর সাচ টার্ম অ্যাজ় মে বি প্রেসক্রাইবড বাই দা সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট) ।’ একই ভাবে, তথ্য কমিশনারদের বেতন ও ভাতা নির্বাচন কমিশনারদের সমান করার আইনি নির্দেশ বাতিল করে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘মুখ্য তথ্য কমিশনার এবং অন্য তথ্য কমিশনারদের বেতন ও ভাতা, এবং তাঁদের কাজের অন্যান্য শর্ত হবে তা-ই যা কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্ট করে দেবে ।’’ কেবল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের সদস্যদের কাজের শর্তাবলি, মেয়াদ ও পারিশ্রমিক যে কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারণ করবে, তা-ই নয় । রাজ্য তথ্য কমিশনারদের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই কাজ করবে ।

বর্তমানে তথ্য জানার অধিকার আইনে কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই । RTI আন্দোলনকারীদের দাবি, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের ফলে, স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে, তাঁদের কাজে হস্তক্ষেপ করা হবে । যদিও সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, তথ্য কমিশনারের কোনও ক্ষমতা কমানো হচ্ছে না, শুধুমাত্র কতগুলি অনিয়ম ঠিক করা হচ্ছে । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, “আমরা হস্তক্ষেপ করছি না, এবং প্রতিষ্ঠানের স্বশাসনে প্রভাব পড়ার মতো কিছু করা হবে না ৷ ”

এ বিষয়ে সমাজকর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজ বলেন, '' কমিশনারের বেতন ও কার্যকালের মেয়াদ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে নির্ধারণ করার ক্ষমতা দিয়ে তাদের খাঁচার পাখিতে পরিণত করতে চাইছে, যাতে শেখানো বুলি আওড়াতে পারে ৷ '' অপর এক আন্দোলনকারী নিখিল দে'র মত, ''তথ্য কমিশনারের ক্ষমতা কমিয়ে, বেতন ঠিক করে, তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের আজ্ঞাবহ করে তোলাটা ভয়াবহ ৷ আইনটার কোনও মানেই নেই ৷ ''

দিল্লি, 23 জুলাই : বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও সোমবার লোকসভায় পাশ হয়ে গেল তথ্য জানার অধিকার আইন সংশোধনী বিল । এই আইনে সংশোধনী এনে RTI-র ক্ষমতা লঘু করে দেওয়া হবে বলে অভিযোগ তুলে আপত্তি জানায় বিরোধীরা ।

বিলটিকে “RTI নির্মূল বিল” বলে মন্তব্য করেছে তারা । এই বিলটিকে নিয়ে আরও চিন্তাভাবনার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোরও দাবি তুলেছে বিরোধীবেঞ্চ । তবে রাজ্যসভায় বিলটি পাশে সরকার প্রয়োজনীয় সমর্থন পাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে । কারণ, সেখানে সরকার সংখ্যালঘু । প্রস্তাবিত সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রের তথ্য কমিশনারের বেতন ও মেয়াদ ।

তথ্যের অধিকার আইন বলছে, তথ্য কমিশনারদের কাজের মেয়াদ পাঁচ বছর ৷ বয়সের ঊর্ধ্বসীমা 65 । অর্থাৎ বয়স 65 না পেরোলে, অথবা পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ না হলে, তথ্য কমিশনারকে সরানো যাবে না । আইনে আরও বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের ক্ষেত্রে মুখ্য তথ্য কমিশনারের বেতন হবে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনারের সমান, অন্য তথ্য কমিশনারদের বেতন নির্বাচনী কমিশনারদের সমান । রাজ্য তথ্য কমিশনের ক্ষেত্রে মুখ্য কমিশনারের বেতন হবে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনারদের সমান । অন্য কমিশনারদের বেতন রাজ্যের মুখ্যসচিবের সমান । কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার যাতে অপছন্দের ব্যক্তিকে সরিয়ে দিতে বা বঞ্চিত করতে না পারে, যাতে কমিশনাররা নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন, তার জন্যই আইনে এই ব্যবস্থা ।

বিরোধীরা বলছে, কেন্দ্র এই রক্ষাকবচ উপড়ে ফেলতে চায় । কারণ নয়া সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, তথ্য কমিশনাররা ‘নিয়োগের দিন থেকে পাঁচ বছর পদে বহাল থাকবেন’— আইনের এ অংশটি বদলে করা হবে, ‘তত দিন থাকবেন যত দিন কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্ট করবে (ফর সাচ টার্ম অ্যাজ় মে বি প্রেসক্রাইবড বাই দা সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট) ।’ একই ভাবে, তথ্য কমিশনারদের বেতন ও ভাতা নির্বাচন কমিশনারদের সমান করার আইনি নির্দেশ বাতিল করে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘মুখ্য তথ্য কমিশনার এবং অন্য তথ্য কমিশনারদের বেতন ও ভাতা, এবং তাঁদের কাজের অন্যান্য শর্ত হবে তা-ই যা কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্ট করে দেবে ।’’ কেবল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের সদস্যদের কাজের শর্তাবলি, মেয়াদ ও পারিশ্রমিক যে কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারণ করবে, তা-ই নয় । রাজ্য তথ্য কমিশনারদের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই কাজ করবে ।

বর্তমানে তথ্য জানার অধিকার আইনে কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই । RTI আন্দোলনকারীদের দাবি, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের ফলে, স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে, তাঁদের কাজে হস্তক্ষেপ করা হবে । যদিও সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, তথ্য কমিশনারের কোনও ক্ষমতা কমানো হচ্ছে না, শুধুমাত্র কতগুলি অনিয়ম ঠিক করা হচ্ছে । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, “আমরা হস্তক্ষেপ করছি না, এবং প্রতিষ্ঠানের স্বশাসনে প্রভাব পড়ার মতো কিছু করা হবে না ৷ ”

এ বিষয়ে সমাজকর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজ বলেন, '' কমিশনারের বেতন ও কার্যকালের মেয়াদ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে নির্ধারণ করার ক্ষমতা দিয়ে তাদের খাঁচার পাখিতে পরিণত করতে চাইছে, যাতে শেখানো বুলি আওড়াতে পারে ৷ '' অপর এক আন্দোলনকারী নিখিল দে'র মত, ''তথ্য কমিশনারের ক্ষমতা কমিয়ে, বেতন ঠিক করে, তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের আজ্ঞাবহ করে তোলাটা ভয়াবহ ৷ আইনটার কোনও মানেই নেই ৷ ''

Bengaluru (Karnataka), July 22 (ANI): While speaking to ANI, Karnataka Irrigation Minister, DK Shivakumar said, "Supreme Court has very clearly said that they can't fix the timings. It is obvious that it is up to the speaker, he has to take the call. I think lots of issues have been going on, I think BJP is better to wait." He added, "BJP is a hurried power; they are all using the Governor of Karnataka, writing letters. There are lots of directions from SC that Governor has limited role and should not step in the shoes of democracy." BJP MLAs today arrived at Vidhana Soudha in Bengaluru. Congress-JD(S) coalition government will face floor test to prove their majority in the Assembly today. The Karnataka Assembly on Friday failed to meet the deadline set by the Governor. The Karnataka Assembly has 225 members, including one nominated MLA. The halfway mark in the 225-member Assembly is 113.

Last Updated : Jul 23, 2019, 2:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.