মুম্বই, 7 জুলাই : পদত্যাগের হিড়িক কংগ্রেসে । আজ নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও মিলিন্দ দেওরা । মুম্বই কংগ্রেসের সভাপতি মিলিন্দ জানান, পদত্যাগ করলেও, দল ছাড়ছেন না তিনি । আপাতত দলের সংগঠনের কাজ করতে চান । মিলিন্দ বলেন, "পদত্যাগ করলেও জাতীয় স্তরে কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে যদি কোনও সাহায্য লাগে তা হলে সেটা করব ।" তবে মহারাষ্ট্রে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন । তার আগে মুম্বই কংগ্রেসের প্রধানের পদত্যাগ দলের জন্য বড় ধাক্কা ।
আজ নিজের দলীয় দফতরে বসে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন মিলিন্দ । তিনি বলেন, "মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ BJP-শিবসেনা জোটের মোকাবিলা করা । সেই লক্ষ্যে আরও মজবুত সংগঠন দরকার । 26 জুন দিল্লিতে রাহুল গান্ধির সঙ্গে বৈঠকের পর পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম । আমি পদত্যাগপত্র দলের সাধারণ সম্পাদক মল্লিকার্জুন খাড়গে ও কে সি বেণুগোপালকে পাঠিয়ে দিয়েছি ।" পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে মজবুত করতে মুম্বই ইউনিট সামলানোর জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করার প্রস্তাব রাখেন তিনি । সেই কমিটিকে সহযোগিতা করার জন্য সব সময় তিনি প্রস্তুত বলে জানান ।
এই বছরের শুরুতেই মিলিন্দ দেওরাকে মুম্বই কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীত করা হয়েছিল । তবে লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি কংগ্রেস । নিজেও হেরেছিলেন মুম্বই দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে । তারপরেই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য পাওয়া যায়নি ।
এর আগে, রাহুল গান্ধির রাস্তায় হেঁটে দলের ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারি পদ থেকে ইস্তফা দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া । মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের এই নেতাকে অনেকেই সেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চেয়েছিলেন । তবে প্রবীণ কমল নাথকে সেই পদের জন্য বেছে নেয় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব । এর পর দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাঁর কাঁধে তুলে দেওয়া হয়েছিল । তাঁর পদত্যাগের খবর আজ সামনে এলেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতিরাদিত্য আজ জানান, আট দশ দিন আগেই রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগ করেছেন তিনি ।
লোকসভা ভোটে শোচনীয় হারের দায় নিয়ে সভাপতির পদ ছেড়ে দেন রাহুল গান্ধি । তাঁকে ইস্তফা প্রত্যাহারের আবেদন-নিবেদন এখনও চলছে । তার পরেই রাহুল ঘনিষ্ঠরা পদত্যাগ করছেন । পদ থেকে ইস্তফা দিলেও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মিলিন্দ দেওরাদের ইস্তফা গৃহীত হবে নতুন কংগ্রেস সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার পরই ।