রোহিণী ৷ ভারতের একেবারে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ব়্যাডার ৷ লক্ষ্যবস্তুর থ্রিডি স্ক্যান করতে পারে রোহিণী ৷ বিশেষ এই ব়্যাডারের ডিজ়াইনটি তৈরি করেছে DRDO ৷ রোহিণীর নজর এড়িয়ে যাওয়া শত্রুপক্ষের পক্ষে প্রায় অসম্ভবই বলা চলে ৷ ব়্যাডারের রেঞ্জ 200 কিলোমিটারেরও বেশি ৷ প্রায় 18 কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত স্ক্যান করতে পারে রোহিণী ৷ আর এই থ্রিডি স্ক্যানিং প্রক্রিয়া সক্রিয় হতে সময় লাগে 20 মিনিটেরও কম ৷
এক এক বার স্ক্যানিংয়ে 150টি নিশানা ধরা পরে ব়্যাডারে ৷ কোনও জ্যামার হোক বা বিশেষ কোনও ফ্রিকোয়েন্সি, সবেতেই অব্যর্থ রোহিণী ৷ এমনকী ম্যাক থ্রি-এর থেকেও বেশি গতিতে যাওয়া যে কোনও সুপারসোনিক উড়ানও ধরা পড়ে এই ব়্যাডারে ৷ অস্ত্র মাইক্রোওয়েভ প্রোডাক্টস, ভারত ইলেকট্রনিকস লিমিটেড, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ব়্যাডার ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট ও লারসেন অ্যান্ড টারবোর যৌথ প্রচেষ্টায় এই সাফল্য এসেছে ৷
শত্রুপক্ষের উপর নজর রাখার জন্য সবসময় তৈরি থাকে রোহিণী ৷ আকাশপথে নজরদারি চালাতে বায়ুসেনাকে অবিরত সাহায্য করে যাচ্ছে রোহিণী ৷ এতে রয়েছে ট্র্যাক হোয়াইল স্ক্যান মোড ৷ এই বিশেষ মোডে একবারে 150টি নিশানা ধরতে সক্ষম এই ব়্যাডার ৷ বেশি উচ্চতা হোক বা কম উচ্চতা, রোহিণীর নজর এড়িয়ে যাওয়া শত্রুপক্ষের কাছে প্রায় অসাধ্য ৷ মিজ়াইল থেকে শুরু করে শত্রুশিবিরের যুদ্ধ বিমান, সবই ধরা পড়ে রোহিণীর ব়্যাডারে ৷
প্রাথমিকভাবে 100টি রোহিণী ব়্যাডার তৈরির কাজ শুরু হয় ৷ 2008 সালের 6 অগাস্ট ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে প্রথম রোহিণী তুলে দেওয়া হয় ৷ রোহিণীর মধ্যে রয়েছে একেবারে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অতি শক্তিশালী অ্যান্টেনা ৷ বায়ুসেনার ব়্যাডার আধুনিকীকরণ প্রকল্পে প্রথমে সাতটি ব়্যাডার তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল ৷ পরে আরও 30টি ব়্যাডার তৈরির অর্ডার দেওয়া হয় ৷
রোহিণীকে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৷ এই একইরকম কাজ করে রেবতী ব়্যাডার ৷ সেটিকে তৈরি করা হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার জন্য ৷ পাশাপাশি, স্থলবাহিনীর জন্যও তৈরি হয়েছে বিশেষ ব়্যাডার ৷ নাম ট্যাকটিক্যাল কন্ট্রোল ব়্যাডার ৷