ETV Bharat / bharat

বাংলায় বাড়ছে নারী নির্যাতন, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ মহিলা কমিশনের

রাজ্যে বাড়ছে মহিলাদের উপর অপরাধের ঘটনা ৷ এই বিষয়ে নানা অভিযোগ পুলিশকে জানানেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ শুক্রবার এক রিপোর্ট প্রকাশ করে এই কথা জানালো জাতীয় মহিলা কমিশন ৷

NCW
রাজ্যে বাড়ছে মহিলাদের উপর অপরাধের ঘটনা
author img

By

Published : Dec 12, 2020, 7:30 AM IST

দিল্লি,12 ডিসেম্বর: পশ্চিমবঙ্গে মেয়েদের উপর অপরাধ বাড়ছে ৷ জাতীয় মহিলা কমিশন ( ন্যাশানাল কমিশন ফর উওম্যান) এক বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে ৷ রাজ্যে নারী পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় কমিশন চিন্তিত ৷ রাজ্যে নারী ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় পুলিশের সহায়তার অভাবকেই দায়ি করেছে দেশের মহিলা কমিশন ৷ জাতীয় মহিলা কমিশনের পক্ষে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে ৷ এই বিবৃতিতে মহিলা কমিশন জানিয়েছে, সুয়োমোটো মামলা সহ মোট 267 টিরও বেশি অভিযোগের তদন্ত করার জন্য কমিশনের চেয়ারপারসন রেখা শর্মা পশ্চিমবঙ্গ সফর করেন ৷ এই তদন্তের কথা জানালেও রাজ্য পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বা পুলিশের অবস্থান সম্পর্কে আট মাস ধরে প্যানেলকেও জানায়নি ৷

জাতীয় মহিলা কমিশন রাজ্যে মহিলাদের প্রতি অপরাধের বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৷ এই রাজ্যের উত্তরবঙ্গ ও উপজাতি অঞ্চল থেকে নারী পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে ৷ উত্তপ্রদেশের বৃন্দাবনে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন কাটাচ্ছেন এই রাজ্যের বহু বিধবা ৷ অনেকে বয়সের ভারে অক্ষম হয়ে পড়লেও দুমুঠো খাবার জোগার করতে প্রতিদিন ভিক্ষা করতে হয় ৷ এই বিধবাদের রাজ্যে ফিরিয়ে এনে তাঁদের আত্মীয়-পরিজনদের কাছে অথবা অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার কথাও এই রিপোর্টে জোর দেওয়া হয় ৷ এই বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকেও জানানো হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : ভেন্টিলেশনের বাইরে বুদ্ধদেব, কথা স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে

কমিশনের অভিযোগ, পুলিশ প্রধান ও নোডাল অফিসারকে অভিযোগ পাওয়ার 15 দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চার্জশিট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ তা সত্ত্বেও ছয় মাসের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও চার্জশিট দাখিল করা হয়নি । কমিশনের সদস্যরা ধর্ষিতা ও পুলিশের দ্বারা নৃশংসতার শিকার হওয়া মহিলাদের সঙ্গেও দেখা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত মহিলারা অভিযোগ করে রাজ্য সরকার ও পুলিশ তাদের কোনও সাহায্য করেনি । পকসো আইনের আওতায় ক্ষতিগ্রস্থদেরও কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি ৷ শুধু তাই নয়, কোরোনা প্যানডেমিকের সময় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন লাইন ক্লাস নেওয়ার কোনও উদ্যোগ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়নি ৷ কমিশনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য সচিব, ডিজিপি, কলকাতা, পুলিশ কমিশনার আসার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা কেউ আসেননি ৷ মহিলা কমিশনের রিপোর্টে আরও বলা হয়, তাঁদের পরিবর্তে জুনিয়র অফিসাররা বৈঠকে যোগ দেন ৷ কিন্তু তাঁদের কাছে আগে পাঠানো অভিযোগগুলির সম্বন্ধে কোনও তথ্য ছিল না ৷ তাঁরা তথ্য ছাড়াই বৈঠকে আসেন । কমিশনের প্রশ্নের কোনও উত্তর জুনিয়র অফিসারদের কাছে ছিল না ।

দিল্লি,12 ডিসেম্বর: পশ্চিমবঙ্গে মেয়েদের উপর অপরাধ বাড়ছে ৷ জাতীয় মহিলা কমিশন ( ন্যাশানাল কমিশন ফর উওম্যান) এক বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে ৷ রাজ্যে নারী পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় কমিশন চিন্তিত ৷ রাজ্যে নারী ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় পুলিশের সহায়তার অভাবকেই দায়ি করেছে দেশের মহিলা কমিশন ৷ জাতীয় মহিলা কমিশনের পক্ষে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে ৷ এই বিবৃতিতে মহিলা কমিশন জানিয়েছে, সুয়োমোটো মামলা সহ মোট 267 টিরও বেশি অভিযোগের তদন্ত করার জন্য কমিশনের চেয়ারপারসন রেখা শর্মা পশ্চিমবঙ্গ সফর করেন ৷ এই তদন্তের কথা জানালেও রাজ্য পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বা পুলিশের অবস্থান সম্পর্কে আট মাস ধরে প্যানেলকেও জানায়নি ৷

জাতীয় মহিলা কমিশন রাজ্যে মহিলাদের প্রতি অপরাধের বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৷ এই রাজ্যের উত্তরবঙ্গ ও উপজাতি অঞ্চল থেকে নারী পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে ৷ উত্তপ্রদেশের বৃন্দাবনে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন কাটাচ্ছেন এই রাজ্যের বহু বিধবা ৷ অনেকে বয়সের ভারে অক্ষম হয়ে পড়লেও দুমুঠো খাবার জোগার করতে প্রতিদিন ভিক্ষা করতে হয় ৷ এই বিধবাদের রাজ্যে ফিরিয়ে এনে তাঁদের আত্মীয়-পরিজনদের কাছে অথবা অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার কথাও এই রিপোর্টে জোর দেওয়া হয় ৷ এই বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকেও জানানো হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : ভেন্টিলেশনের বাইরে বুদ্ধদেব, কথা স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে

কমিশনের অভিযোগ, পুলিশ প্রধান ও নোডাল অফিসারকে অভিযোগ পাওয়ার 15 দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চার্জশিট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ তা সত্ত্বেও ছয় মাসের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও চার্জশিট দাখিল করা হয়নি । কমিশনের সদস্যরা ধর্ষিতা ও পুলিশের দ্বারা নৃশংসতার শিকার হওয়া মহিলাদের সঙ্গেও দেখা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত মহিলারা অভিযোগ করে রাজ্য সরকার ও পুলিশ তাদের কোনও সাহায্য করেনি । পকসো আইনের আওতায় ক্ষতিগ্রস্থদেরও কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি ৷ শুধু তাই নয়, কোরোনা প্যানডেমিকের সময় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন লাইন ক্লাস নেওয়ার কোনও উদ্যোগ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়নি ৷ কমিশনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য সচিব, ডিজিপি, কলকাতা, পুলিশ কমিশনার আসার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা কেউ আসেননি ৷ মহিলা কমিশনের রিপোর্টে আরও বলা হয়, তাঁদের পরিবর্তে জুনিয়র অফিসাররা বৈঠকে যোগ দেন ৷ কিন্তু তাঁদের কাছে আগে পাঠানো অভিযোগগুলির সম্বন্ধে কোনও তথ্য ছিল না ৷ তাঁরা তথ্য ছাড়াই বৈঠকে আসেন । কমিশনের প্রশ্নের কোনও উত্তর জুনিয়র অফিসারদের কাছে ছিল না ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.