ETV Bharat / bharat

এখানকার পাথরে টোকা মারলেই ওঠে সুরের ঝংকার - জানা অজানায়

তাল ও লয় ঠিক থাকলে, এই পাথরের বুকেই তৈরি হয় নিত্য নতুন সুরের ছন্দ ।

Ringing Rocks
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Aug 23, 2020, 7:01 AM IST

Updated : Aug 23, 2020, 10:35 AM IST

পাথরের বুকে কি কখনও সুরের ঝংকার তৈরি হতে পারে ? প্রথমবার শুনলে অনেকেই হয়ত অবাক হবেন । কিন্তু, এমনও হয় । হাতুড়ি দিয়ে পাথরে বাড়ি মারলেই তৈরি হয় শব্দতরঙ্গ । ঢং-ঢং-ঢং । ঠিক যেন গির্জার ঘণ্টা বাজার আওয়াজ । তাল ও লয় ঠিক থাকলে, নতুন নতুন সুরেরও জন্ম হয় এই পাথরে ।

নিজের কানে সে আওয়াজ না শুনলে বিশ্বাস করতে চায় না মন । কিন্তু এই পৃথিবীর বুকেই আছে এমন জায়গা, যেখানে পাথরের মধ্যে ওঠে সুরের ঝংকার । অ্যামেরিকার মন্টানায় রিঙ্গিং রকস । পাইপস্টোন শহর থেকে সাড়ে পাঁচ মাইলের রাস্তা । গাড়িতে যেতে সময় লাগে প্রায় মিনিট কুড়ি ।

আপনি যদি প্রথমবার এই এলাকায় যান, তাহলে দূর থেকে ঘণ্টা বাজার আওয়াজও পেতে পারেন । যত এগোবেন তত জোরালো হবে সেই শব্দ । এই আওয়াজকে কোনও গির্জার ঘণ্টা বাজার আওয়াজ ভেবে ভুল করবেন না যেন । হয়ত কোনও খুদে খেলার ছলে রিঙ্গিং রকস-এর পাথরে হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি মারছে । আর সেই আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ।

আরও কাছে গেলে দেখতে পাবেন চাঁই চাঁই পাথরের ঢিবি হয়ে আছে সামনে । এমনিতে দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ পাথরের মতোই । কিন্তু একটি হাতুড়ি দিয়ে পাথরে টোকা মারলেই তাজ্জব বনে যাবেন । ঢং-ঢং-ঢং । আওয়াজ বেরোবে পাথর থেকে । অনেকটা ঘণ্টা বাজানোর মতো আওয়াজ । পাথরে টোকা মারলে এমন আওয়াজ আপনি শোনেননি আগে ।

জানতে ইচ্ছে করছে কী এই সুরের রহস্য ? এই এলাকার পাথরগুলিতে রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণ লোহা । একসময় এখানে ছিল সক্রিয় আগ্নেয়গিরি । 76 মিলিয়ন বছর আগে শেষবার অগ্নুৎপাত হয়েছিল এখানে । মূলত ম্যাগমা ও ব্যাসল্ট শিলা মিলেই হাইব্রিড একধরনের পাথর গঠন হয়েছে এখানে । আর এই বিশেষ ধরনের গঠনের জন্য, পাথরে টোকা মারলেই তৈরি হয় সুরের তরঙ্গ ।

আর এই ঢিবিতে থাকা পাথরগুলির মধ্যে রয়েছে অনেকটা ফাঁকা জায়গা । যে শব্দতরঙ্গ তৈরি হয়, তা সেই ফাঁকা জায়গায় বার বার বাড়ি খায় । সুরের কম্পন হয় ঢিবির ভিতরে । তৈরি হয় সুরের প্রতিধ্বনি । কিন্তু এই ঢিবি থেকে একটি পাথর আলাদা করে তুলে নিলে, বা পাথরের উপর মাটির প্রলেপ লেগে গেলে কিন্তু সুরের প্রতিধ্বনি হয় না । তখনও ঘণ্টা বাজার আওয়াজ হয় । তবে তার রেশ বেশিক্ষণ থাকে না ।

প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া এই ঢিবিতে সুরের জাদু শুনতে সারা বছরই ভিড় জমান পর্যটকরা । তবে, পাথরের ঢিবির এই অদ্ভুত গঠন কীভাবে তৈরি হল, তার কোনও প্রকৃষ্ট কারণ আজও পাওয়া যায়নি । পৃথিবীতে এমন অদ্ভুত সুরেলা পাথরের গঠন সচরাচর দেখা যায় না ।

আর যদি কম খরচে পাথরের গায়ে সুরের ঝংকার শুনতে চান তবে, একবার অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন হাম্পি । ভারতের এক প্রাচীন শহর । এই শহর শুধুমাত্র স্থাপত্যকলার জন্যই নয়, সংগীতের জন্যও নাম করেছে । এখানে রয়েছে বিঠল স্বামীর মন্দির । এই মন্দিরে পাথরের ভাঙা স্তম্ভগুলিতে হালকা টোকা দিলেই তৈরি হয় সুরের জাদু । 56টি স্তম্ভ হয়েছে এখানে । এক একটি স্তম্ভ থেকে ওঠে এক এক ধরনে সুর ।

পাথরের বুকে কি কখনও সুরের ঝংকার তৈরি হতে পারে ? প্রথমবার শুনলে অনেকেই হয়ত অবাক হবেন । কিন্তু, এমনও হয় । হাতুড়ি দিয়ে পাথরে বাড়ি মারলেই তৈরি হয় শব্দতরঙ্গ । ঢং-ঢং-ঢং । ঠিক যেন গির্জার ঘণ্টা বাজার আওয়াজ । তাল ও লয় ঠিক থাকলে, নতুন নতুন সুরেরও জন্ম হয় এই পাথরে ।

নিজের কানে সে আওয়াজ না শুনলে বিশ্বাস করতে চায় না মন । কিন্তু এই পৃথিবীর বুকেই আছে এমন জায়গা, যেখানে পাথরের মধ্যে ওঠে সুরের ঝংকার । অ্যামেরিকার মন্টানায় রিঙ্গিং রকস । পাইপস্টোন শহর থেকে সাড়ে পাঁচ মাইলের রাস্তা । গাড়িতে যেতে সময় লাগে প্রায় মিনিট কুড়ি ।

আপনি যদি প্রথমবার এই এলাকায় যান, তাহলে দূর থেকে ঘণ্টা বাজার আওয়াজও পেতে পারেন । যত এগোবেন তত জোরালো হবে সেই শব্দ । এই আওয়াজকে কোনও গির্জার ঘণ্টা বাজার আওয়াজ ভেবে ভুল করবেন না যেন । হয়ত কোনও খুদে খেলার ছলে রিঙ্গিং রকস-এর পাথরে হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি মারছে । আর সেই আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ।

আরও কাছে গেলে দেখতে পাবেন চাঁই চাঁই পাথরের ঢিবি হয়ে আছে সামনে । এমনিতে দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ পাথরের মতোই । কিন্তু একটি হাতুড়ি দিয়ে পাথরে টোকা মারলেই তাজ্জব বনে যাবেন । ঢং-ঢং-ঢং । আওয়াজ বেরোবে পাথর থেকে । অনেকটা ঘণ্টা বাজানোর মতো আওয়াজ । পাথরে টোকা মারলে এমন আওয়াজ আপনি শোনেননি আগে ।

জানতে ইচ্ছে করছে কী এই সুরের রহস্য ? এই এলাকার পাথরগুলিতে রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণ লোহা । একসময় এখানে ছিল সক্রিয় আগ্নেয়গিরি । 76 মিলিয়ন বছর আগে শেষবার অগ্নুৎপাত হয়েছিল এখানে । মূলত ম্যাগমা ও ব্যাসল্ট শিলা মিলেই হাইব্রিড একধরনের পাথর গঠন হয়েছে এখানে । আর এই বিশেষ ধরনের গঠনের জন্য, পাথরে টোকা মারলেই তৈরি হয় সুরের তরঙ্গ ।

আর এই ঢিবিতে থাকা পাথরগুলির মধ্যে রয়েছে অনেকটা ফাঁকা জায়গা । যে শব্দতরঙ্গ তৈরি হয়, তা সেই ফাঁকা জায়গায় বার বার বাড়ি খায় । সুরের কম্পন হয় ঢিবির ভিতরে । তৈরি হয় সুরের প্রতিধ্বনি । কিন্তু এই ঢিবি থেকে একটি পাথর আলাদা করে তুলে নিলে, বা পাথরের উপর মাটির প্রলেপ লেগে গেলে কিন্তু সুরের প্রতিধ্বনি হয় না । তখনও ঘণ্টা বাজার আওয়াজ হয় । তবে তার রেশ বেশিক্ষণ থাকে না ।

প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া এই ঢিবিতে সুরের জাদু শুনতে সারা বছরই ভিড় জমান পর্যটকরা । তবে, পাথরের ঢিবির এই অদ্ভুত গঠন কীভাবে তৈরি হল, তার কোনও প্রকৃষ্ট কারণ আজও পাওয়া যায়নি । পৃথিবীতে এমন অদ্ভুত সুরেলা পাথরের গঠন সচরাচর দেখা যায় না ।

আর যদি কম খরচে পাথরের গায়ে সুরের ঝংকার শুনতে চান তবে, একবার অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন হাম্পি । ভারতের এক প্রাচীন শহর । এই শহর শুধুমাত্র স্থাপত্যকলার জন্যই নয়, সংগীতের জন্যও নাম করেছে । এখানে রয়েছে বিঠল স্বামীর মন্দির । এই মন্দিরে পাথরের ভাঙা স্তম্ভগুলিতে হালকা টোকা দিলেই তৈরি হয় সুরের জাদু । 56টি স্তম্ভ হয়েছে এখানে । এক একটি স্তম্ভ থেকে ওঠে এক এক ধরনে সুর ।

Last Updated : Aug 23, 2020, 10:35 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.