দিল্লি, 12 সেপ্টেম্বর : শীর্ষ আদালতে সমকামীতার বৈধতা দিলেও হিন্দু বিবাহ আইনে তা অনুমতি দেওয়া হয়নি । সমকামী বিবাহকেও একই গুরুত্ব দেওয়ার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল দিল্লি হাইকোর্টে ।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে এই জনস্বার্থ মামলাটিতে আর্জি জানানো হয়, যে হিন্দু বিবাহ আইনের (1956) ধারা পাঁচে লিঙ্গ ভেদ না রেখে সমকামী বিবাহকেও সমান মূল্য দেওয়া হোক । আইনজীবী রাঘব আবস্তি ও মুকেশ শর্মা জানান, "আবেদনকারী সংবিধানের প্রাপ্য মৌলিক অধিকার চেয়েই এই আবেদনটি করেছেন । LGBT সম্প্রদায়ের মানুষদের দম্পতির চোখে দেখা হয় না । তাঁরা নিজেদের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করার ইচ্ছে দমিয়ে রাখতে বাধ্য হন ।"
এই মামলার আবেদনে আরও বলা হয়েছে, LGBT সম্প্রদায়ের মানুষদের বিয়েতে সম্মতি না দেওয়ায় তাঁদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে । বিপরীত লিঙ্গের মানুষ বিয়েতে যে সুবিধা পান সমকামীদের একই মর্যাদা দেওয়া উচিত । হিন্দু বিবাহ আইন, 1956-এ কোথাও বলা নেই, এক হিন্দু পুরুষের সঙ্গে এক হিন্দু মহিলার বিয়ে সম্পন্ন হবে । ধারা পাঁচে পরিষ্কার বলা আছে, দুই হিন্দুর মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন হবে । এই অবস্থায় দেখা গিয়েছে দেশজুড়ে একটিও সমকামী বিবাহ নথিভুক্ত হয়নি । লিঙ্গ ভিত্তিতে LGBT সম্প্রদায়ের মানুষের বিবাহে অনুমতি না দেওয়ায় শুধু লিঙ্গ বৈষম্যকেই প্রশ্রয় দেয় না, এইসঙ্গে সংবিধানের সমঅধিকারের আইনকেও লঙ্ঘন করে ।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ একুশে বলা হয়েছে, বিবাহের অধিকার বাঁচার অধিকারের আওতায় পড়ে । মানবাধিকার আইনের আওতায় বিবাহের অধিকার হল সার্বজনীন অধিকার, লিঙ্গ ভেদ না রেখে এই অধিকার সকলের প্রাপ্য । এই জনস্বার্থ মামলায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে ।