কারাউলি (রাজস্থান), 9 অক্টোবর : জমি বিবাদের জের । আর তা থেকেই পুরোহিতকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হল । রাজধানী জয়পুর থেকে 177 কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের কারাউলি জেলার ঘটনা । মৃতের নাম বাবুলাল বৈষ্ণব ।
জানা গিয়েছে, ওই পুরোহিতের প্রায় তেরো বিঘা (প্রায় 5.2 একর) জমি ছিল যা কারাউলি জেলারই একটি গ্রামে রাধা কৃষ্ণ মন্দির ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত ছিল । তবে জমিটি প্রধান পুরোহিতকে দেওয়া হয়েছিল । এই ধরনের জমিগুলি, যা মন্দির ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত, সাধারণত কেয়ারটেকার পুরোহিতদের তাঁদের পুজা করার জন্য এবং গ্রামের মন্দিরগুলিতে অনুষ্ঠান করার পরিবর্তে এই মন্দির তাঁদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয় । এই জাতীয় জমিগুলিকে "মন্দির মাফি" বলা হয় । যা রাজস্থানে গ্রামের মন্দিরের কেয়ারটেকার পুরোহিতদের আয়ের একটি অন্যতম প্রধান উৎস ।
জানা গিয়েছে, মন্দির ট্রাস্টের অধীনে থাকা জমিতে নিজের জন্য ঘর তৈরির পরিকল্পনা করায় স্থানীয় মীনা সম্প্রদায়ের কিছু মানুষের সঙ্গে বাবুলালের বিবাদ চলছিল । প্রভাবশালী মীনা সম্প্রদায়ের আরও একটি দল এই বিষয়ে আপত্তি জানায় এবং জমিটিকে তাদের নিজের বলে দাবি করে ।
এই বিরোধ নিয়ে পুরোহিতের পক্ষে রায় দেয় গ্রামের প্রবীণরা । রায়ের পর পুরোহিত তাঁর জমিতে নতুন হওয়া বাজরা বস্তায় ভরে সেখানে রেখে দেন । কিন্তু, অভিযুক্তরা পুরোহিতের অংশের জমিতেই নিজেদের কুঁড়েঘর তৈরি করা শুরু করে বলে অভিযোগ । যা থেকেই পুনরায় বিরোধের সূত্রপাত ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে পুরোহিতের বয়ান রেকর্ড করা হয় । যেখানে তিনি বলেছেন, ছয় জন তাঁর বাজরার বস্তাগুলিতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় । তাঁর অভিযোগ, তাঁর গায়েও আগুন দেয় ওই ছয় দুষ্কৃতী ।
বুধবারের ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় জয়পুরের SMS হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পুরোহিতকে, যেখানে গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয় ।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার হারজিলাল যাদব বলেন, "আমরা হত্যার মামলা দায়ের করেছি । আমরা প্রধান অভিযুক্ত কাইলসাহ মীনাকেও হেপাজতে নিয়েছি ।" পুলিশকে দেওয়া বিবৃতিতে পুরোহিত কৈলাশ, শঙ্কর, নমো মীনা এবং আরও তিনজনের নাম বলেছিলেন ।