জয়পুর, 31 জুলাই : কয়েকদিন পরই রাজস্থানে বিধানসভা অধিবেশন । অধিবেশনে হতে পারে আস্থা ভোট । অন্তত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল এই অনুমান করছে ৷ দলের অভ্যন্তরে গেহলত শিবির কতটা শক্তিশালী তা আরও একবার প্রমাণ করতে চাইবেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী । এইদিকে অধিবেশন শুরুর আগে আজ প্রায় 100 জন কংগ্রেস বিধায়ককে বিশেষ বিমানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জয়সলমেরে । কারণ গেহলতের অভিযোগ, বিধায়ক কেনার দর বাড়ছে ৷
অশোক গেহলতের বিরোধিতা করেছিল পাইলট শিবির । সেই সময় থেকেই প্রায় 100 জন বিধায়ককে জয়পুরের একটি হোটেলে রাখা হয় । আজ তাঁদের আবার জয়সলমের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । সেখানে একটি হোটেলে রাখা হবে তাঁদের । বিধানসভা শুরুর আগে 14 অগাস্ট পর্যন্ত বিধায়কদের জয়সলমেরেই রাখা হবে ।
রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছে বিধানসভার অধিবেশনের জন্য একাধিকবার আবেদন করেছিলেন গেহলত । বারবার সেই আবেদন খারিজ হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশনে অনুমোদন দেন রাজ্যপাল । শোনা যাচ্ছে, আস্থাভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন গেহলত । যদিও গেহলত বা রাজস্থান কংগ্রেসের তরফে বিষয়টি সরাসরি জানানো হয়নি । তবে এই কৌশল রাজনৈতিক মহলে নতুন নয় । দলের অভ্যন্তরে নিজের ক্ষমতা প্রমাণ করার জন্য বারবার আস্থাভোটেই ভরসা রাখা হয়েছে ।
প্রথম থেকেই BJP-র বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনা-বেচার অভিযোগ করছেন গেহলত । এমনকী সচিন পাইলট ও তাঁর শিবিরের বিরুদ্ধে BJP-কে মদতের অভিযোগও করেছেন তিনি । সেই নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে । রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন, BJP-এ যোগ দিতে পারেন সচিন পাইলট । কিন্তু সেইসব আশঙ্কা উড়িয়ে সচিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি BJP-এ যোগ দিচ্ছেন না । কিন্তু নিজের অভিযোগে অনড় গেহলত । BJP-র সঙ্গে মিলে সচিন শিবির বিধায়ক কেনাবেচার ষড়যন্ত্র করছে বলে আবার অভিযোগ করেন তিনি । এইবার তাঁর অভিযোগ সুর আরও চড়া । অশোক গেহলত বলেন, "বিধানসভা অধিবেশন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিধায়কদের দাম বেড়েছে । প্রথমে 10 কোটির কিস্তি ধার্য হয়, পরে তা হয় 15 কোটি । এখন তা সীমাহীন হয়েছে । আর সবাই ভালো করে জানে কে বিধায়ক কেনা-বেচা করছে ।"
সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী গেহলত । তাঁর বিশ্বাস, আস্থাভোটে তিনিই জিতবেন । তাঁর পক্ষেই রয়েছেন বেশি সংখ্যক বিধায়ক । বিধানসভার 200 জন সদস্যের মধ্যে 101 জন তাঁর পক্ষে ।
এইদিকে বিরোধী শিবির জানাচ্ছে অন্ততপক্ষে 30 জন বিধায়ক তাঁদের পক্ষে । যদিও সচিন পাইলট সহ 18 জন বিধায়ক প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন । কিন্তু বিধানসভা অধিবেশনে কি অংশ নেবেন বিরোধী বিধায়করা, সেই প্রশ্নও উঠেছে । একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানিয়েছেন, "অবশ্যই আমরা অংশ নেব ।"