জলপাইগুড়ি, 3 ডিসেম্বর: আবাস তালিকায় নাম তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের । অভিযোগ পেয়ে পরিদর্শনে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ বিডিওর । পঞ্চায়েত সদস্যের পাকা বাড়ি ৷ আর সেখানে রাখা লাল টুকটুকে গাড়ি । গোটা ঘটনা চাক্ষুস করে তাঁদের সবার নাম আবাসের তালিকা থেকে কাটলেন সদরের বিডিও । এখানেই শেষ নয়, পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয় পরিজনদেরও নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায় ।
পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য বাবলু বসাকের নাম আবাস যোজনার এসেছে । অভিযোগ পেয়েই পরিদর্শনে যান বিডিও সদর মিহিত কর্মকার । তিনি গিয়ে দেখেন, টিনের চাল দেওয়া পাকা বাড়ি । সেই বাড়িতেই থাকেন পঞ্চায়েত সদস্য । দেখা যায়, বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে একটি লাল রঙের চারচাকার গাড়ি । বিডিও-র নির্দেশে গাড়ির নম্বর দিয়ে পরিবহণ অ্যাপে সার্চ করতেই বেরিয়ে আসে পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রীর নাম । এরপরেই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নাম আবাস তালিকা থেকে কেটে দেন বিডিও । আরও অভিযোগ, জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাহাড়পুরে পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদেরও নাম রয়েছে আবাসের যোজনায় তালিকায় । তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিডিও অফিসের তরফে ।
এদিকে, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, "আবাসের খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা করতেই পারেন । অভিযোগ পেলে আমরা সে সব জায়গায় পরিদর্শনে যাচ্ছি । অভিযোগ পেয়ে আমরা পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আবাস যোজনার 14 জন প্রাপকের বাড়িতে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম । আইন ও নিয়ম মেনেই ঘর দেওয়া হবে ।"
এদিকে, নাম কেটে দেওয়ায় বিডিওর উপর বেজায় চটেছেন তৃণমূলের পাহাড়পুরের পঞ্চায়েত সদস্য বাবলু বসাক । তিনি বলেন, "2018 সালে সমীক্ষার সময় আমার কিছুই ছিল না । আমি ঋণ করে ঘরটা করেছি । আমার মতো অনেকেই বাড়ি করেছেন । অনেকেই ভাঙা বাড়িতে থাকতেন । 2017 সালে আমি ছাপরার ঘরে থাকতাম । আমি যদি বাড়ি পাওয়ার যোগ্য না-হই, তাহলে আমার নাম কেটে দিক । আমার আত্মীয়দের সবার আবাসের তালিকায় নাম এসেছে এটা ঠিক নয় ।"