রাষ্ট্রসঙ্ঘ, 21 অক্টোবর : নাম না করে আবারও রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানকে নিশানা করল ভারত ৷ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য় পেশ করতে গিয়ে পাকিস্তানকে নিশানা করে ভারতের তরফে বলা হয়েছে , বিশেষ একটি দেশ ভারতের নিজস্ব নীতিকে ইচ্ছাকৃত ভুল ভাবে দেখাতে এবং তার ফায়দা লুঠতে চাইছে ৷ এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে এভাবে কোন দেশের অন্তর্বর্তী বিষয়ে হস্তক্ষেপ করাকে মান্য়তা দেওয়া হয়নি ৷ রাষ্ট্রসঙ্ঘের NSGT-র নীতি নিয়ে এক ভাষণে, ভারতের অভ্য়ন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে এই বক্তব্য় পেশ করা হয় ৷
একইসঙ্গে ভারতের তরফে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, রাষ্ট্রসঙ্ঘ কখনই তার কোনও সদস্য় দেশের নিজস্বনীতির বিষয়ে হস্তক্ষেপের অনুমতি অন্য়কোনও দেশকে দেয়নি ৷ ভারতের তরফে এও বলা হয়েছে, যে তারা বিশ্বাস করে ডিক্লোনাইজেশনের ব্য়বহারিক দিকটি নিশ্চিতভাবে সব দেশের ক্ষেত্রেই সমান হওয়া উচিত ৷ বক্তব্য়ে এও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যে, ভারত ভালো কাজের জন্য় বিশ্বের সব সংস্থা ও তাদের সঙ্গে যুক্ত ব্য়ক্তিদের সঙ্গে সবসময় সুসম্পর্ক রেখে চলবে এবং তাঁদের কাজে যথাসম্ভব সাহায্য় করবে ৷ পাশাপাশি, ভারতের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে, উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে তারা সর্বদা লড়াই চালিয়ে যাবে ৷ কারণ, সত্তর বছর আগে ভারত উপনিবেশবাদের অন্তর্ভুক্ত ছিল ৷
উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের ইতিহাসকেও টেনে আনেন ভারতের প্রতিনিধি ৷ সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রসঙ্ঘের জন্মের পর থেকে আশিটিরও বেশি দেশ উপনিবেশবাদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে ৷ এমনকি তাদের মধ্য়ে বহু দেশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের অস্থায়ী সদস্য়ের পদও পেয়েছে ৷ উপনিবেশবাদকে শেষ না করা পর্যন্ত, ভারতের নিজের স্বাধীনতা অপূর্ণ থেকে যাবে ৷ সবশেষে উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে চলা লম্বা এই লড়াইয়ের দ্রুত সমাপ্তি চাওয়া হয়েছে ৷ একই সঙ্গে পাকিস্তানকেও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল ৷