ETV Bharat / bharat

ধর্মের নামে দেশভাগ চাইতেন সাভারকার, মন্তব্য থারুরের - latest news of jaipur

সাভারকারই দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রবক্তা বলে মনে করেন শশী থারুর ৷ তাঁর মতে ভারত-পাকিস্তানকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার পক্ষে ছিলেন সাভারকার ৷

sashi
শশী থারুর
author img

By

Published : Jan 25, 2020, 2:38 PM IST

জয়পুর, 25 জানুয়ারি: জয়পুরের সাহিত্য সভা থেকে BJP-কে কটাক্ষ শশী থারুরের ৷ গতকাল 'শশী অন শশী' নামে এক সাহিত্যসভার দ্বিতীয় দিনে বিনায়ক সাভারকারের সমালোচনা করলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ৷ তাঁর মতে, ধর্ম বিভাজন করে প্রথম দেশ ভাগ করতে চেয়েছিলেন সাভারকরই ৷ থারুরের কথায়, "মুসলিম লিগ তাঁদের লাহোর অধিবেশনে পাকিস্তান রেজ়োলিউশন পাশ করায় ৷ ঠিক তার তিন বছর আগে অর্থাৎ 1937 সালে সর্বপ্রথম সাভারকার দ্বি-জাতি তত্ত্ব সামনে আনেন ৷ আর তার মূল বিষয় ছিল ধর্ম ৷"

গতকাল জ়ি জয়পুর সাহিত্য সভায় বক্তব্য রাখেন থারুর ৷ সেখানে তিনি বলেন, "দেশভাগের সময় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছিল ধর্মীয় সত্ত্বা জাতীয় সত্ত্বার থেকে বড় কি না ?" তাঁর কথায়, "1940 সালে লাহোর অধিবেশনে মুসলিম লিগের দুই দেশের তত্ত্ব রূপায়ণের আগে থেকেই সাভারকার ধর্মীয় বিভাজনের পক্ষেই ছিলেন ৷"

সভা থেকে তিনি বলেন, "সেই সময় বহু মানুষ মহাত্মা গান্ধি ও জওহরলাল নেহরুকে সমর্থন করেছিলেন ৷ তাঁদের চিন্তাধারাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন ৷ ধর্ম দিয়ে পরিচয় নির্ধারণ করা যায় না, ধর্ম দিয়ে জাতীয়তা নির্ধারণ করা যায় না ৷ এই ভাবনার সমর্থনে ছিলেন বহু মানুষ ৷ সেই সময় আমরা প্রত্যেক মানুষের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলাম ৷ এই দেশ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে, প্রত্যেক মানুষের জন্য তৈরি হোক এই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছিলাম ৷"

তাঁর কথায়, " দেশের বর্তমান শাসকদল মহাত্মা গান্ধিকে বিশ্বাস করে না ৷ শুধু তাঁর নামটিকে ব্যবহার করে নিজেদের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ানোর জন্য ৷ দেশের ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা সম্পূর্ণ অন্য রাজনৈতিক ভাবধারায় বিশ্বাসী ৷"

তিনি বলেন, "জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সময় দেশের মানুষদের বিভক্তিকরণের একটি মূল বিষয় ছিল ৷ বিষয়টি শুধুমাত্র ভৌগোলিক বা চিন্তাধারা কেন্দ্রিক নয় ৷ বরং ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হোক এটাই চাইত একাংশ ৷ সেই সময় একটা বিশাল অঙ্কের মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের বিপক্ষে ছিল ৷ কিন্তু মহাত্মা গান্ধি এবং জওহরলাল নেহরু এই বিপুল বিরোধিতা অগ্রাহ্য করেই ধর্মনিরপেক্ষ দেশ গঠন করেছিলেন ৷ সেই অনুযায়ী আমাদের দেশের সংবিধান রচিত হয়েছে ৷ কিন্তু বিনায়ক দামোদর সাভারকারই প্রথম ধর্মের বিভাজন করে হিন্দুত্ববাদী আন্দোলন শুরু করেন ৷ আর তার এই আন্দোলনের চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণভাবে দেশের সংবিধান বিরোধী ছিল ৷"

থারুরের বক্তব্য, "সাভারকার মনে করতেন শুধুমাত্র হিন্দুরাই ভারতকে তাঁদের পিতৃভূমি এবং পবিত্রভূমি বলে বিশ্বাস করে ৷ কিন্তু মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা তা বিশ্বাস করে না ৷ সাভারকার, মাধব সদাশিভ গোলওয়ালকর এবং দীনদয়াল সংবিধানকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ৷ এরপর মুসলিমদের সঙ্গে আলোচনায় করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে জাতীয়তাবাদ নির্ধারণে ধর্মই প্রধান বিষয় হওয়া উচিত ৷ ইতিহাস ঘাঁটলেই বোঝা যায়, সাভারকারই ছিলেন দুই দেশীয় তত্ত্বের প্রবক্তা ৷ হিন্দু মহাসভার প্রধান হিসেবে তিনিই বলেছিলেন, ভারত শুধু হিন্দুদের জন্য এবং মুসলিমদের জন্য একটি অন্য রাষ্ট্র গঠিত হওয়া উচিত ৷ আর তাঁর এই তত্ত্ব থেকেই দুই দেশীয় তত্ত্ব উঠে আসে ৷ এমনকী, ভারতের সংবিধানকে অনেক দিক থেকে ভুল বলেও মনে করতেন তাঁরা ৷ ভারত শুধুমাত্র হিন্দুদের রাষ্ট্র হওয়া উচিত বলেই তাঁরা বরাবর মনে করে এসেছেন ৷"

জয়পুর, 25 জানুয়ারি: জয়পুরের সাহিত্য সভা থেকে BJP-কে কটাক্ষ শশী থারুরের ৷ গতকাল 'শশী অন শশী' নামে এক সাহিত্যসভার দ্বিতীয় দিনে বিনায়ক সাভারকারের সমালোচনা করলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ৷ তাঁর মতে, ধর্ম বিভাজন করে প্রথম দেশ ভাগ করতে চেয়েছিলেন সাভারকরই ৷ থারুরের কথায়, "মুসলিম লিগ তাঁদের লাহোর অধিবেশনে পাকিস্তান রেজ়োলিউশন পাশ করায় ৷ ঠিক তার তিন বছর আগে অর্থাৎ 1937 সালে সর্বপ্রথম সাভারকার দ্বি-জাতি তত্ত্ব সামনে আনেন ৷ আর তার মূল বিষয় ছিল ধর্ম ৷"

গতকাল জ়ি জয়পুর সাহিত্য সভায় বক্তব্য রাখেন থারুর ৷ সেখানে তিনি বলেন, "দেশভাগের সময় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছিল ধর্মীয় সত্ত্বা জাতীয় সত্ত্বার থেকে বড় কি না ?" তাঁর কথায়, "1940 সালে লাহোর অধিবেশনে মুসলিম লিগের দুই দেশের তত্ত্ব রূপায়ণের আগে থেকেই সাভারকার ধর্মীয় বিভাজনের পক্ষেই ছিলেন ৷"

সভা থেকে তিনি বলেন, "সেই সময় বহু মানুষ মহাত্মা গান্ধি ও জওহরলাল নেহরুকে সমর্থন করেছিলেন ৷ তাঁদের চিন্তাধারাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন ৷ ধর্ম দিয়ে পরিচয় নির্ধারণ করা যায় না, ধর্ম দিয়ে জাতীয়তা নির্ধারণ করা যায় না ৷ এই ভাবনার সমর্থনে ছিলেন বহু মানুষ ৷ সেই সময় আমরা প্রত্যেক মানুষের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলাম ৷ এই দেশ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে, প্রত্যেক মানুষের জন্য তৈরি হোক এই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছিলাম ৷"

তাঁর কথায়, " দেশের বর্তমান শাসকদল মহাত্মা গান্ধিকে বিশ্বাস করে না ৷ শুধু তাঁর নামটিকে ব্যবহার করে নিজেদের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ানোর জন্য ৷ দেশের ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা সম্পূর্ণ অন্য রাজনৈতিক ভাবধারায় বিশ্বাসী ৷"

তিনি বলেন, "জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সময় দেশের মানুষদের বিভক্তিকরণের একটি মূল বিষয় ছিল ৷ বিষয়টি শুধুমাত্র ভৌগোলিক বা চিন্তাধারা কেন্দ্রিক নয় ৷ বরং ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হোক এটাই চাইত একাংশ ৷ সেই সময় একটা বিশাল অঙ্কের মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের বিপক্ষে ছিল ৷ কিন্তু মহাত্মা গান্ধি এবং জওহরলাল নেহরু এই বিপুল বিরোধিতা অগ্রাহ্য করেই ধর্মনিরপেক্ষ দেশ গঠন করেছিলেন ৷ সেই অনুযায়ী আমাদের দেশের সংবিধান রচিত হয়েছে ৷ কিন্তু বিনায়ক দামোদর সাভারকারই প্রথম ধর্মের বিভাজন করে হিন্দুত্ববাদী আন্দোলন শুরু করেন ৷ আর তার এই আন্দোলনের চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণভাবে দেশের সংবিধান বিরোধী ছিল ৷"

থারুরের বক্তব্য, "সাভারকার মনে করতেন শুধুমাত্র হিন্দুরাই ভারতকে তাঁদের পিতৃভূমি এবং পবিত্রভূমি বলে বিশ্বাস করে ৷ কিন্তু মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা তা বিশ্বাস করে না ৷ সাভারকার, মাধব সদাশিভ গোলওয়ালকর এবং দীনদয়াল সংবিধানকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ৷ এরপর মুসলিমদের সঙ্গে আলোচনায় করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে জাতীয়তাবাদ নির্ধারণে ধর্মই প্রধান বিষয় হওয়া উচিত ৷ ইতিহাস ঘাঁটলেই বোঝা যায়, সাভারকারই ছিলেন দুই দেশীয় তত্ত্বের প্রবক্তা ৷ হিন্দু মহাসভার প্রধান হিসেবে তিনিই বলেছিলেন, ভারত শুধু হিন্দুদের জন্য এবং মুসলিমদের জন্য একটি অন্য রাষ্ট্র গঠিত হওয়া উচিত ৷ আর তাঁর এই তত্ত্ব থেকেই দুই দেশীয় তত্ত্ব উঠে আসে ৷ এমনকী, ভারতের সংবিধানকে অনেক দিক থেকে ভুল বলেও মনে করতেন তাঁরা ৷ ভারত শুধুমাত্র হিন্দুদের রাষ্ট্র হওয়া উচিত বলেই তাঁরা বরাবর মনে করে এসেছেন ৷"

New Delhi, Jan 25 (ANI): French Health Ministry confirmed the first two cases of deadly coronavirus with one of them involving a person who had returned from China recently. The two cases were confirmed in the French cities of Paris and Bordeaux, French Minister of Health Agnes Buzyn said, adding that one of the infected men had contacted around 10 people upon his return to France, as per a report by Sputnik. The mysterious outbreak of novel coronavirus was first reported earlier this month in Wuhan, a Chinese city of an estimated 11 million people. Since then, there have been hundreds of confirmed cases in several countries, including China, South Korea, United States, Japan, Taiwan among others.

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.