দিল্লি, 9 নভেম্বর : লাইন অফ অ্য়াকচুয়াল কন্ট্রোলে ভারত ও চিনের মধ্য়ে টানাপোড়েন এখনও জারি রয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে ভারত ও চিন সেনার মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়ে গিয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য় ৷ কিন্তু, এনিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি ৷ সেনার শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠক করেও এর কোনও সমাধান বের করতে ব্য়র্থ হয়েছেন ৷ এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং বৈঠকে বসতে চলেছেন ৷ আগামী 20 দিনে অন্তত 5বার তাঁরা মুখোমুখি হবেন ৷ সেখানে দুই দেশের প্রধানের মধ্য়ে বরফ গলানোর চেষ্টা হলেও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
10 নভেম্বর মঙ্গলবার ভার্চুয়াল মিটের মাধ্য়মে সাংঘাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশনের বৈঠকে মুখোমুখি হবেন তাঁরা ৷ যে বৈঠক পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৷ এর কয়েকদিনের মধ্য়ে দুই নেতা ASEAN সামিটে ফের মুখোমুখি হবেন ৷ সেই বৈঠকটি হবে 12 থেকে 15 নভেম্বর পর্যন্ত ৷ এই সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে ভিয়েতনাম ৷ এবছর এই সম্মেলনে ভারতকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৷ বৈঠকে চিনের সঙ্গে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও উপস্থিত থাকবে ৷ আগামী 17 নভেম্বর মোদি ও চিনপিং আবারও মুখোমুখি হবেন BRICS-এর বৈঠকে ৷ যেখানে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সদস্য় দেশ হিসেবে উপস্থিত থাকবে ৷ অনলাইন এই সামিট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে রাশিয়া ৷ এরপর 21 ও 22 নভেম্বর গ্রুপ অফ 20 বা G20’র বৈঠক রয়েছে ৷ যেখানে বিশ্বের 20টি তাবড় দেশ সদস্য় হিসেবে রয়েছে ৷ যেখানে ভারত ও চিন এর সদস্য় ৷
এই বৈঠকগুলির সময় ভারত ও চিনের দুই প্রধান দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সুযোগ হয়ত পাবেন না ৷ তবে, একই সম্মেলনে একই সময়ে দু’জনের উপস্থিতি কিছু সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল ৷ 2018 সালে ইউহানে মোদি এবং চিনপিংয়ের বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতার গভীর আলোচনা হয়েছিল ৷ এমনকী 2019 SCO সামিটেও আলাদাভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ও চিনপিং ৷ সেই সূত্রেই 2 দেশের প্রধানের মধ্য়ে লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে কোনও প্রসঙ্গ উঠলেও উঠতে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ ৷