ভোপাল(মধ্যপ্রদেশ), 30 এপ্রিল : যেসব বিমানে রোগীদের নমুনা রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে তার পাইলটদেরও পরতে হবে পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট(PPE) । তাই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের বিমান বিভাগের পাইলটরা । কারণ তাঁরা কেউই এই পোশাক পরে বিমান চালাতে অভ্যস্ত নন ।
মধ্যপ্রদেশ বিমানবিভাগের তরফে ক্যাপ্টেন বিশ্বাস রাই বলেন, "এটা আমাদের কাছে সবথেকে কঠিন কাজ । আমাদের বিমান চালানোর সময় PPE পরতে হবে । এটা অত্যন্ত কঠিন । কারণ আমরা এতে অভ্যস্ত নই । কিন্তু আমি ও আমার সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন মাজিদ দেশের স্বার্থে তা করব ।"
বিশ্বাস রাই জানান, এখনও পর্যন্ত তাঁরা চারটি বিমান PPE পরে চালিয়েছেন । যার মধ্যে তিনটি দিল্লিতে ও একটি পুদুচেরিতে অবতরণ করিয়েছেন । পরীক্ষার জন্য ওই বিমানগুলিতে 6 হাজার নমুনা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । PPE পরে বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বিশ্বাস রাই বলেন, "এই কাজ অত্যন্ত কঠিন । কারণ পুরো দেহ ঢাকা থাকে । PPE পরে থাকার ফলে ঘাম হতে শুরু করে । চোখের উপর ঘাম পড়লেও আমরা তা পরিষ্কার করতে পারি না । এটা কঠিন । কিন্তু আমরা কোনওরকমে কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি । কারণ জীবনের থেকে আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয় ।"
তিনি জানান, PPE পরে প্রথম বিমান চালানোর সময় সমস্যা হয়েছিল । কিন্তু পরে মানসিকভাবে এই কাজের জন্য তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন । রাই বলেন, "বিমান উড়ানের আগে ও পরে ককপিট, কেবিন-সহ সমস্ত বিমান স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে । নমুনাগুলি নির্দিষ্ট ল্যাবরেটরিতে পৌঁছে দিতে আমাদের সঙ্গে একজন চিকিৎসকও বিমানে সফর করছেন । আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরের সমস্ত নিয়ম মেনে চলছি ।"
পরিবারের সুরক্ষা প্রসঙ্গে রাই বলেন, "সরকার আমার পরিবারের সুরক্ষার বিষয়টি বুঝেছে । তাই সতর্কতা হিসেবে আমি আমার ভাইয়ের পাশের বাড়িতে কোয়ারানটিনে থাকার জন্য স্থানান্তরিত হয়েছি । আমাদের সুরক্ষার জন্য হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নেওয়ার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং স্বাস্থ্য ও সমাজকর্মী-সহ দেশের প্রত্যেকে নিজেদের কাজ করছেন । তাই আমরাও দেশের স্বার্থে কাজ করছি ।"