ETV Bharat / bharat

কোরোনিল নাম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, পতঞ্জলিকে 10 লাখ জরিমানা আদালতের

পতঞ্জলি থেকে দাবি করা হয়, তাদের তৈরি কোরোনিল সেবন করলে কোরোনার বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারবে ৷ শুধু তাই নয়, পতঞ্জলি থেকে দাবি করা হয়, কোরোনা আক্রান্ত ব্যক্তিও এই ওষুধ খেলে মাত্র 7 দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন । এই দাবির পিছনে কোনও যুক্তি মানেনি এই সংস্থা ৷ ভুয়ো দাবি করার দায়ে পতঞ্জলিকে 10 লাখ টাকা জরিমানা করল চেন্নাই আদালত ৷

RAM DEV
যোগগুরু বাবা রামদেব
author img

By

Published : Aug 7, 2020, 5:44 AM IST

চেন্নাই, 7 অগাস্ট : নভেল কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ওষুধ আনে পতঞ্জলি । সেই ওষুধের নাম দেয় কোরোনিল ট্যাবলেট । কিন্তু, চেন্নাইয়ের একটি প্রাইভেট লিমিডেট সংস্থা আদালতে অভিযোগ করে, 'CORONIL-92 B' নামে তাঁদের একটি উপাদান আছে৷ এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চেন্নাই আদালত জানিয়ে দিল কোরোনিল নাম ব্যবহার করতে পারবে না পতঞ্জলি । একইসঙ্গে কোরোনিলকে কোরোনার ওষুধ বলায় পতঞ্জলিকে 10 লাখ টাকা জরিমানা দিতে বলল আদালত ।

কোরোনা ভাইরাসের প্রতিষেধকের সন্ধান করছে সারা বিশ্ব ৷ কিন্তু এখনও কোরোনার প্রতিষেধক আসেনি ৷ যেখানে পৃথিবীর বড় বড় বিজ্ঞানীরা নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন কোরোনা প্রতিষেধক বের করতে সেখানে যোগগুরু বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি হঠাৎই ঘোষণা করে দেয়, তাদের আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোরোনিল কোরোনা প্রতিরোধে সক্ষম । পতঞ্জলি থেকে দাবি করা হয়, তাদের তৈরি কোরোনিল সেবন করলে কোরোনার বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারবে ৷ শুধু তাই নয়, পতঞ্জলি থেকে দাবি করা হয়, কোরোনা আক্রান্ত ব্যক্তিও এই ওষুধ খেলে মাত্র 7 দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন । কোনও তথ্য প্রমাণ ও মানব শরীরে তার কোনও পরীক্ষা ছাড়াই রামদেবের সংস্থা হঠাৎ এই দাবি করে বসে ৷ এর জেরে আয়ুষ মন্ত্রক পতঞ্জলির কোরোনিলের বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দেয় । কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই পতঞ্জলির এই দাবিতে তাদের বিরুদ্ধে FIRও দায়ের করা হয় ৷ FIR হয় যোগগুরু রামদেবের বিরুদ্ধেও। চাপে পড়ে পতঞ্জলি নিজেদের দাবি থেকে পিছু হটে ৷ পতঞ্জলি থেকে পরে স্বীকার করে নেওয়া হয়, তারা কোরোনার কোনও ওষুধ বের করেনি। এই ধরনের ভুয়ো দাবি করায় পতঞ্জলিকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি সি ভি কার্তিকেয়ন । আদালত বলে, মানুষের ভয় ও আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে লাভের পিছনে ছুটছে পতঞ্জলি ৷ যেখানে তাদের ট্যাবলেট শুধু জ্বর, ঠান্ডা থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সেখানে তারা বলছে এই ট্যাবলেট কোরোনা প্রতিরোধ করে ।

চেন্নাইয়ের একটি প্রাইভেট লিমিডেট সংস্থা আদালতে অভিযোগ করে, 'CORONIL-92 B' নামে তাঁদের একটি উপাদান আছে৷ এইটি প্রকৃত পক্ষে শিল্প উৎপাদনের নানা কাজে লাগে। এই নামের ট্রেডমার্ক তাদের অধিকারে থাকলেও পতঞ্জলি সেসবের তোয়াক্কা না করে কোরোনিল নামে করোনার ওষুধ বাজারে নিয়ে আসে ৷

সাধারণ জ্বর-কাশির ওষুধের লাইসেন্স পেয়েছিল রামদেবের এই সংস্থা ৷ আর সেই লাইসেন্সকে কাজে লাগিয়ে কোরোনার ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করে বসে পতঞ্জলি ৷ উত্তরাখণ্ড ড্রাগ কন্ট্রোলের পক্ষে এজন্য এই সংস্থাকে নোটিস পাঠানো হয় ৷ নোটিস পেয়েই টনক নড়ে রামদেবের সংস্থার ৷ সঙ্গে সঙ্গে এই সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা কোরোনার কোনও ওযুধ আবিষ্কার করেনি ৷ কোরোনা কিট বলেও কোনও ওষুধ বাজারে না আনার কথা ঘোষণা করা হয়। এই সংস্থা থেকে 'দিব্যা শ্বাসরি ভাতি', 'দিব্যা করোনিল ট্যাবলেট', 'দিব্যা অণু তেল' নামে তিনটি প্যাকেটের কথা বলা হয় ৷

বিচারপতি বলেন, বিবাদীপক্ষ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলা সৃষ্টি করেছে ৷ ট্রেড মার্ক রেজিস্ট্রি অফিস থেকে কোরোনিল নামে কোনও ট্রেড মার্ক রয়েছে কি না তা অত্যন্ত সহজে যাচাই করা যেত । এই মামলার রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি সিভি কার্তিকেয়ন পতঞ্জলিকে 10 লাখ টাকা জরিমানা করেন। বিচারপতি বলেন, মানুষের এইকঠিন সময়ে নিজেদের লাভের পিছনেই ছুটেছে পতঞ্জলি ৷ 21 অগাস্টের মধ্যে জরিমানার টাকা এই সংস্থাকে দিতে বলা হয়েছে ৷ জরিমানার টাকা আদিয়ার ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং অরুম্বক্কমের গভর্নমেন্ট যোগা অ্যান্ড নেচারোপ্যাথি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এই আদালত ৷

চেন্নাই, 7 অগাস্ট : নভেল কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ওষুধ আনে পতঞ্জলি । সেই ওষুধের নাম দেয় কোরোনিল ট্যাবলেট । কিন্তু, চেন্নাইয়ের একটি প্রাইভেট লিমিডেট সংস্থা আদালতে অভিযোগ করে, 'CORONIL-92 B' নামে তাঁদের একটি উপাদান আছে৷ এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চেন্নাই আদালত জানিয়ে দিল কোরোনিল নাম ব্যবহার করতে পারবে না পতঞ্জলি । একইসঙ্গে কোরোনিলকে কোরোনার ওষুধ বলায় পতঞ্জলিকে 10 লাখ টাকা জরিমানা দিতে বলল আদালত ।

কোরোনা ভাইরাসের প্রতিষেধকের সন্ধান করছে সারা বিশ্ব ৷ কিন্তু এখনও কোরোনার প্রতিষেধক আসেনি ৷ যেখানে পৃথিবীর বড় বড় বিজ্ঞানীরা নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন কোরোনা প্রতিষেধক বের করতে সেখানে যোগগুরু বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি হঠাৎই ঘোষণা করে দেয়, তাদের আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোরোনিল কোরোনা প্রতিরোধে সক্ষম । পতঞ্জলি থেকে দাবি করা হয়, তাদের তৈরি কোরোনিল সেবন করলে কোরোনার বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারবে ৷ শুধু তাই নয়, পতঞ্জলি থেকে দাবি করা হয়, কোরোনা আক্রান্ত ব্যক্তিও এই ওষুধ খেলে মাত্র 7 দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন । কোনও তথ্য প্রমাণ ও মানব শরীরে তার কোনও পরীক্ষা ছাড়াই রামদেবের সংস্থা হঠাৎ এই দাবি করে বসে ৷ এর জেরে আয়ুষ মন্ত্রক পতঞ্জলির কোরোনিলের বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দেয় । কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই পতঞ্জলির এই দাবিতে তাদের বিরুদ্ধে FIRও দায়ের করা হয় ৷ FIR হয় যোগগুরু রামদেবের বিরুদ্ধেও। চাপে পড়ে পতঞ্জলি নিজেদের দাবি থেকে পিছু হটে ৷ পতঞ্জলি থেকে পরে স্বীকার করে নেওয়া হয়, তারা কোরোনার কোনও ওষুধ বের করেনি। এই ধরনের ভুয়ো দাবি করায় পতঞ্জলিকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি সি ভি কার্তিকেয়ন । আদালত বলে, মানুষের ভয় ও আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে লাভের পিছনে ছুটছে পতঞ্জলি ৷ যেখানে তাদের ট্যাবলেট শুধু জ্বর, ঠান্ডা থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সেখানে তারা বলছে এই ট্যাবলেট কোরোনা প্রতিরোধ করে ।

চেন্নাইয়ের একটি প্রাইভেট লিমিডেট সংস্থা আদালতে অভিযোগ করে, 'CORONIL-92 B' নামে তাঁদের একটি উপাদান আছে৷ এইটি প্রকৃত পক্ষে শিল্প উৎপাদনের নানা কাজে লাগে। এই নামের ট্রেডমার্ক তাদের অধিকারে থাকলেও পতঞ্জলি সেসবের তোয়াক্কা না করে কোরোনিল নামে করোনার ওষুধ বাজারে নিয়ে আসে ৷

সাধারণ জ্বর-কাশির ওষুধের লাইসেন্স পেয়েছিল রামদেবের এই সংস্থা ৷ আর সেই লাইসেন্সকে কাজে লাগিয়ে কোরোনার ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করে বসে পতঞ্জলি ৷ উত্তরাখণ্ড ড্রাগ কন্ট্রোলের পক্ষে এজন্য এই সংস্থাকে নোটিস পাঠানো হয় ৷ নোটিস পেয়েই টনক নড়ে রামদেবের সংস্থার ৷ সঙ্গে সঙ্গে এই সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা কোরোনার কোনও ওযুধ আবিষ্কার করেনি ৷ কোরোনা কিট বলেও কোনও ওষুধ বাজারে না আনার কথা ঘোষণা করা হয়। এই সংস্থা থেকে 'দিব্যা শ্বাসরি ভাতি', 'দিব্যা করোনিল ট্যাবলেট', 'দিব্যা অণু তেল' নামে তিনটি প্যাকেটের কথা বলা হয় ৷

বিচারপতি বলেন, বিবাদীপক্ষ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলা সৃষ্টি করেছে ৷ ট্রেড মার্ক রেজিস্ট্রি অফিস থেকে কোরোনিল নামে কোনও ট্রেড মার্ক রয়েছে কি না তা অত্যন্ত সহজে যাচাই করা যেত । এই মামলার রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি সিভি কার্তিকেয়ন পতঞ্জলিকে 10 লাখ টাকা জরিমানা করেন। বিচারপতি বলেন, মানুষের এইকঠিন সময়ে নিজেদের লাভের পিছনেই ছুটেছে পতঞ্জলি ৷ 21 অগাস্টের মধ্যে জরিমানার টাকা এই সংস্থাকে দিতে বলা হয়েছে ৷ জরিমানার টাকা আদিয়ার ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং অরুম্বক্কমের গভর্নমেন্ট যোগা অ্যান্ড নেচারোপ্যাথি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এই আদালত ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.