ETV Bharat / bharat

SAARC সম্মেলনে পাকিস্তানের কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলা অন্যায্য : সূত্র - Coronavirus

COVID 19 মোকাবিলায় আঞ্চলিক কৌশল গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু SAARC-এর পুনরুজ্জীবন নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র ৷

SAARC
ছবি
author img

By

Published : Mar 16, 2020, 2:18 PM IST

দিল্লি : কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক কৌশল তৈরি করতে অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হঠাৎ টুইটের দু'দিনের মাথায়, ভারতের নেতৃত্বে গতকাল ভিডিয়ো কনফারেন্সে অংশ নিলেন আটটি SAARC অন্তর্ভুক্ত দেশের শীর্ষনেতারা । SAARC অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে দেড় ঘণ্টার ভিডিয়ো কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন । একমাত্র ইমরান খানের বিশেষ দূত হিসেবে কনফারেন্সে অংশ নেন পাকিস্তানের উপ স্বাস্থ্য়মন্ত্রী জাফর মির্জা ।

13 মার্চ সন্ধেয় এই প্রস্তাব আসার দুই-এক ঘণ্টার মধ্যেই তা মেনে নেন আঞ্চলিক নেতারা । সূত্রের খবর, ভারত এরপর শনিবার সন্ধেয় সময় নির্ধারণ করে দেয় এবং রবিবার এই উচ্চপর্যায়ের ভিডিয়ো কনফারেন্সিং সম্পন্ন হয় । সরকারি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত SAARC অঞ্চলে প্রায় দেড়শো জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা চিন ও ইট্যালির তুলনায় খুবই কম, তখন সার্ক অঞ্চলকে সতর্ক থাকতে হবে, এবং এক্ষেত্রে "সময়ের হাতে ছেড়ে না দিয়ে দূরদর্শিতা নিয়ে কাজ করা"-ই উচিত হবে।

ওই সরকারি আধিকারিক বলেন, "আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে আমাদের প্রথম উদ্দেশ্যেই ছিল প্রতিবেশীদের সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরি করা, কারণ আমাদের সীমান্ত একই, নিশ্ছিদ্র নয় এমন সীমান্ত, এবং একই রকম পরিস্থিতি। কিছুটা পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।" ওই সূত্রের কথায়, COVID-19-এর প্রেক্ষিতে SAARC-এর বিভিন্ন দেশ বিভিন্নরকম সমস্যার মুখোমুখি -- তা সে মালদ্বীপের মতো ছোটো দেশ হোক, যাদের পর্যাপ্ত রসদ নেই, অথবা শ্রীলঙ্কা বা নেপালের মতো দেশ, যেখানে ইট্যালি ও চিন থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসেন, বা আফগানিস্তান, যাদের সঙ্গে চিনের সীমান্ত রয়েছে । ওই আধিকারিক আরও যোগ করেন, SAARC নিয়ে অচলাবস্থা থাকলেও পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া এখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যদিও, 2016 সালের উরি হামলার জেরে পাকিস্তানে আয়োজিত সার্ক সম্মেলন ভারত বয়কট করার পর, সার্কে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার পুনরুজ্জীবন নিয়ে এখনই কিছু বলা উচিত হবে না। সূত্রের খবর, ভারতের প্রস্তাবে পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে সদর্থক মনোভাব দেখালেও, পরে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে ইমরান খান ভিডিয়ো কনফারেন্সে অংশ নেবেন না। এটা সেই সময়, যখন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি গুরুতর অস্ত্রোপচার করিয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরার একদিন পরেই অনলাইন কনফারেন্সে যোগ দেন। যেভাবে কনফারেন্সের শেষের দিকে, হাতে একটি নোট এসে পৌঁছানোর পর, পাকিস্তানের প্রতিনিধি কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেছেন, তাকে 'অভদ্র' এবং 'অন্যায্য' বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। একজন শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, "আমাদের বন্ধুরা একটা মানবিক উদ্যোগ নিয়েও রাজনীতি করার চেষ্টা করেছেন। সার্কের পুনরুজ্জীবন নিয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। আমরা এমন একটা উদ্যোগ নিয়ে কথা বলছি, যেখানে একটা আপদকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সার্ক অঞ্চলের নেতৃত্ব একজোট হয়েছেন। এটা এতটাই গুরুতর যে আমাদের এভাবে বৈঠক করতে হচ্ছে। এর মাধ্যমে অন্য কোনও আঞ্চলিক প্রয়াসে পৌঁছনো যাবে কি না, আমরা বলতে পারি না। পাকিস্তানের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেওয়ার দরকার নেই। ওরা যেমন, সেটাই আমরা দেখিয়েছি।"

ভারত এখনও পর্যন্ত তাদের 1,444 জন নাগরিককে বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। এঁদের মধ্যে চিন থেকে 766 জন , জাপান থেকে 124 জন, ইরান থেকে 336 জন এবং ইট্যালি থেকে 218 জন দেশে ফিরেছেন। ইট্যালি এবং ইরানে যে ভারতীয়দের পরীক্ষায় সংক্রমণ মেলেনি, তাঁদের ফেরানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কারণ ওইসব এলাকায় স্থানীয়রাই প্রয়োজনীয় রসদ পাচ্ছেন না এবং সেখানে চিকিৎসা পরিষেবারও অভাব রয়েছে। অতিরিক্ত সচিব এবং কোভিড-19-এর কো-অর্ডিনেটর দাম্মু রবির অধীনে চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে চলেছে বিদেশমন্ত্রকের বিশেষ সেল। যেভাবে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশে ভারতীয় পড়ুয়ারা আটকে পড়েছেন, হস্টেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানেও থাকতে পারছেন না -- এই বিষয়টিকে তারা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই দেখবে। আঞ্চলিক প্রেক্ষিতে ভারত একটি সার্ক মহামারী তহবিল গড়ে তোলার ঘোষণা করেছে, যেখানে তারা দশ মিলিয়ন ডলার দেবে। পাশাপাশি গবেষণা এবং প্রতিবেশী দেশে র‍্যাপিড রেসপন্স টিম পাঠানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

রবিবারের ভিডিয়ো কনফারেন্সের পর, পারস্পরিক পদক্ষেপগুলি নেওয়া হবে বিভিন্ন দেশের বিদেশ সচিব এবং মিশনগুলোর মাধ্যমে। অনুরোধ করার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই মালদ্বীপে মেডিকেল টিম পাঠিয়েছিল ভারত, এবং ইরানের কয়েকটি অনুরোধও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক জানান, "আমরা ইচ্ছাকৃতভাবেই মহামারী তহবিলের কোনও নির্দিষ্ট কাঠামোর কথা বলিনি। আমাদের লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব একে কার্যকর এবং ফলপ্রসূ করা।"

সম্ভবত ভারত এই প্রস্তাবও আনতে চলেছে, যাতে একইরকমভাবে অনলাইন মাধ্যমে, জি-টোয়েন্টির রণকৌশলের সঙ্গে সার্ককে যুক্ত করে বিশ্ব মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়।

দিল্লি : কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক কৌশল তৈরি করতে অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হঠাৎ টুইটের দু'দিনের মাথায়, ভারতের নেতৃত্বে গতকাল ভিডিয়ো কনফারেন্সে অংশ নিলেন আটটি SAARC অন্তর্ভুক্ত দেশের শীর্ষনেতারা । SAARC অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে দেড় ঘণ্টার ভিডিয়ো কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন । একমাত্র ইমরান খানের বিশেষ দূত হিসেবে কনফারেন্সে অংশ নেন পাকিস্তানের উপ স্বাস্থ্য়মন্ত্রী জাফর মির্জা ।

13 মার্চ সন্ধেয় এই প্রস্তাব আসার দুই-এক ঘণ্টার মধ্যেই তা মেনে নেন আঞ্চলিক নেতারা । সূত্রের খবর, ভারত এরপর শনিবার সন্ধেয় সময় নির্ধারণ করে দেয় এবং রবিবার এই উচ্চপর্যায়ের ভিডিয়ো কনফারেন্সিং সম্পন্ন হয় । সরকারি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত SAARC অঞ্চলে প্রায় দেড়শো জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা চিন ও ইট্যালির তুলনায় খুবই কম, তখন সার্ক অঞ্চলকে সতর্ক থাকতে হবে, এবং এক্ষেত্রে "সময়ের হাতে ছেড়ে না দিয়ে দূরদর্শিতা নিয়ে কাজ করা"-ই উচিত হবে।

ওই সরকারি আধিকারিক বলেন, "আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে আমাদের প্রথম উদ্দেশ্যেই ছিল প্রতিবেশীদের সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরি করা, কারণ আমাদের সীমান্ত একই, নিশ্ছিদ্র নয় এমন সীমান্ত, এবং একই রকম পরিস্থিতি। কিছুটা পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।" ওই সূত্রের কথায়, COVID-19-এর প্রেক্ষিতে SAARC-এর বিভিন্ন দেশ বিভিন্নরকম সমস্যার মুখোমুখি -- তা সে মালদ্বীপের মতো ছোটো দেশ হোক, যাদের পর্যাপ্ত রসদ নেই, অথবা শ্রীলঙ্কা বা নেপালের মতো দেশ, যেখানে ইট্যালি ও চিন থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসেন, বা আফগানিস্তান, যাদের সঙ্গে চিনের সীমান্ত রয়েছে । ওই আধিকারিক আরও যোগ করেন, SAARC নিয়ে অচলাবস্থা থাকলেও পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া এখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যদিও, 2016 সালের উরি হামলার জেরে পাকিস্তানে আয়োজিত সার্ক সম্মেলন ভারত বয়কট করার পর, সার্কে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার পুনরুজ্জীবন নিয়ে এখনই কিছু বলা উচিত হবে না। সূত্রের খবর, ভারতের প্রস্তাবে পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে সদর্থক মনোভাব দেখালেও, পরে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে ইমরান খান ভিডিয়ো কনফারেন্সে অংশ নেবেন না। এটা সেই সময়, যখন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি গুরুতর অস্ত্রোপচার করিয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরার একদিন পরেই অনলাইন কনফারেন্সে যোগ দেন। যেভাবে কনফারেন্সের শেষের দিকে, হাতে একটি নোট এসে পৌঁছানোর পর, পাকিস্তানের প্রতিনিধি কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেছেন, তাকে 'অভদ্র' এবং 'অন্যায্য' বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। একজন শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, "আমাদের বন্ধুরা একটা মানবিক উদ্যোগ নিয়েও রাজনীতি করার চেষ্টা করেছেন। সার্কের পুনরুজ্জীবন নিয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। আমরা এমন একটা উদ্যোগ নিয়ে কথা বলছি, যেখানে একটা আপদকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সার্ক অঞ্চলের নেতৃত্ব একজোট হয়েছেন। এটা এতটাই গুরুতর যে আমাদের এভাবে বৈঠক করতে হচ্ছে। এর মাধ্যমে অন্য কোনও আঞ্চলিক প্রয়াসে পৌঁছনো যাবে কি না, আমরা বলতে পারি না। পাকিস্তানের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেওয়ার দরকার নেই। ওরা যেমন, সেটাই আমরা দেখিয়েছি।"

ভারত এখনও পর্যন্ত তাদের 1,444 জন নাগরিককে বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। এঁদের মধ্যে চিন থেকে 766 জন , জাপান থেকে 124 জন, ইরান থেকে 336 জন এবং ইট্যালি থেকে 218 জন দেশে ফিরেছেন। ইট্যালি এবং ইরানে যে ভারতীয়দের পরীক্ষায় সংক্রমণ মেলেনি, তাঁদের ফেরানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কারণ ওইসব এলাকায় স্থানীয়রাই প্রয়োজনীয় রসদ পাচ্ছেন না এবং সেখানে চিকিৎসা পরিষেবারও অভাব রয়েছে। অতিরিক্ত সচিব এবং কোভিড-19-এর কো-অর্ডিনেটর দাম্মু রবির অধীনে চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে চলেছে বিদেশমন্ত্রকের বিশেষ সেল। যেভাবে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশে ভারতীয় পড়ুয়ারা আটকে পড়েছেন, হস্টেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানেও থাকতে পারছেন না -- এই বিষয়টিকে তারা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই দেখবে। আঞ্চলিক প্রেক্ষিতে ভারত একটি সার্ক মহামারী তহবিল গড়ে তোলার ঘোষণা করেছে, যেখানে তারা দশ মিলিয়ন ডলার দেবে। পাশাপাশি গবেষণা এবং প্রতিবেশী দেশে র‍্যাপিড রেসপন্স টিম পাঠানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

রবিবারের ভিডিয়ো কনফারেন্সের পর, পারস্পরিক পদক্ষেপগুলি নেওয়া হবে বিভিন্ন দেশের বিদেশ সচিব এবং মিশনগুলোর মাধ্যমে। অনুরোধ করার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই মালদ্বীপে মেডিকেল টিম পাঠিয়েছিল ভারত, এবং ইরানের কয়েকটি অনুরোধও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক জানান, "আমরা ইচ্ছাকৃতভাবেই মহামারী তহবিলের কোনও নির্দিষ্ট কাঠামোর কথা বলিনি। আমাদের লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব একে কার্যকর এবং ফলপ্রসূ করা।"

সম্ভবত ভারত এই প্রস্তাবও আনতে চলেছে, যাতে একইরকমভাবে অনলাইন মাধ্যমে, জি-টোয়েন্টির রণকৌশলের সঙ্গে সার্ককে যুক্ত করে বিশ্ব মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.