দিল্লি, 27 অগাস্ট : কয়েকজন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে খেলতে চাইছে । এইরকম অভিযোগ এনেই JEE ও NEET পরীক্ষা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন 150-র বেশি শিক্ষাবিদ । নরেন্দ্র মোদিকে পরীক্ষার দিন না পিছানোর অনুরোধ জানান তাঁরা । তাঁদের মত, এই সময়ে পরীক্ষার দিন আবার পিছানো মানে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের সঙ্গে আপস করা ।
কেন্দ্রের তরফে JEE ও NEET-র পরীক্ষার দিন ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছে তরজা । পক্ষে ও বিপক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা । এই সময়েই মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকার পরীক্ষার দিন না পিছানোর আবদেন জানালেন শিক্ষাবিদরা । শুধুমাত্র ভারতের না, বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদরাও চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে ।
সেপ্টেম্বরে পরীক্ষার ঘোষণা হওয়ার পরেই বিভিন্ন বিপক্ষ মত ওঠে । এই প্যানডেমিকে পরীক্ষা হলে ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে , এই অভিযোগও উঠেছে । কয়েকটি রাজ্যের তরফে প্রতিবাদ জোরালো হয় । এই সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষার কথাও ভাবতে হবে । এই কথা কেন্দ্রকে বারবার মনে করিয়ে দিতে চায় রাজ্যগুলি ।
সোনিয়া গান্ধি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গতকাল বৈঠক করে কয়েকটি বিরোধী রাজ্য । ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও । আইনি পথে যাওয়ার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয় । পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব সহ বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলি । এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন 150-র বেশি শিক্ষাবিদ । তাঁরা লেখেন, "কয়েকজন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে খেলার চেষ্টা করছেন । " এখন চিঠির লক্ষ্যে বিরোধী রাজ্যগুলিই কি না সেই নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে ।
যুবসমাজ এবং ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভবিষ্যৎ । কিন্তু কোরোনা ভাইরাস প্যানডেমিকে তাঁদের কেরিয়ারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে । অনেক প্রবেশিকা পরীক্ষা বাকি । সেগুলি দ্রুত হওয়া প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন শিক্ষাবিদরা । প্রতি বছরের মতো এই বছরেও কোটি কোটি ছাত্র-ছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হয়েছেন । তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ।
শিক্ষাবিদরা চিঠিতে উল্লেখ করেন, "সরকারের তরফে NEET, JEE প্রধানের দিন ঘোষণা করা হয়েছে । পরীক্ষা নিতে আরও দেরি করলে ছাত্র-ছাত্রীদের একটি শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হবে । কয়েকজন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের সঙ্গে খেলতে চাইছেন । "
দিল্লি বিশ্ববিদ্যাসয়, ইন্দিরা গান্ধি ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, IIT দিল্লি, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় শিক্ষাবিদরাও এই চিঠিতে তাঁদের সম্মতি জানিয়ে সই করেন ।
তাঁরা লেখেন, আমাদের বিশ্বাস সরকারের তরফে সমস্তরকম সতর্কতার সঙ্গেই এই পরীক্ষার আয়োজন করা হবে ।