দিল্লি, ২৭ ফেব্রুয়ারি : মাত্র ২ ঘণ্টা ১৩ মিনিটের অভিযান। মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণে মাটিতে মিশে যায় বালাকোট, মুজ়াফ্ফরাবাদ ও চাকোঠির একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। খতম হয় ৩০০-র বেশি জঙ্গি। কিন্তু, বায়ুসেনার এই অভিযান ছিল সম্পূর্ণ গোপন। জানতেন মাত্র সাতজন।
পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই দেশজুড়ে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছিল। উপযুক্ত জবাব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু, তা যে মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই ভাবতে পারেননি তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও।
অভিযানের নেপথ্য
২৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সন্ধেবেলা একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ছ'জন। তাঁরা হলেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, তিন বাহিনীর প্রধান ও ইনটেলিজেন্স এজেন্সির দুই শীর্ষ আধিকারিক। বৈঠক থেকেই তৈরি হয় বায়ুসেনার অভিযানের ব্লু প্রিন্ট।
সিক্রেট মিটিংয়ের গ্রিন সিগনাল পাওয়ার পরই শুরু হয় তোড়জোড়। অবশেষে সেই মুহূর্ত। ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভোর ৩টে ৪০ মিনিট। বায়ুসেনার ঘাঁটি থেকে রওনা দেয় ১২ টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান। ঘণ্টাখানেকের সফল অভিযানে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি।