ETV Bharat / bharat

স্মার্টফোনের অভাব, নেটওয়ার্কের সমস্যা, অনলাইন ক্লাস নিয়ে হতাশা - Online education has more harms than benefits

রাজস্থানের বাড়মেঢ় জেলার অভিভাবকরা যদিও অনলাইন এডুকেশন নিয়ে দ্বিভক্ত ৷ এক অভিভাবক ডালু রাম চৌধুরি মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যার কথা বলছেন ৷ এছাড়া শিশুদের মোবাইল কিনে দেওয়ার মতো তাঁদের অর্থনৈতিক সামর্থ্যও নেই ৷ তাই ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন এডুকেশন থেকে বঞ্চিত থাকছে ৷

image
অনলাইন ক্লাস
author img

By

Published : Jul 24, 2020, 1:47 AM IST

Updated : Jul 24, 2020, 8:38 AM IST

বাড়মেঢ়, 24 জুলাই : কোরোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেছে ৷ থমকে গেছে শিক্ষা ব্যবস্থাও ৷ কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় স্কুল -কলেজ বন্ধ রাখতে হয়েছে, যেগুলি এখনও পর্যন্ত খোলেনি ৷ পর্দার অন্যদিকে বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে অনলাইন এডুকেশন ৷ যদিও গরিব ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা বিভিন্ন কারণে সমস্যায় পড়েছেন ৷

রাজস্থানের বাড়মেঢ় জেলার অভিভাবকরা যদিও অনলাইন এডুকেশন নিয়ে দ্বিভক্ত ৷ এক অভিভাবক ডালু রাম চৌধুরি মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যার কথা বলছেন ৷ এছাড়া শিশুদের মোবাইল কিনে দেওয়ার মতো তাঁদের অর্থনৈতিক সামর্থ্যও নেই ৷ তাই ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন এডুকেশন থেকে বঞ্চিত থাকছে ৷ অন্য এক অভিভাবক কৌশল রাম বলছেন, তিনি মনে করেন গ্রাম্য এলাকায় অনলাইন এডুকেশন সম্ভব নয় ৷ গ্রাম্য এলাকায় গরিব পরিবারের শিশুদের মোবাইল নেই ৷ তাই তারা অনলাইনে শিক্ষা নিতে পারছে না ৷

অনলাইন ক্লাস নিয়ে হতাশা বাড়ছে বাড়মেঢ়ের পড়ুয়াদের

মনোবিদ আর কে সোলাঙ্কির সঙ্গে কথা বলেছিল ETV ভারত ৷ তিনি বলছেন, অনলাইন এডুকেশন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে, শিশুরা মনোসংযোগ করতে পারছে না ৷ এছাড়া শারীরিক সমস্যাও তৈরি করছে অনলাইন এডুকেশন ৷ এটা অনস্বীকার্য যে গতানুগতিক পঠন-পাঠনের কোনও বিকল্প নেই ৷ কিন্তু কোরোনার আবহে এখন সেটা সম্ভব না ৷ তাই ছাত্রছাত্রীরা অনলাইন এডুকেশনকে মানিয়ে নিতে চাইছে ৷ এটা ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকদের মধ্যে একটা আশার আলো জাগিয়েছে, কিন্তু এটা অনেক সমস্যাও তৈরি করছে ৷

অনলাইনে পড়াশোনার জন্য যেহেতু তিন থেকে চার ঘণ্টা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে, বহু ছাত্রছাত্রী তাদের শারীরিক সমস্যার কথা জানাচ্ছে ৷ বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক এর বিরোধী ৷ কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের চাপের কাছে তাঁদের মাথা নোয়াতে হচ্ছে ৷ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, তারা কিছু বুঝতে না পারলেও শিক্ষককে কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারছে না ৷ গোদের উপর বিশফোঁড়ার মতো নেটওয়ার্কের সমস্যা তো আছেই ৷ এত ঝামেলার মধ্যে ক্লাস করে তারা নানা সমস্যায় পড়ছেন ৷

বাড়মেঢ়, 24 জুলাই : কোরোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেছে ৷ থমকে গেছে শিক্ষা ব্যবস্থাও ৷ কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় স্কুল -কলেজ বন্ধ রাখতে হয়েছে, যেগুলি এখনও পর্যন্ত খোলেনি ৷ পর্দার অন্যদিকে বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে অনলাইন এডুকেশন ৷ যদিও গরিব ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা বিভিন্ন কারণে সমস্যায় পড়েছেন ৷

রাজস্থানের বাড়মেঢ় জেলার অভিভাবকরা যদিও অনলাইন এডুকেশন নিয়ে দ্বিভক্ত ৷ এক অভিভাবক ডালু রাম চৌধুরি মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যার কথা বলছেন ৷ এছাড়া শিশুদের মোবাইল কিনে দেওয়ার মতো তাঁদের অর্থনৈতিক সামর্থ্যও নেই ৷ তাই ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন এডুকেশন থেকে বঞ্চিত থাকছে ৷ অন্য এক অভিভাবক কৌশল রাম বলছেন, তিনি মনে করেন গ্রাম্য এলাকায় অনলাইন এডুকেশন সম্ভব নয় ৷ গ্রাম্য এলাকায় গরিব পরিবারের শিশুদের মোবাইল নেই ৷ তাই তারা অনলাইনে শিক্ষা নিতে পারছে না ৷

অনলাইন ক্লাস নিয়ে হতাশা বাড়ছে বাড়মেঢ়ের পড়ুয়াদের

মনোবিদ আর কে সোলাঙ্কির সঙ্গে কথা বলেছিল ETV ভারত ৷ তিনি বলছেন, অনলাইন এডুকেশন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে, শিশুরা মনোসংযোগ করতে পারছে না ৷ এছাড়া শারীরিক সমস্যাও তৈরি করছে অনলাইন এডুকেশন ৷ এটা অনস্বীকার্য যে গতানুগতিক পঠন-পাঠনের কোনও বিকল্প নেই ৷ কিন্তু কোরোনার আবহে এখন সেটা সম্ভব না ৷ তাই ছাত্রছাত্রীরা অনলাইন এডুকেশনকে মানিয়ে নিতে চাইছে ৷ এটা ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকদের মধ্যে একটা আশার আলো জাগিয়েছে, কিন্তু এটা অনেক সমস্যাও তৈরি করছে ৷

অনলাইনে পড়াশোনার জন্য যেহেতু তিন থেকে চার ঘণ্টা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে, বহু ছাত্রছাত্রী তাদের শারীরিক সমস্যার কথা জানাচ্ছে ৷ বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক এর বিরোধী ৷ কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের চাপের কাছে তাঁদের মাথা নোয়াতে হচ্ছে ৷ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, তারা কিছু বুঝতে না পারলেও শিক্ষককে কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারছে না ৷ গোদের উপর বিশফোঁড়ার মতো নেটওয়ার্কের সমস্যা তো আছেই ৷ এত ঝামেলার মধ্যে ক্লাস করে তারা নানা সমস্যায় পড়ছেন ৷

Last Updated : Jul 24, 2020, 8:38 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.